আপডেট :

        প্রাইজবন্ডে প্রথম পুরস্কার

        পাউবোর ৩৭০ বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন

        সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎহীন

        সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা সন্ধ্যায়

        সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা সন্ধ্যায়

        ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ

        সুন্দরবনে সন্ধ্যায়ও বিক্ষিপ্তভাবে অর্ধশতাধিক স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়

        সুন্দরবনে সন্ধ্যায়ও বিক্ষিপ্তভাবে অর্ধশতাধিক স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়

        উচ্চশিক্ষাকে ডিজিটালাইজেশনে আওতায় আনার সিদ্ধান্ত

        কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওপরে ড্রোন, পাহারায় পুলিশ’

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি

        দীর্ঘ সময় পর ঢাকা-জয়দেবপুরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

        জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পারফর্ম বিবেচনা করে বিশ্বকাপ ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে

        জবিতে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাড মেকিং প্রতিযোগিতা

        মিয়ানমারের আরও ৪০ সীমান্তরক্ষী টেকনাফে

        রাজউকের প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দ এলো নতুন বিধিমালা

        সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু

        চুক্তিতে যেতে আগ্রহ নন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করবে দুদক

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করবে দুদক

এবার দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড অ্যালার্ট’ জারির উদ্যোগ নিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তারেক রহমানকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।

ওই মামলায় তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মুখোমুখি করতে শিগগিরই এ আবেদন করা হবে। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারির উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো।

এর আগে ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা’ ও ‘সিঙ্গাপুরে প্রায় ২০ কোটি টাকা পাচার’ মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড অ্যালার্ট জারি করে।

শনিবার দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তারেক রহমানসহ পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলার অন্যতম পলাতক আসামি তারেক রহমান বিদেশে রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আদালতের ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আগামী সপ্তাহে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। আইনের বিধান অনুসারে বিদেশে (ইন্টারপোলে) পরোয়ানা পাঠাতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে। শিগগিরই আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হবে। আদালত অনুমতি দিলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ফের রেড অ্যালার্ট জারির জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চিঠি দেওয়া হবে।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা :
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও পলাতক তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর পরই আদালত পলাতক তারেক রহমানসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তবে তারেক রহমান বিদেশে পলাতক থাকায় তাকে সাজার মুখোমুখি করতে এবার ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারির চিঠি দেওয়া হবে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা : ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপির শাসনামলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাসহ আহত হন কয়েকশ মানুষ। নিহত হন আইভি রহমানসহ ২৪ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি এ মামলার সব আসামিরই সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ। গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা দুটির বিচারকাজ একসঙ্গে চলছে। হত্যা মামলায় মোট আসামি ৫২ জন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আসামি ৪১ জন। সর্বমোট ৫২ আসামিদের মধ্যে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আটজন আসামি জামিনে এবং ২৩ জন কারাগারে আছেন। তিন আসামির অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। বাকি ১৮ পলাতক আসামির অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ চলছে। একইসঙ্গে পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাও অব্যাহত আছে। এ মামলায় মোট ২২৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় গত বছরের ১২ জুন ৩১ আসামির আত্মপক্ষ শুনানি শেষ হয়। তারেক রহমানসহ ১৮ জন আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি। এ মামলায় ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ইন্টারপোল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করে।

সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার মামলা :
২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি মানি লন্ডারিং মামলায় বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। বিচারিক আদালত বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে সাজা দিলেও তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর তারেক রহমান ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে আসামি করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলাটি করে দুদক।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্মাণ কনস্ট্রাকশন্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ওই টাকা বিভিন্ন পদ্ধতিতে সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের ব্যাংক হিসাবে পাচার করা হয়। ওই টাকার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে খরচ করেন তারেক রহমান। ২০১১ সালের ৬ জুলাই এই মামলার বিচার শুরু হয়। রায় হয় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর। রায়ে তারেক রহমানকে খালাস এবং গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছর কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। পরে ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেককে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। লন্ডন প্রবাসী তারেক রহমান না ফেরায় আদালত তার বিরুদ্ধে সমন জারি করে তার লন্ডনের ঠিকানায় পাঠান। কিন্তু তাতেও তারেক রহমান সাড়া দেননি। পরে তাকে পলাতক ঘোষণা করেন আদালত। এরপর দুদকের করা আপিলের সঙ্গে কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিলের শুনানি শুরু হয়। গত বছরের ৪ মে হাইকোর্টে দুটি আপিলের একসঙ্গে শুনানি শুরু হয়, শেষ হয় ১৬ জুন। এই মামলায় আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ২০১৩ সালের এপ্রিলে ইন্টারপোল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেন। কিন্তু তার দুই মাস পর ওই রেড নোটিশ নামিয়ে নেয় ফ্রান্সে অবস্থিত ইন্টারপোল সদর দপ্তর।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি 

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত