আপডেট :

        সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের মতো ইউনিয়ন পরিষদেও প্রশাসক নিয়োগের বিধান

        কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে

        নেতা আমানকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিলেন আদালত

        ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি

        রাজধানীতে ঝড়ে দেয়াল ভেঙে নারীর মৃত্যু

        মাদারীপুরে গাড়ির ধাক্কায় অজ্ঞাতনামা এক পথচারীর মৃত্যু

        রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি

        টাইটানিক সিনেমার অভিনেতা মারা গেছেন

        আবারো গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

        দুটি এম্বুলেন্সের একটি নষ্ট গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

        নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে মোট শয্যা হবে এক হাজার

        উপজেলা নির্বাচন: ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ

        ব্যাটে জয় পেলো বাংলাদেশ

        ব্যাটে জয় পেলো বাংলাদেশ

        সম্পূর্ণ বাংলা সাপোর্টের স্মার্টওয়াচ নিয়ে এলো দেশীয় প্রযুক্তি

        ছায়ানটের অন্যতম সদস্য শ্রী অশোক রায় নন্দীর মৃত্যু

        ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশর পর অফিসে পুলিশের অভিযান

        ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ৫৭, ঘরছাড়া ৭০ হাজার মানুষ

        ইসরায়েলে আল-জাজিরা টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত

        মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বিক্ষোভ

উইঘুর নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারে বাধ্য করছে চীন

উইঘুর নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারে বাধ্য করছে চীন

জনসংখ্যা কমাতে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমান নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারে বাধ্য করছে চীন। চীনা গবেষক আদ্রিয়ান জেনজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জাতিসংঘকে এ অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। চীন এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে।

এর আগেও চীনের বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলমানদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। ধারণা করা হয়, প্রায় ১০ লাখ উইঘুরকে বন্দিশিবিরে রেখে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হয়েছে। চীনের দাবি, তাদেরকে কারিগরি শিক্ষা দিতে এই ‘পুনঃশিক্ষা’ শিবিরে রাখা হয়েছে। গত বছর বিবিসির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যাতে বেড়ে উঠতে না পারে সেজন্য উইঘুর মুসলমান সন্তানদের তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে কৌশলে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে চীন।

সরকারি আঞ্চলিক পরিসংখ্যান, নীতি নির্ধারণী নথিপত্র এবং শিনজিয়াংয়ের নারীদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জেনজের প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

এতে অভিযোগ করা হয়েছে, গর্ভপাত না ঘটালে উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু নারীদের বন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় চীনা কর্মকর্তারা। যেসব নারীর সন্তান সংখ্যা দুইয়ের কম তাদের জরায়ুতে জোর করে জন্মনিয়ন্ত্রণ ডিভাইস প্রতিস্থাপনের আইনি বৈধতা দেওয়া হয়েছে। অন্যদের অপারেশনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বন্ধ্যা করা হয়। এছাড়া যেসব নারীর সন্তান সংখ্যা দুইয়ের বেশি তাদের বড় অংকের জরিমানা করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের শেষ দিক থেকে ব্যাপক নিপীড়ন শুরু হওয়ার পর শিনজিয়াং একটি নিষ্ঠুর পুলিশি রাজ্যে পরিণত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ব্যক্তিস্বাধীনতায় জরদস্তিমূলক রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের সর্বব্যাপী চেহারা উঠে এসেছে।’

জেনজের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিনজিয়াংয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে। ২০১৫ ও ২০১৮ সালের মধ্যে উইঘুরদের দুটি অঞ্চলে জন্মহার ৮৪ শতাংশ কমেছে। ২০১৯ সালে এই হার আরও কমেছে।

বার্তা সংস্থা এপিকে জেনজ বলেন, ‘এই হার কমে আসার ধরণ অপ্রত্যাশিত, এর প্রতি নিষ্ঠুরতা আছে। উইঘুরদের দাসে পরিণত করার ব্যাপক নিয়ন্ত্রণমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ এটি।’

দল বদল করা রাজনীতিবিদদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারপার্লামেন্টারি অ্যালায়েন্স অন চীনা সোমবার এক বিবৃতিতে ‘শিনজিয়াংয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আন্তর্জাতিক, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত পরিচালনার জন্য’ জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও চীনকে ‘দ্রুত এই ভয়াবহ পদ্ধতি বন্ধের আহ্বান’ জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি ‘সব দেশকে জাতিসংঘে যোগ দিয়ে এই অমানবিক নির্যাতন বন্ধের দাবি তুলতে আহ্বান’ জানিয়েছেন।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/আই

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত