পালোস ভার্দেস উপকূলে পাওয়া ৩টি মানব দেহাবশেষের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
পালোস ভার্দেস এস্টেটস উপকূলের বিভিন্ন অংশে পাওয়া তিনটি মানব দেহাবশেষের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। এই দেহাবশেষগুলো তিনটি ভিন্ন নিখোঁজ ব্যক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট এবং ২০২৩ সাল থেকে তদন্তাধীন ছিল।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে জানুয়ারি ২০২১ সালে, যখন মার্ক পলসন নামে এক ব্যক্তি রেডন্ডো বিচ থেকে নৌভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ হন। তিনি সর্বশেষ তার নৌকার ইঞ্জিন সমস্যা এবং সমুদ্রে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে যোগাযোগ করেছিলেন। তল্লাশি অভিযানে যুক্ত ছিল ইউএস কোস্ট গার্ড, হারবার প্যাট্রোল এবং লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি লাইফগার্ডস। তবে তখন তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। দুই বছর পর, জানুয়ারি ২০২৩-এ, উপকূলের কাছাকাছি এক মানব পায়ের হাড় পাওয়া যায়। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সেটি মার্ক পলসনের বলে নিশ্চিত করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, "সমস্ত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কোনো ধরনের অপরাধের সন্দেহ নেই। তিনি নিখোঁজ হওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৬৮ বছর।"
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে নভেম্বর ২০২৪ সালে, যখন উপকূল থেকে একটি মানব খুলি এবং হাড় উদ্ধার করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষা অনুযায়ী, এগুলো রেমন্ড সিমারোথ নামে এক ব্যক্তির বলে শনাক্ত হয়। তিনি বেঁচে থাকলে এখন তার বয়স হতো ৫৭ বছর। পুলিশ ধারণা করছে, তিনি নিখোঁজ হওয়ার আগে গৃহহীন অবস্থায় ছিলেন। তদন্তে কোনো অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তৃতীয় ঘটনায়, ডিসেম্বর ২০২৪ সালে, সান পেদ্রো থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি ছোট মাছধরার নৌকা বিপজ্জনক ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে নিখোঁজ হয়। ২৩ ডিসেম্বর ক্যাব্রিলো বিচ থেকে যাত্রা শুরু করা নৌকাটি ২৫ ডিসেম্বর পালোস ভার্দেসের পাসেও দেল মার অঞ্চলের উপকূলে বিধ্বস্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরদিন উপকূলে দুটি মানুষের পায়ের অংশ পাওয়া যায়। ১৮ জুন ২০২৫-এ পুলিশ নিশ্চিত করে, এই দেহাবশেষগুলি নিখোঁজ জেলেদের একজন ঝাওলিয়াং টাং (বয়স ৬২) এর। তবে এখনো দ্বিতীয় জেলের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার ক্ষেত্রেও কোনো অপরাধের সন্দেহ নেই।
পুলিশ সংশ্লিষ্ট তিনটি পরিবারের সাথে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল শেয়ার করেছে এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।
পুলিশ প্রধান লুক হেলিনগা এক বিবৃতিতে বলেন, “পালোস ভার্দেস এস্টেটস পুলিশ বিভাগ প্রতিটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলোকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই ঘটনাগুলোর পেছনের কাহিনি যতোটা দুঃখজনকই হোক না কেন, আমরা আশাবাদী—পরিচয় শনাক্তকরণ কিছুটা হলেও তাদের মনে শান্তি এনে দেবে।”
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন