আপডেট :

        বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর অনেককিছুই এখন বাস্তবতা

        নির্বাচন করায় আরও ৪ নেতাকে বহিষ্কার

        নির্বাচন করায় আরও ৪ নেতাকে বহিষ্কার

        এবার বাড়লো জ্বালানি তেলের মূল্য

        অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতের চেষ্টা

        ফিলিপাইনে গরমে জেগে উঠেছে ডুবে যাওয়া শহর

        ফিলিস্তিনের জন্য বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করছে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

        নাভালনি হত্যায় পুতিনের জড়িত থাকা নিয়ে কী বলছে যুক্তরাষ্ট্র

        অপু-বুবলীর ‘কথাযুদ্ধ’ চলমান, মাঝে শাকিবের বিয়ে গুঞ্জন!

        শুক্রবারও ক্লাস-পরীক্ষা চালু থাকতে পারেঃ শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী

        সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম

        বিশ্বকাপ দলে বেশ চমক রেখেছে প্রোটিয়ারা

        বিশ্বকাপ দলে বেশ চমক রেখেছে প্রোটিয়ারা

        ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড; বাতাসের আর্দ্রতা ১২ শতাংশ

        তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে গত সাত দিনে সারা দেশে ১০ জনের মৃত্যু

        ভোট নিয়ে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশীদ খান যা বললেন

        হজের ভিসার আবেদনের সময় বাড়িয়েছে সৌদি আরব সরকার

        গত ৭ জানুয়ারি অনেক অপকর্ম করেছিঃ কেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া

        বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাব্য দিন জানালো আবহাওয়া অফিস

        রেলের ভাড়া না বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান

দেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের জোরালো ভূমিকার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

দেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের জোরালো ভূমিকার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা করেছেন বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক আরও জোরালো ভূমিকা রাখবে।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিদ্যমান অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে। বিশ্বব্যাংক আমাদের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। আমাদের এই প্রয়াসে বিশ্বব্যাংক আরও জোরালো ভূমিকা রাখবে-এ প্রত্যাশা করছি।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের সব উন্নয়ন পরিকল্পনা, ‘রূপকল্প ২০২১’ এবং ‘রূপকল্প ২০৪১’ জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্য-অশিক্ষা এবং বঞ্চনামুক্ত ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রণীত বলেও উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশকে অমিত সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এ দেশের মানুষ অত্যন্ত সাহসী, দৃঢ়চেতা এবং পরিশ্রমী। নিজেদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমরা দৃঢ়-প্রত্যয়ী। আমরা ইতিমধ্যে মানব-উন্নয়ন সূচকে মধ্যম ক্যাটাগরির দেশ এবং মাথাপিছু আয় বিবেচনায় নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা সহসাই স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটাগরি থেকে বেরিয়ে আসব এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সফররত বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানা ডিক্সন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের চিফ ইকোনমিস্ট পল রোমার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মেজবাহ উদ্দীন অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, মার্কিন রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি এবং বিভিন্ন দাতা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা তার ভাষণে আরও বলেছেন, ‘এগিয়ে যাওয়ার পথে আমাদের সামনে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমাদের জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের জনমিতিক সুবিধার (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড) সদ্ব্যবহার করতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, বেশ কিছু হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক প্রতিষ্ঠাসহ বেসরকারি এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) বাস্তবায়ন ও অর্জনে বাংলাদেশ অন্যতম সফল দেশ হিসেবে বিবেচিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এমডিজি বাস্তবায়নের দৃঢ় ভিত্তিকে বিবেচনায় নিয়ে আমরা এসডিজিস বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নের জন্য এসব লক্ষ্যসমূহ জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কৌশলে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নির্ধারিত সময় ২০৩০ সালের পূর্বেই এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একটি উচ্চপর্যায়ের তদারকি টিম এসডিজি বাস্তবায়ন কার্যক্রম সমন্বয় ও পরিবীক্ষণ করছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘অপুষ্টিজনিত সমস্যামুক্ত জনগোষ্ঠী জাতীয় উন্নয়নের প্রধান সম্পদ। ১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশে অপুষ্টিতে ভোগা জনগোষ্ঠীর হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেলেও, আর্থ-সামাজিক অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধিত হয়নি। কম ওজন, খর্বাকৃতি ও অন্যান্য অপুষ্টিজনিত সমস্যাগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য মাতৃ ও শিশু পুষ্টি উন্নয়নের লক্ষ্যে এ খাতে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা জাতীয় পুষ্টি নীতি ২০১৫ প্রণয়ন করেছি। ভবিষ্যতে আমরা পুষ্টি সেবা কার্যক্রম আরও প্রসারিত করতে চাই।’

শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, ‘প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট বহুবিধ দুর্যোগ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য সফলতা অর্জন করেছে।’

যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে তার সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের জঙ্গিবাদ দমনে আমরা সক্ষম হয়েছি। জঙ্গিবাদের অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে জঙ্গিবাদ দমন কার্যক্রমকেও আরও শাণিত করা হবে।’

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ইতিমধ্যে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক রাষ্ট্রের কাতারে শামিল হয়েছে।’

কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাস রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫ সালে ১৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৬৪তম। অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন-সংক্রান্ত ৪টি সূচকেই বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সংস্থার অবদানের কথা গভীরভাবে স্মরণ করেছেন তার ভাষণে।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত