আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের আয়োজক মর্যাদা হারালো বাংলাদেশ। মঙ্গলবার আইসিসির ভার্চুয়াল বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আইসিসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত দুই সপ্তাহ ধরেই বাংলাদেশের অবস্থা অস্থিতিশীল। ফলে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে আইসিসি বিকল্পের কথা ভাবছিল। সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়াও জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার নাম এসেছিল। আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় আরব আমিরাতকেই ভেন্যু হিসেবে চূড়ান্ত করেছে আইসিসি।
বোর্ড মিটিংয়ে যোগ দেওয়া সদস্যদের মতে, বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে সেখানে বৈশ্বিক ইভেন্ট আয়োজন করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও এ ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে। তবে বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতা না হলেও এই ইভেন্টের আনুষ্ঠানিক আয়োজক হিসেবে তারাই থাকবে।
বিশ্বকাপ দেশের মাটিতে রেখে দিতে জোর চেষ্টা চালিয়েছিল বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকার আন্তরিক হলেও সমস্যা অন্য জায়গায়। অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কিছু অংশগ্রহণকারী দেশের সরকার বাংলাদেশ ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এই বিষয়টির সমাধান করাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দলগুলো বাংলাদেশ সফর করতে আগ্রহী ছিল না। যার কারণেই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সরে গেলো নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
গত কয়েক বছরে ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে আরব আমিরাত। ২০২১ সালের ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ বেশ কিছু কোয়ালিফায়ার টুর্নামেন্ট তারা সফলভাবে আয়োজন করেছে। বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা ও অবকাঠামোগত কারণে আমিরাতকেই নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে চূড়ান্ত করলো আইসিসি।
এলএবাংলাটাইমস/এজেড