আপডেট :

        উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মোতায়েন

        টানা ছয় ম্যাচ জিতে শেষ চার নিশ্চিত করলো ফাফ ডুপ্লেসিসের দল

        কিরগিজস্তান থেকে দেশে ফিরবেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

        মানুষকে বিশ্রামে উদ্বুদ্ধ করতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া

        মানুষকে বিশ্রামে উদ্বুদ্ধ করতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া

        শ্রমিকদের প্রতি সকলকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

        শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরছে না

        কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেশীয় পতাকা নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন আদনান আল রাজীব

        ইসরাইল-হামাস তুমুল লড়াই

        ইসরাইল-হামাস তুমুল লড়াই

        ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা

        পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয়ব

        ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংকঃ বিজেপি নেতা অমিত শাহ

        ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস

        দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে

        দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে উপজেলায় থাকবেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট

        বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তির গল্পটা সবারই জানা

        সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

'বাংলাদেশের অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মানবাধিকার লংঘন বিষয়ে নীরব থাকবে না যুক্তরাষ্ট্র'

'বাংলাদেশের অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মানবাধিকার লংঘন বিষয়ে নীরব থাকবে না যুক্তরাষ্ট্র'

ছবি: এলএবাংলাটাইমস

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কর্তৃক বাংলাদেশে সৃষ্ট অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং ধারাবাহিক মানবাধিকার লংঘনে যুক্তরাষ্ট্র নীরব ভূমিকা পালন করবে না বলে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক এবং সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী।

মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, বাইডেন প্রশাসনের মূল নীতি হচ্ছে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। সুতরাং বাংলাদেশের মানবাধিকার লংঘন বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন চুপ থাকবে না।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) লস এঞ্জেলেসের নর্থ হলিউডের চার্চ অব সাইয়েন্টলজি মিলনায়তনে বাংলাদেশ কমিউনিটি অব লস এঞ্জেলেস আয়োজিত বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক সভায় প্রধানবক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন আনসারী।

সভায় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বাংলাদেশের চরম মানবাধিকার লংঘন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উপর নিপীড়ন, মুক্তমতে বাধাসৃষ্টি, ধর্মীয় নেতাদের গ্রেফতার এবং হয়রানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন এবং প্রধানবক্তার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন।

জেসমিন খান ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট মুসলেম খানের সভাপতিত্বে এবং সৈয়দ নাসির জেবুলের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাইন্টোলজি অব নর্থ হলিউডের প্রেসিডেন্ট ক্যাথি ডেরল, বিজয় বহর লস এঞ্জেলেসের চেয়ারম্যান আব্দুল বাসিত, ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সভাপতি বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু ও সাধারণ সম্পাদক এম ওয়াহিদ রহমান, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এম এ হান্নান, কমিউনিটি নেতা এম ওয়াহিদ রহমান, আব্দুল হান্নান, জিয়াউর রহমান, শাহনেওয়াজ রেজা, আফজাল হুসেন শিকদার, আওলাদ হুসেনসহ আরও অনেকে।

মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও বলেন, 'চরম মানবাধিকার লংঘনের দায়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের র‍্যাব এবং কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ এবং মানবাধিকার সংস্থা দেশের মানবাধিকার লংঘন বন্ধে বারবার তাগাদা দিচ্ছে সরকারকে। কিন্তু কোনো কথাতেই কাজ হচ্ছে না। এটা বাংলাদেশের জন্য আরও ক্ষতি ডেকে আনবে'।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি পাকিস্তান শাসনামলের থেকেও নাজুক উল্লেখ করে আনসারী বলেন, 'বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে সভা-সমাবেশ করার সুযোগ নেই। আইয়ুব খানের বেসিক গণতন্ত্র বিষয়ে আমরা শুনেছি। বর্তমান পরিস্থিতি এর থেকেও নাজুক। সরকার সমালোচনা ভয় পায়'।

বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে মুশফিক বলেন, 'সংবাদপত্রের ধারক ও বাহকদের অনেকে সরকারের সাথে আপোষ করেছে। তারা সংবাদ প্রকাশে সেলফ সেন্সর করছেন। সরকারের স্বার্থে আঘাত হানে এমন কোনো প্রতিবেদন সংবাদপত্রে ছাপা হয় না। সরকারের পক্ষে লিখতে হয় অথবা ঘুরিয়ে লিখতে হয়'।

আনসারী আরও উল্লেখ করেন, বিশ্বের গণতান্ত্রিক মিত্রদের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করতে এবং কর্তৃত্ববাদী শাসকদের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানাতে জো বাইডেন ক্ষমতাসীন হওয়ার শুরুতেই বিশ্বের শতাধিক দেশ নিয়ে ডেমোক্রেসি সামিট করেন। কিন্তু বাংলাদেশ সেই সামিটে আমন্ত্রিত হয়নি। কারণ দেশে এখন গণতন্ত্র নেই, ভোটাধিকার নেই এবং মানুষের কথা বলার অধিকার নেই।

ধর্মীয় নেতাদের উপর চলমান নিপীড়নে মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে কী না এমন এক প্রশ্নের জবাবে মানবাধিকার কর্মী মুশফিক বলেন, 'মতপ্রকাশের অধিকার সবার আছে। আমি সবার কথা বলার স্বাধীনতার পক্ষে'।

তিনি আরও বলেন, ইসলামি বক্তারা দ্বীনের কথা,কোরআন, সুন্নাহর কথা বলেন এবং তাদের জন্য সমাজের মানুষের হৃদয়ে একটা বিশেষ জায়গা রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে মসজিদের ইমাম কী খুতবা দেবেন, সেটাও এখন ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে লিখে দেয়া হচ্ছে। এটাই হচ্ছে আমাদের দেশের মুক্তমতের অবস্থা'।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত