শ্রমিকদের প্রতি সকলকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
মহানায়কের জন্মদিন
অভিনয় দিয়ে পঞ্চাশ দশকের দিকে দুই বাংলার দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করেছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার। তিনি ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বরে কোলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়।
মহানায়ক উত্তম কুমার ১৯৪৭ সালে ‘মায়াডোর’ নামে একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন। যদিও সিনেমাটি মুক্তি পায়নি। এরপর প্রথম সিনেমা হিসেবে ‘দৃষ্টিদান’ মুক্তি পেলেও তিনি আলোচনায় আসেনি। ‘বসু পরিবার’ সিনেমাটি দিয়ে খানিকটা পরিচিতি লাভ করেছিলেন। এরপর ১৯৫৩ সালে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সিনেমাটি দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে ঝড় তোলেন উত্তম কুমার। এই সিনেমার মধ্য দিয়েই বাংলা চলচ্চিত্রে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পান তিনি। শুরু হয় উত্তম যুগ। এরপর একে একে ‘হারানো সুর’, ‘পথে হল দেরী’, ‘সপ্তপদী’, ‘চাওয়া পাওয়া’, ‘বিপাশা’, ‘জীবন তৃষ্ণা’ আর ‘সাগরিকা’র মতো সিনেমা দর্শকদের উপহার দিতে শুরু করেন।
সুচিত্রা সেনের সাথে উত্তম কুমারের জুটি ছিল তুমুল জনপ্রিয়। এই কালজয়ী জুটি এক সাথে প্রায় ৩০টি সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন। যার মধ্যে ২৯টি সিনেমাই হিটের তালিকায়।
মহানায়ক উত্তম কুমার কেবল বাংলা চলচ্চিত্রেই অভিনয় করেননি; বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন। তার অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘ছোটিসি মুলাকাত’, ‘অমানুষ’, ‘আনন্দ আশ্রম’ উল্লেখযোগ্য। ক্যারিয়ারে অভিনয়ের জন্য ১৯৬৭ সালে ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ ও ‘চিড়িয়াখানা’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছিলেন।
মাত্র ৫৩ বছর বয়সে ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই মারা যান উত্তম কুমার। তার মৃত্যুতে বাংলা সিনেমায় শোকের ছায়া নেমে আসে। গোটা বাংলা যেন স্থবির হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখনও বাংলার মানুষের মনে প্রভাব বিস্তার করছেন মহানায়ক উত্তম কুমার। বাংলা সিনেমা যতদিন বেঁচে থাকবে তিনিও সবার মনে বেঁচে থাকবেন।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন