আপডেট :

        শনিবার খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

        বৃষ্টি কামনায় ব্যাঙের বিয়ে নিয়ে প্রচলিত আছে নানা গল্পকথা

        ১৯৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ

        কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বলে অভিযুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

        নোবেল জয়ী বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস

        নাফ নদীতে মাছ শিকাররত ১০জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ

        টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে বিশ্বকাপের উদ্দেশে যাত্রা করবে টাইগাররা

        রাজধানীতে সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস

        রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টি নামলেও এসময় বজ্রপাতে ৩জন নিহত

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        অতি বামদের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা আমাকে উৎখাত করে কাকে ক্ষমতায় আনবে?

        মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী

        শ্রম অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতির পর্যায়

        কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রপাতে নিহত হলেন দিদারুল ইসলাম

        ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে

        ফিরছে নিহত আট বাংলাদেশির কফিনবন্দি লাশ

        বন্যহাতির আক্রমণে কিশোরের মৃত্যু হলো

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

৩৪ বছর পর বাড়ি ফিরে ঈদের দিন মায়ের হাতে সেমাই খেলেন রফিকুল ইসলাম

৩৪ বছর পর বাড়ি ফিরে ঈদের দিন মায়ের হাতে সেমাই খেলেন রফিকুল ইসলাম

৩৪ বছর আগে রোজার ঈদে সেমাই না পেয়ে অভিমানে ঘর ছেড়েছিলেন সাতক্ষীরার আশাশুনির রফিকুল ইসলাম (৫৭)। গত সোমবার ঘরে ফেরেন তিনি। এবার ঈদে তিনি মায়ের হাতে খেয়েছেন সেমাই।


রফিকুল ইসলাম উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের নৈকাটি গ্রামের মতলেব সরদারের ছেলে।


জানা গেছে, রোজার ঈদে সেমাই না আনাকে কেন্দ্র করে ১৯৯০ সালে বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান রফিকুল ইসলাম। সেই থেকে কুমিল্লার মুরাদপুর উপজেলার চুরুলিয়া গ্রামে বসবাস করতেন তিনি। সেখানে বিয়ে করে সংসার পাতেন। তার রয়েছে এক ছেলে ও দুই মেয়ে।

রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই মহিদুল সরদ্দার বলেন, ‌‘১৯৯০ সালে ঈদের দিন আব্বা বাড়িতে সেমাই না আনার কারণে আমার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যান। চলে যাওয়া পর ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। তার পর থেকে বড় ভাইকে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। হঠাৎ করে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে বড় ভাইয়ের ছেলে আব্দুর রশিদ সরদার আমাদের বাড়িতে আসে। পরে আমরা চুরুলিয়া গ্রামে গিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি।’ 

 

সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসা রফিকুল ইসলাম (মাঝে) | ছবি: সংগৃহীত
রফিকুল ইসলামের মা শুকজান বিবি বলেন, ‘আমার বড় ছেলে রফিকুল ইসলামকে দীর্ঘ ৩৪ বছর পর আজা দেখতে পেলাম। আমার বুকের ধন ফিরে এসেছে। এতে আমরা সবাই খুব খুশি।’ 

বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক বলেন, ‘রফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে চলে গেলে তার বাবা মতলেব সরদার দীর্ঘদিন তাকে খুঁজেছেন। একপর্যায়ে হতাশ হয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। ৩৪ বছর পর সেই ছেলে ফিরে আসায়—সবাই খুব আনন্দিত।’  

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত