লাল চা ভালো নাকি গ্রিন টি, এমন প্রশ্ন অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের মাঝেই রয়েছে। তবে মজার কথা হলো গ্রিন টি এবং লাল চা দুইটিই ক্যামেলিয়া সিনেনসিস গাছের পাতা থেকে তৈরি। শুধুমাত্র প্রক্রিয়াজাতকরণের তারতম্যের কারণে এদের গুণগত বৈশিষ্ট্য আলাদা।
এই দুটি চা-ই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তবে অতিরিক্ত পানে ক্ষতি হতে পারে শরীরের। তাই প্রশ্ন ওঠে, সকালবেলা শরীর ও মন চাঙ্গা করতে কোনটি বেশি কার্যকর আর কোন সময় কোন চা খাওয়া উচিত।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, গ্রিন টি তুলনামূলকভাবে কম প্রক্রিয়াজাত এবং এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। অন্যদিকে, লাল চা সম্পূর্ণভাবে অক্সিডাইজড, যার ফলে এর স্বাদ বেশি তীব্র এবং এতে ক্যাফেইনের পরিমাণ গ্রিন টি-এর চেয়ে বেশি।
প্রতি কাপ লাল চায়ে সাধারণত ৪০-৭০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। এটি দ্রুত শরীর চাঙ্গা করে, মনোযোগ ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়। অন্যদিকে, প্রতি কাপ গ্রিন টি-তে ক্যাফেইন থাকে ২০-৪৫ মিলিগ্রাম। তবে এতে রয়েছে এল-থিয়ানিন নামক একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা দেহ ও মনকে শান্ত করে, কিন্তু ঘুমঘুম ভাব আনে না।
সকালে বা কাজের সময় তাই লাল চা বেশি কার্যকর। এটি দ্রুত জাগিয়ে তোলে, কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও ক্লান্তি দূর করে। বিকাল বা রাতে সেরা পছন্দ হতে পারে গ্রিন টি। এটি ধীরে ধীরে মন ও শরীরকে সজাগ রাখে, কিন্তু অতিরিক্ত উত্তেজনা তৈরি করে না। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে না। গ্রিন টি আর লাল চা উভয়েরই স্বাস্থ্যগুণ আছে, তবে ব্যবহারের সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী সঠিক চা বেছে নেওয়া জরুরি। সকাল বা চাপের সময় লাল চা আর শান্ত সময় বা রাতে গ্রিন টি এই ভারসাম্য বজায় রাখলেই আপনি পাবেন দুইয়ের সর্বোচ্চ উপকার। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
সকালে বা কাজের সময় তাই লাল চা বেশি কার্যকর। এটি দ্রুত জাগিয়ে তোলে, কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও ক্লান্তি দূর করে। বিকাল বা রাতে সেরা পছন্দ হতে পারে গ্রিন টি। এটি ধীরে ধীরে মন ও শরীরকে সজাগ রাখে, কিন্তু অতিরিক্ত উত্তেজনা তৈরি করে না। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে না। গ্রিন টি আর লাল চা উভয়েরই স্বাস্থ্যগুণ আছে, তবে ব্যবহারের সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী সঠিক চা বেছে নেওয়া জরুরি। সকাল বা চাপের সময় লাল চা আর শান্ত সময় বা রাতে গ্রিন টি এই ভারসাম্য বজায় রাখলেই আপনি পাবেন দুইয়ের সর্বোচ্চ উপকার। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস