আন্তর্জাতিক

তাইওয়ান নিয়ে আপস নয়

তাইওয়ান ইস্যুতে কখনও কোনো আপোষ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে চীন। তাছাড়া স্বশাসিত দ্বীপটিকে আবারও নিজের অংশ বলে দাবি করেছে বেইজিং। মঙ্গলবার মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সামরিক আলোচনা শেষে এক বিবৃতিতে এসব বিষয় তুলে ধরেন চীনা কর্মকর্তারা।   কয়েক দিন পরই তাইওয়ানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের ওপর বেইজিং-ওয়াশিংটন উভয়েরই সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। কারণ এবারের নির্বাচনই তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে এক করতে পারে, আবার দূরেও সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই এই হুঁশিয়ারি দিলো চীন। ২০২১-এর পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক আলোচনায় বসে চীন। চলতি সপ্তাহের সোমবার ও মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তাইওয়ান নিয়ে আপোষ না করার পাশাপাশি অস্ত্র না দিতে এবং দ্বীপটি ঘিরে চীনের উদ্বেগের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে বেইজিং। তাইওয়ান থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের বিস্তৃত অংশে বেইজিংয়ের দাবিকে কেন্দ্র করে ২০২২ সাল থেকে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেশ বিরোধ চলে আসছে। তবে গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার পর উভয় পক্ষ উত্তেজনা কমাতে পুনরায় আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়। মঙ্গলবার প্রথম ধাপের আলোচনা শেষে বুধবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন সমতা ও সম্মানের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো ও স্থিতিশীল সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। আবার যুক্তরাষ্ট্রকে দক্ষিণ চীন সাগরে তার সামরিক উপস্থিতি ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড কমাতে তাগিদ দিয়েছে চীন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আইনিভাবে তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার উপায় সরবরাহ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। অন্যদিকে, স্বশাসিত দ্বীপটিকে নিজের সঙ্গে একত্রীকরণে শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেনি বেইজিং। তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে চীন। অন্যদিকে নিজেদের চীনের এই দাবিকে অস্বীকার করে আসছে তাইওয়ান। বিষয়টি নিয়ে দুই অঞ্চলের মধ্যে উত্তেজনা চলমান রয়েছে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেন, চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের একত্রীকরণের বিষয়টি অবশ্যই জনগণের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে হবে।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস