জীবনের নানা রঙ-রূপ ফুটে ওঠে গানে। যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবীর বুকে সংগীত যেন ফুলের সুবাস ছড়ায়, শান্তির বাতাস বয়ে আনে। চলমান ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে। এমন ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে শান্তির আহ্বানে, মানবতার স্বার্থে বিভিন্ন সময়ে গান বেঁধেছেন সংগীতশিল্পীরা। তেমনই কিছু গান নিয়ে লিখেন কামরুল ইসলাম।
মানুষ মানুষের জন্য [ভূপেন হাজারিকা]
গানে মানুষ ও মানবতার প্রসঙ্গ তুললেই যেন এ গানের সুর বেজে ওঠে কানে। ভূপেন হাজারিকার কালজয়ী গানটি বাঙালির চিন্তা-চেতনায় মিশে গেছে। গানটি যৌথভাবে লিখেছিলেন শিবদাস ব্যানার্জি ও ভূপেন হাজারিকা।
‘আমি এক যাযাবর এবং ভূপেন হাজারিকা’ অ্যালবামে এটি প্রকাশিত হয়েছিল। ‘মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না?’ এমনই হৃদয়স্পর্শী কথায় সাজানো এ গান এখনো মানুষের প্রাণ সঞ্চার করে। গান হোক শান্তির দূত।
শান্তি চাই [মাইলস]
পপ গানে দেশের সফলতম ব্যান্ড ‘মাইলস’। প্রেম-বিরহ কিংবা দেশাত্মবোধের পাশাপাশি মানবতার কথাও উঠে এসেছে ব্যান্ডটির গানে।
‘অস্থির এই পৃথিবীতে হায়, তুমি আমি কেউ কারো নয়/মন আমার একা নিরালায়, কাঁদে শুধু শান্তির আশায়/শান্তি চাই শান্তি চাই’—এমন কথা লিখেন হামিন আহমেদ। সুর ও কণ্ঠেও রয়েছেন তিনি। আলবাম ‘প্রত্যাশা’য় [১৯৯৩] রয়েছে গানটি।
আমি যুদ্ধে যেতে দিচ্ছি না সম্মতি [সায়ান]
গানে গানে দেশ, মানুষ, জীবন ও সাম্যের কথা বলেন ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান। অনেক গানেই তিনি মানবতা ও মানুষের জয়গান গেয়েছেন।
৯ মে শিল্পী নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেন ‘আমি যুদ্ধে যেতে দিচ্ছি না সম্মতি’। গানে তিনি যুদ্ধের বিরুদ্ধে নিজের শক্ত অবস্থান তুলে ধরেন। ‘আমি যুদ্ধে যেতে দিচ্ছি না সম্মতি, আমি মানুষ মাটি নদী পাহাড় ফুল/আমি তোমার চেনা সেলাই জানা বোন, আমি জানি জানি যুদ্ধের করা ভুল/’-এমন কথায় সায়ান বুঝিয়ে দিলেন, সাধারণ মানুষ কখনো যুদ্ধ চায় না; বরং তাদের রক্ত-ঘামের অর্থে অস্ত্র কিনে যুদ্ধে লিপ্ত হয় ক্ষমতাসীনরা।
একটা থালায় চারটে রুটি [কবীর সুমন]
নাগরিক কবিয়াল কিংবা জীবনঘনিষ্ঠ গানের শিল্পী কবীর সুমন। নিজের অনেক গানেই যুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন তিনি। বিপরীতে ভালোবাসা, সাম্য আর মানবতার কথা বলেছেন। ‘একটা থালায় চারটে রুটি একটু আচার একটু ডাল/একই থালায় দুজন খাবে, যুদ্ধ হয়তো আসছে কাল’ কিংবা ‘খিদের কিন্তু সীমান্ত নেই, নেই চিতা নেই কবরটাও/যুদ্ধটাকে চিতায় তোলো, যুদ্ধটাকেই কবর দাও’-এমন শক্তিশালী বাক্য সুরে সুরে বলেছেন গানটিতে। এ ছাড়া ‘প্রবাসী বাঙালির গান’-এ তিনি গেয়েছেন ‘এই দুনিয়া সর্বনেশে, এরা সাগর ডিঙিয়ে বোমা ফেলে আসে বীরপুরুষের বেশে’। আবার ‘জুয়া’ গানে তিনি মানুষের হৃদয়কে জাগানোর আহ্বানে গেয়েছেন, ‘উপসাগরীয় যুদ্ধ টিভিতে দেখে, খেয়েছে মানুষ রাতের খাবার রোজ, গণহত্যার ছবিগুলো মনে রেখে এসেছে শান্তি ঘুমের ওভারডোজ’।
চিঠি [শিরোনামহীন] নিঃসঙ্গতার বয়ানে অনন্য ব্যান্ড ‘শিরোনামহীন’। তবে আলো ও শান্তির আহ্বানও উঠে এসেছে তাদের বিভিন্ন গানে। তার একটি ‘চিঠি’। যেখানে ব্যান্ডটির কর্তা জিয়াউর রহমান জিয়া লিখেছেন, ‘চিঠি পৌঁছে যাবে পৃথিবীর প্রান্তে, চিঠি পৌঁছে যাবে রঙিন খামে/ চিঠি পৌঁছে যাবে মিছিলে মিছিলে, আসছে খবর হবে ক্ষিধের অবসান/’। শিশুদের ক্ষুধা ও অসহায়ত্বের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বৈষম্যের দিকেই যেন আঙুল তুলেছে ব্যান্ডটি। হিল দ্য ওয়ার্ল্ড [মাইকেল জ্যাকসন] পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসন সংগীতকে ব্যবহার করেছেন শান্তির দূত হিসেবে। যার কালজয়ী নজির ‘হিল দ্য ওয়ার্ল্ড’। শান্তির আহ্বানে অন্যতম সেরা গান বিবেচনা করা হয় এটিকে। যেখানে হৃদয়ের উষ্ণতা, চিন্তার উন্মেষ ও আলোর পথে ডাক দিয়েছেন জ্যাকসন। গানের কথায় রয়েছে ‘হিল দ্য ওয়ার্ল্ড, মেক ইট বেটার প্লেস, ফর ইউ আন্ড ফর মি।’ এ ছাড়া তার আরেকটি গানেও আছে পৃথিবী ও মানুষকে সুরক্ষার জোর দাবি—‘আর্থ সং’। যেখানে তিনি ধ্বংসলীলায় মেতে থাকা পৃথিবীর কথা বলেছেন। গিভ মি লাভ [জর্জ হ্যারিসন] মানুষ, মানবতা ও দেশাত্মবোধের গান গেয়েছেন জর্জ হ্যারিসন। তাঁর অনন্য সৃষ্টি ‘গিভ মি লাভ’। এ গানে তিনি শান্তির আহ্বান করেছেন। ‘গিভ মি লাভ, গিভ মি পিস অন আর্থ/ গিভ মি লাইট, গিভ মি লাইফ, কিপ মি ফ্রি ফ্রম বার্থ’ কথাগুলোয় স্পষ্ট-ভালোবাসা, শান্তি ও স্বাধীনতার প্রতি কতখানি গুরুত্ব দিয়েছেন এই শিল্পী। ইমাজিন [জন লেনন] শান্তির আহ্বানে রচিত অন্যতম সেরা গান বলা হয় জন লেননের ‘ইমাজিন’কে। ১৯৭১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল গানটি। এ গানে তিনি ধর্ম, জাতি, বর্ণ বিদ্বেষ ভুলে শান্তিপূর্ণভাবে বাঁচার আহ্বান জানিয়েছেন। পৃথিবী একদিন স্বপ্নের মতোই সুন্দর হবে বলে প্রত্যাশা করেছেন সুরে-কথায়। এ ছাড়া লেননের আরেকটি গানেও যুদ্ধের বিপরীতে শান্তির আহ্বান রয়েছে, সেটি হলো ‘গিভ পিস আ চান্স’। ব্লোয়িন ইন দ্য উইন্ড [বব ডিলান] বব ডিলানের সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোর একটি এটি। এ গানে রূপক অর্থে বৈষম্য, অসমতা, হত্যার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান তুলে ধরেছেন। ‘হাউ মেনি ডেথস উইল ইট টেক টিল হি নোজ দ্যাট টু মেনি পিপল হ্যাভ ডাইড’ কথাটি পৃথিবীর মোড়লদের দিকে এমনই এক প্রশ্ন, যেটার উত্তর সবারই জানা। সালামুন আলাইক [কাজেম আল সাহের] ইরাকি শিল্পী কাজেম আল সাহেরের এ গানটি বেশ জনপ্রিয়। গানটিতে তিনি অসহায়ের দুঃখ-দুর্দশার বয়ানের মধ্য দিয়ে শান্তির আহ্বান করেছেন। ইরাক যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ গান তৈরি করেছিলেন শিল্পী।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
চিঠি [শিরোনামহীন] নিঃসঙ্গতার বয়ানে অনন্য ব্যান্ড ‘শিরোনামহীন’। তবে আলো ও শান্তির আহ্বানও উঠে এসেছে তাদের বিভিন্ন গানে। তার একটি ‘চিঠি’। যেখানে ব্যান্ডটির কর্তা জিয়াউর রহমান জিয়া লিখেছেন, ‘চিঠি পৌঁছে যাবে পৃথিবীর প্রান্তে, চিঠি পৌঁছে যাবে রঙিন খামে/ চিঠি পৌঁছে যাবে মিছিলে মিছিলে, আসছে খবর হবে ক্ষিধের অবসান/’। শিশুদের ক্ষুধা ও অসহায়ত্বের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বৈষম্যের দিকেই যেন আঙুল তুলেছে ব্যান্ডটি। হিল দ্য ওয়ার্ল্ড [মাইকেল জ্যাকসন] পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসন সংগীতকে ব্যবহার করেছেন শান্তির দূত হিসেবে। যার কালজয়ী নজির ‘হিল দ্য ওয়ার্ল্ড’। শান্তির আহ্বানে অন্যতম সেরা গান বিবেচনা করা হয় এটিকে। যেখানে হৃদয়ের উষ্ণতা, চিন্তার উন্মেষ ও আলোর পথে ডাক দিয়েছেন জ্যাকসন। গানের কথায় রয়েছে ‘হিল দ্য ওয়ার্ল্ড, মেক ইট বেটার প্লেস, ফর ইউ আন্ড ফর মি।’ এ ছাড়া তার আরেকটি গানেও আছে পৃথিবী ও মানুষকে সুরক্ষার জোর দাবি—‘আর্থ সং’। যেখানে তিনি ধ্বংসলীলায় মেতে থাকা পৃথিবীর কথা বলেছেন। গিভ মি লাভ [জর্জ হ্যারিসন] মানুষ, মানবতা ও দেশাত্মবোধের গান গেয়েছেন জর্জ হ্যারিসন। তাঁর অনন্য সৃষ্টি ‘গিভ মি লাভ’। এ গানে তিনি শান্তির আহ্বান করেছেন। ‘গিভ মি লাভ, গিভ মি পিস অন আর্থ/ গিভ মি লাইট, গিভ মি লাইফ, কিপ মি ফ্রি ফ্রম বার্থ’ কথাগুলোয় স্পষ্ট-ভালোবাসা, শান্তি ও স্বাধীনতার প্রতি কতখানি গুরুত্ব দিয়েছেন এই শিল্পী। ইমাজিন [জন লেনন] শান্তির আহ্বানে রচিত অন্যতম সেরা গান বলা হয় জন লেননের ‘ইমাজিন’কে। ১৯৭১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল গানটি। এ গানে তিনি ধর্ম, জাতি, বর্ণ বিদ্বেষ ভুলে শান্তিপূর্ণভাবে বাঁচার আহ্বান জানিয়েছেন। পৃথিবী একদিন স্বপ্নের মতোই সুন্দর হবে বলে প্রত্যাশা করেছেন সুরে-কথায়। এ ছাড়া লেননের আরেকটি গানেও যুদ্ধের বিপরীতে শান্তির আহ্বান রয়েছে, সেটি হলো ‘গিভ পিস আ চান্স’। ব্লোয়িন ইন দ্য উইন্ড [বব ডিলান] বব ডিলানের সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোর একটি এটি। এ গানে রূপক অর্থে বৈষম্য, অসমতা, হত্যার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান তুলে ধরেছেন। ‘হাউ মেনি ডেথস উইল ইট টেক টিল হি নোজ দ্যাট টু মেনি পিপল হ্যাভ ডাইড’ কথাটি পৃথিবীর মোড়লদের দিকে এমনই এক প্রশ্ন, যেটার উত্তর সবারই জানা। সালামুন আলাইক [কাজেম আল সাহের] ইরাকি শিল্পী কাজেম আল সাহেরের এ গানটি বেশ জনপ্রিয়। গানটিতে তিনি অসহায়ের দুঃখ-দুর্দশার বয়ানের মধ্য দিয়ে শান্তির আহ্বান করেছেন। ইরাক যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ গান তৈরি করেছিলেন শিল্পী।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস