আপডেট :

        ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ দাবানল, ৫ জনের মৃত্যু

        গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হয়েছে হামাস

        ইসরায়েলে মার্কিন গোলাবারুদের একটি চালান থামাল বাইডেন প্রশাসন

        জো বাইডেন ‘গেস্টাপো প্রশাসন’ চালাচ্ছেন, অভিযোগ ট্রাম্পের

        বাংলাদেশি তরুণ উইন নিহতের ভিডিও প্রকাশ

        টাইটানিক সিনেমার অভিনেতা বার্নার্ড হিল মারা গেছেন

        অধ্যাপকের পাঁজরের ৯টি হাড় ও হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ

        ব্রাজিলে বন্যায় ৭০ হাজার মানুষব্রাজিলে বন্যায় ৭০ হাজার মানুষ বাড়ি ছাড়া

        দুবাইয়ে সারা বছর লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়

        উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের (জিআই) তালিকা প্রস্তুত

        সৌদি আরবে তেলের দাম বৃদ্ধি

        রাশিয়ায় বিমান হামলা, নিহত ৭

        শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে বয়সসীমা বাড়ানোর একটি পত্র পেয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

        ৫ মে বৈশ্বিক এই আসরের সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি

        বিলাসবহুল রেল স্টেশন পরিণত হয়েছে বিনোদনকেন্দ্রে, চলে গেছে টিকটকাদের দখলে

        ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড’ স্লোগানে ছাত্রলীগ

        ধান কাটার সময় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

        নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

        অফিস শেষে নিমন্ত্রণ রক্ষায় করনীয়

        আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই

‘বার্থ ট্যুরিজম’ ঠেকাতে নয়া উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের

‘বার্থ ট্যুরিজম’ ঠেকাতে নয়া উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের

এবার অভিবাসন নিয়ে আরও কড়া ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের আমেরিকার ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে বলে ঘোষণা করা হল। মার্কিন নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, আমেরিকায় কোনও ভাবে সন্তানের জন্ম দিলে, সে সন্তানটি প্রশ্নহীনভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়ে যায়।

সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা-মায়েরও একটি ইমিগ্রেশন অধিকার তৈরি হয়ে যায়। এই আইনেরই সুবিধা নিচ্ছেন অনেকে। রীতিমতো ‘বার্থ ট্যুরিজম’ চলে এই কারণে। তাই এভাবে সন্তানের জন্ম দিয়ে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়া বন্ধ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
 
এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশিই জানা গেছে, নতুন করে আরও কয়েকটি দেশের উপর আমেরিকায় ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে। সে সব দেশের তালিকায় রয়েছে, মায়ানমার, বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, কিরগিজস্তান, নাইজেরিয়া ও তানজানিয়া। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।

আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এবার থেকে আমেরিকায় যাওয়ার ভিসা পেতে গেলে যে কোনও মহিলাকে আগে প্রমাণ করতে হবে, যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা নন। এখন যে ভিসা-নিয়ম চালু আছে, তাতে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ে কনস্যুলেটের আধিকারিকরা কখনও কোনও ভিসা আবেদনকারী অন্তঃসত্ত্বা কিনা, তা জিজ্ঞাসা করেন না। এবার থেকে তা করা হবে, এবং প্রয়োজনে মহিলার বক্তব্য খতিয়ে দেখাও হবে। সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশও জারি করা হবে। ‘বার্থ ট্যুরিজম’ বা সন্তানের জন্ম দিয়ে আমেরিকায় নাগরিকত্ব পাওয়ার ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাটি বন্ধ করার জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
 
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়া, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান সিরিয়া ও ইয়েমেন দেশের নাগরিকের জন্য মার্কিন ভিসা নিষিদ্ধ করার আদেশ জারি করেন। ভেনেজুয়েলার রাজনীতিকদেরও নিষিদ্ধের আওতায় রাখা হয়েছে মার্কিন ভিসা থেকে।

এবার ফের শুরু হচ্ছে আরও নতুন সব নিষেধাজ্ঞা। জানা গেছে, প্রতি বছর চিন, রাশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ-সহ বেশ কিছু দেশের হাজার হাজার মহিলা আমেরিকায় বেড়াতে গিয়ে সন্তানের জন্ম দিয়ে চলে যান। শুধু নাগরিকত্ব পাওয়াই নয়, আমেরিকায় অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের চিকিৎসাও খুব উন্নত।  মার্কিন নাগরিকত্ব আইনের সুযোগ নিয়ে এই ‘বার্থ ট্যুরিজম’-এর সংখ্যা বাড়ছে। তথ্য বলছে, কোনও কোনও বছরে প্রায় ৩৫ হাজার মহিলা কেবল সন্তানের জন্ম দিতে আমেরিকা ঘুরতে গেছিলেন, এমন নজিরও রয়েছে।
 
ফলে প্রতি বছর এই ‘বার্থ ট্যুরিজম’-এ আসা মহিলাদের চিকিৎসার জন্য মার্কিন নাগরিকদের দেওয়া করের অর্থ থেকে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হয়। একই সঙ্গে সদ্যোজাত শিশুটিও আমেরিকার ব্যয়বহুল চিকিৎসা বিনামূল্যে পেয়ে থাকে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চাপ বেড়ে যায়। সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে-পরে মায়েদের সামাজিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুবিধাও বিমানূল্য পাওয়া যায়।

এই যাবতীয় সুবিধাগুলি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকার রক্ষণশীল দলগুলো দীর্ঘদিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে আসছে।প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্বের আইনটিই বাতিল করতে চেয়েছেন একাধিক বার। মনে করা হচ্ছে, এরই প্রথম ধাপ হিসেবে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের আমেরিকার ভিসা দেওযায় নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।

তবে এ নিয়ে অনেক প্রশ্নও উঠেছে নানা মহলে। নাগরিক অধিকার রক্ষার সংগঠনগুলি বলছে, কনস্যুলেটের আধিকারিকরা কী করে নির্ধারণ করবেন যে এক জন মহিলা অন্তঃসত্ত্বা কিনা? এ ছাড়া কোনও মহিলা ভিসা নেওয়ার সময়ে প্রমাণ করতেই পারেন যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা নন। কিন্তু ভিসা পাওয়ার পর থেকে আমেরিকায় যাওয়ার সময় পর্যন্ত তিনি গর্ভধারণ করলে, সেক্ষেত্রে কী তাঁকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে?
 
এই বিষয়গুলি এখনও স্পষ্ট করেনি আমেরিকা। তা না করা পর্যন্ত এই আইন কার্যকর করা সমস্যাজনক বলেই মনে করছেন অনেকে।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত