আপডেট :

        শনিবার খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

        বৃষ্টি কামনায় ব্যাঙের বিয়ে নিয়ে প্রচলিত আছে নানা গল্পকথা

        ১৯৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ

        কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বলে অভিযুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

        নোবেল জয়ী বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস

        নাফ নদীতে মাছ শিকাররত ১০জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ

        টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে বিশ্বকাপের উদ্দেশে যাত্রা করবে টাইগাররা

        রাজধানীতে সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস

        রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টি নামলেও এসময় বজ্রপাতে ৩জন নিহত

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        অতি বামদের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা আমাকে উৎখাত করে কাকে ক্ষমতায় আনবে?

        মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী

        শ্রম অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতির পর্যায়

        কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রপাতে নিহত হলেন দিদারুল ইসলাম

        ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে

        ফিরছে নিহত আট বাংলাদেশির কফিনবন্দি লাশ

        বন্যহাতির আক্রমণে কিশোরের মৃত্যু হলো

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

করোনা মোকাবেলায় যা করতে পারে বাংলাদেশ

করোনা মোকাবেলায় যা করতে পারে বাংলাদেশ

ছবিঃ এলএ বাংলা টাইমস


পুরো বিশ্ব এখন আক্রান্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে। আর মরণব্যাধী এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও। কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা দেন যে, বাংলাদেশে ভাইরাসটির সামাজিক সংক্রমণ ঘটে গেছে। অবশ্য যেহেতু আগে করোনা টেস্ট এর কোন ব্যবস্থা ছিলো না বাংলাদেশে, সুতরাং সামাজিক সংক্রমণ ঠিক কোন সময়ে ঘটেছে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। 


যাইহোক, বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে খুবই শঙ্কিত এলএ বাংলা টাইমস। তাই, এখনো স্বদেশে ভয়ংকর এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে কিছু পরামর্শ তুলে ধরছে এলএ বাংলা টাইমস। 

সামাজিক সচেতনতা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা হল সামাজিক সচেতনতা তৈরি। আর এই সচেতনতার মূল লক্ষ্যই হল ভাইরাসটির সংক্রমণ কমাতে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার নির্দেশিকা বা গাইডলাইনগুলো মেনে চলা। 

কিন্তু সামাজিক সচেতনতার নামে ভিন্ন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। কারণ পুলিশ, সেনাবাহিনী বা প্রশাসনের লোক দিয়ে সামাজিক সচেতনতা সম্ভব নয়। সম্ভব যে নয়, তার প্রমাণ আমরা ইতোমধ্যে পেয়ে গেছি। প্রশাসন ক্যাডারের কয়েকজন কর্মকর্তার ক্ষমতা চর্চার বাড়াবাড়ি দেখেছি। দেখেছি জনগনের অসহিষ্ণু আচরণ। 

আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার এভাবে ভিডিও কলের মাধ্যমে শাসন কাজ পরিহার করে সচেতনতা তৈরিতে আমাদের সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করুক। সচেতনতা তৈরিতে ব্যবহার করা হোক মসজিদ, মন্দির, প্রাইমারি বা হাই স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের, দলীয় বিভিন্ন সংগঠন যেমন-ছাত্রলীগ, যুবলীগ, বা আওয়ামীলীগের অন্যান্য অঙ্গসংঘঠনগুলোকে। 

তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে পারে জেলা প্রশাসন। একজন ইমাম যদি প্রতিদিন নিয়ম করে ৫ ওয়াক্ত নামাজের আযানের সময় মহল্লার সবাইকে ভাইরাসটি সম্পর্কে সচেতন করে তাইলে এর জন্য সরকারের কোন অর্থও খরচ হবে না। প্রত্যেকটা গ্রামে কাজ করুক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য থেকে শুরু করে দলীয় রাজনৈতিক কর্মীরা। 

এসব করতে সরকারের যেমন কোন অর্থ খরচ হবে না। তেমনি কার্যকর হবে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনাসহ ভাইরাস সংক্রান্ত সকল স্বাস্থ্য বিধি। কারণ বাংলাদেশের এই স্বল্পসংখ্যক পুলিশ বা সেনা সদস্য দিয়ে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব নয়। 

এমন সচেতনতার জন্য এগিয়ে আসা উচিত জেলা প্রশাসককে। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগ করে দিতে পারেন প্রত্যেকটি উপজেলার দায়িত্ব। জাতীয় এই দুর্যোগে সকলের নিজ নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসা উচিত। এই সচেতনতা তৈরিতে এগিয়ে আসা উচিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের। 

কারণ তারা হল সমাজের মত মোড়ল (opinion leader)। তাদের কথা সবাই মানবে। এগিয়ে আসা উচিত, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের। তারা নিজ নিজ পরিবার বা মহল্লায় সচেতনতা তৈরিতে কাজ করুক। 

তবেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে হারিয়ে জিতে যাবে বাংলাদেশ। জিতে যাবে বাঙালি। জিতে যাব আমি আপনি আমরা সবাই। ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের আমাদের স্বপ্নের পৃথিবী।        


চিকিৎসা ব্যবস্থা 

কার্যকর একটি চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনেক কিছু করতে পারে। তবে সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে ডাক্তারদের নিরাপত্তা। ভাইরাসটি মোকাবেলা করতে এখন সামনের সাড়ির যোদ্ধা হল তারা। আমাদের প্রায় ২ হাজার মানুষ প্রতি ডাক্তারের সংখ্যা মাত্র ১ জন। সুতরাং তারা সংক্রমিত হলে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ধসে পড়বে। এক্ষেত্রে সরকার চিকিৎসকদের সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করার পাশাপাশি মেডিকেল পেশার অবসরপ্রাপ্তদের ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সাময়িক সময়ের জন্য নিয়োগ দিতে পারেন। 

সেইসাথে তাদের দিতে হবে কাজ করার স্বাধীনতা ও প্রাপ্য সম্মান। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি ইউনাইটেড, ল্যাবএইড, স্কয়ার যারা এতদিন রাষ্ট্রের এই স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ব্যবসা করে হিসেব ছাড়া টাকা কামিয়েছে তাদের সম্পৃক্ত করতে পারে। সম্পৃক্ত করতে পারে ডাক্তারদের পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে। স্বাচিব, বিএমডিসি ইত্যাদি অন্যান্য সংগঠনগুলোকে। সবাইকে তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে পেশাগত নৈতিকতার স্বার্থে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাতে পারে সরকার। জাতীয় এই দুর্যোগে দল মত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাতে পারেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। 

আশা করি, প্রিয় জন্মভূমি নিয়ে, দেশের মানুষের সুরক্ষা নিয়ে দূর প্রবাসে বসে এলএ বাংলা টাইমসের উদ্বিগ্নতা বাংলাদেশ সরকার বুঝতে পারবে। করোনায় জিতে যাক বাংলাদেশ। জিতে যাক প্রতিটা বাঙালি। জিতে যাক ৫৬ হাজার বর্গমাইলের আমাদের স্বপ্নের পৃথিবী।   

/এলএ বাংলা টাইমস/                       

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত