আপডেট :

        একই সফটবল দলের চার সদস্যের মরদেহ উদ্ধার, সন্দেহজনক ওভারডোজে মৃত্যু

        যুক্তরাষ্ট্রে পারিবারিক স্বাস্থ্যবিমার গড় খরচ প্রায় ২৭,০০০ ডলারে পৌঁছেছে

        ডাকাতি করতে গিয়ে নিজেই বিপদে, রেসলারের হাতে মার খেয়ে গ্রেপ্তার

        হোয়াইট হাউসের ইস্ট উইং ভেঙে নতুন বলরুম নির্মাণের ঘোষণা ট্রাম্পের

        প্রশান্ত মহাসাগরে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় হামলা, নিহত ৩

        লস এঞ্জেলেসে অভিবাসন অভিযানে গুলিবিদ্ধ টিকটক নির্মাতা ও মার্কিন মার্শাল

        দীপিকা-রণবীরের বেবি দুয়া: মায়ের চোখ নিয়ে ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে ছবি

        সরকারে দলীয় কেউ থাকলে সরিয়ে দিতে হবে: রিজভী

        গ্রিন টি না কি লাল চা, কোনটিতে উপকার বেশি

        থাইল্যান্ড সীমান্তে স্টারলিংকের অবৈধ ব্যবহার: মিয়ানমার স্ক্যাম সেন্টারের নতুন শক্তি।

        নিউইয়র্কের পেন স্টেশনে নবজাতক ফেলে যাওয়া মা গ্রেপ্তার

        অভিষেকে ৫ উইকেট ‘বুড়ো’ আফ্রিদির

        উবার ও লিফট চালকদের জন্য বাধ্যতামূলক ইউনিয়ন আলোচনার আইন পাশ করলো ক্যালিফোর্নিয়া

        যমুনায় এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ: ছাত্র-নাগরিক দলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় সাবেক প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে দম্পতির কারাদণ্ড

        ভয়াবহ ফ্রিওয়ে দুর্ঘটনায় অন্তত ৩ জন নিহত, ট্রাক চালক মাদকাসক্ত অবস্থায় গ্রেপ্তার

        পুতিনের সঙ্গে বৈঠক স্থগিত করল হোয়াইট হাউস, ‘সময় নষ্ট’ করতে চান না ট্রাম্প

        ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম নির্মাণে কে দিচ্ছেন অর্থ? ঘিরে রহস্য ও বিতর্ক

        পুতিনের সঙ্গে বৈঠক স্থগিত করল হোয়াইট হাউস

        অশোভন বার্তা ফাঁসের পর ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থী পল ইঙ্গ্রাসিয়ার পদত্যাগ

হারিয়ে যাচ্ছে জীবন বোধ, ভাবনার এখনই সময়...

হারিয়ে যাচ্ছে জীবন বোধ, ভাবনার এখনই সময়...

অস্ট্রেলিয়াতে এখন সামার। এ সময়ে স্কুল হলিডে থাকে। প্রায় সব বাবা-মা’রাই তাদের ছেলে্মেয়েদের নিয়ে বেড়াতে বের হয়। কেউ কাছে কেউ দুরে। কেউবা আবার দেশের বাইরে। বেড়াতে বের হয়েছি আমরাও। খাবারের দোকানে বসে অপেক্ষা করছি খাবার আসার। এ সময়ে টেবিলে খবরের কাগজটা টেনে নিতেই চোখ পড়লো শিরনাম।পাঁচ বছরের বাচ্চারা কিভাবে হতাশা ও বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি পেতে পারে তার উপর শিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এজন্য প্রাইমারী স্কুলের সিলেবাসে নতুন করে এ বিষয়টা অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা করছে তারা। তাহলে অদুর ভবিষ্যতে তরুণদের সুইসাইড করার প্রবণতা কমতে পারে বলে তারা মনে করছে। ২০২০ সাল থেকে কিন্ডারগার্ডেন থেকে ইয়ার টেন স্কুল কারিকুলামে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে স্বাস্থ্য সচেতনতা, ব্যাক্তি উন্নয়ন সম্পর্কে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। মুলতঃ মানসিক অসুস্থতা ও তরুণদের সুইসাইড করার প্রবণতা দুর করতেই এই পদক্ষেপ। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী মনে করেন, পুরানো পদ্ধতিতে চেষ্টা করে আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় এই পদক্ষেপের কথা ভাবতে হচ্ছে। এটা এখন এমন গুরত্বপুর্ন সমস্যা যে, জীবন সম্পর্কে তাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী বদলাতে এর বিকল্প নেই। পারিবারিক বন্ধনের শিথিলতার বিকল্প হিসেবে এটা কার্যকর হবে বলে মনে করছেন তারা। 

এ শিক্ষা পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য জীবন চলার পথে নানা রকম সমস্যার সমাধানে আত্নবিশ্বাস বাড়ানো। পরিণত বয়সে এসেও যেন সম্পর্ক টিকে থাকে কিংবা আনন্দময় উপায়ে যাপন করা যায় তার জন্য ছোট থেকেই শিক্ষা দেয়া দরকার বলে শিক্ষাবোর্ডএই সিধান্ত নিতে যাচ্ছে। তাই ক্লাস থ্রি এবং ফোরের শিক্ষা কারিকুলামেই তাদের শেখানো হবে জীবনের উত্থানপতন স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেয়ার এবং জীবন সংগ্রামে বিশ্বাস ও আশাবাদী থেকে পরিপূর্ণভাবে যাপন করার উপায়। উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে খোলাখুলি মত প্রকাশের সুযোগ করা হলে তারা তাদের অনুভুতিগুলো অন্যদের সাথে ভাগ করে নিতে পারবে। পারিবারিক কিংবা সামাজিক বন্ধন বাড়াতে ও এ ধরণের পদক্ষেপ নেয়া এখনি খুব জরুরী।

ক্লাস সেভেন ও এইটের শিক্ষার্থীদের শেখানো হবে প্রিয়জন চলে যাওয়া কি করে সয়ে নিতে হয়।পাশাপাশি ভুল ধারণা কিভাবে মানুষের মনোজগতে ক্ষতি করে সে ব্যাপারেও তাদের সচেতন করা হবে।ক্লাস নাইন ও টেনের শিক্ষার্থীদের ধারণা দেয়া হবে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স ও ড্রাগের ক্ষতিকর দিকগুলো। এব্যাপারে কয়েক জন অবিভাবকদের মতামত নেয়া হলে তারা জানান, দুঃখ রাগ ঘৃণা হাতাশা বিষণ্ণতা যে জীবনের অংশ সেটা শেখানো আমাদের দ্বায়িত্ব। এ বিষয় গুলো যদি স্কুল থেকেই শেখানো শুরু করা হয় তাহলে তারা জীবনের নানা বিপর্যয় খুব স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করতে পারবে। এতে করে তাদের সৃজনশীলতা বাড়বে সর্বোপরি সমাজে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। জীবনবোধ এভাবেই জাগাতে হবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।
 
বস্তুত, জীবনবোধ সম্পর্কে ইতিবাচক ধরনা ও সচেতনতা বাড়াতে সময় অনুযায়ী সিধান্ত নেয়া সত্যিকার অর্থেই জরুরী। প্রসঙ্গক্রমে ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এর সাম্প্রতিক একটি ভবিষ্যৎবানী এখানে উল্লেখ করতে ইচ্ছে হলো।কিছুদিন আগে,লিসবনে ৬০ হাজার দর্শকের সামনে তিনি বলেছিলেন: কিছু দিনের মধ্যেই এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও বিকল্প উপনিবেশ গড়তে না পারলে ধ্বংস হয়ে যাবে মানুষ। ধ্বংসের কারণ হিসেবে বলেছেন, যন্ত্রের কৃত্রিম বুদ্ধি তথা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে।

সম্প্রতি বেইজিং অনুষ্ঠিত টেনসেন্ট ওয়েব সামিটে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি আবারো বলেন,আগামী ৬০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে নাকি মানুষের বিলুপ্তি ঘটবে।।মানুষের বিলুপ্তি ঠেকাতে তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, মানুষকে এই গ্রহ ত্যাগ করে অন্য কোন গ্রহে স্থানান্তরের বিষয়ে চিন্তা করা দরকার। এই মহাবিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বসবাসের জন্য পরবর্তি সবচেয়ে ভালো জায়গা হিসেবে তিনি আলফা সেন্টোরির কথা বলেছেন।স্মর্তব্য যে,আলফা সেন্টোরির দূরত্ব পৃথিবী থেকে ২৫ ট্রিলিয়ন মাইল বা ৪.৩৭ আলোকবর্ষ। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে দ্রুতগামী মহাকাশযান দিয়ে সেখানে যেতে সময় লাগবে ৩০ হাজার বছর।এসময় কমাতে হকিং একটি স্টারশট প্রোজেক্টে-‘ন্যানোক্রাফট’ নামক একটি যান তৈরীর কথা বলেন। এই ন্যানোক্রাফট দিয়ে আলফা সেন্টোরিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ২০ বছর এবং মজার বিষয় হল এই ন্যানোক্রাফট দিয়ে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাতে সময় লাগবে এক ঘন্টারও কম। আরমাত্র একদিন সময় লাগবেপ্লেটোতে পৌঁছাতে।
বিষয়টাএকারণে উল্লেখ করেছি যে, নতুন প্রজন্মকে এখন থেকে জীবনবোধ ও পারিপার্শ্বিকতা সম্পর্কে অনুপ্রেরণামূলক বিষয়ে আগ্রহী না করতে পারলে নিজেদের ধ্বংসের পাশাপাশি সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার পথ অদূরে নয়। জন্মের পরপরই যদি মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রতিআগ্রহী করাকেই বেশী গুরত্বপুর্ন মনে করা হয় তাহলে বিষণ্ণতা ও হতাশা সামাল দিতে না পারলে তারাএকসময় সুইসাইডের প্রতিই বেশী আগ্রহী হবে। বর্তমানে বহুল পরিমাণে প্রযুক্তি নির্ভর প্রবণতা ওযন্ত্রের কৃত্রিম বুদ্ধি তথা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ও হয়তো হতে পারে সে বিপর্যয়ের কারণ। তারচে আলফা সেন্টোরিতে পৌঁছাতে কি করা দরকার তার অনুপ্রেরণা দেয়াটাই বোধহয় সমীচীন। এতে অন্তত ইতিবাচক জীবনবোধে,জন্মাতে পারে মানবতার প্রতিপারস্পরিকসহানুভূতি।


এলএবাংলাটাইমস/সি/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত