“ফরিদপুরে এ.কে. আজাদ বাড়িতে বিএনপি মিছিল নিয়ে চড়াও, গণসংহতি আন্দোলনের তীব্র প্রতিবাদ
প্রশান্ত মহাসাগরে ১০ হাজার তিমি নিখোঁজ
প্রতি বছর নির্দিষ্ট পথ ঘুরে সারা
বিশ্বের মহাসাগরগুলো চষে বেড়ায়
হাম্পব্যাক তিমি। এ তিমিগুলো
বছরের এ সময়টিতে হাওয়াই দ্বীপে
আসার কথা থাকলেও তা আসছে না।
ফলে তিমিগুলোর পরিণতি নিয়ে
উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এক
প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে
বিজনেস ইনসাইডার।
নভেম্বর মাস থেকেই হাম্পব্যাক
তিমিগুলো হাওয়াই দ্বীপ সংলগ্ন
প্রশান্ত মহাসাগরে ফেরত আসা শুরু
হয়। মে মাসে তাদের সেখানে
অবস্থানের সময় শেষে তারা আবার
অন্যদিকে চলে যায়। এ বছর সে লক্ষণ
দেখা যাচ্ছে না।
১০ হাজার তিমি এ বছর নির্দিষ্ট
স্থানে ফেরত না আসার কারণ
অনুসন্ধান করছেন গবেষকরা। ধারণা
করা হচ্ছে, তিমিগুলো কোনো কারণে
সাগরের বিভিন্ন স্থানে আটকে
পড়েছে কিংবা তাদের চলার গতি
ধীর হয়ে গেছে।
কানাডার পশ্চিম উপকূলে ও আলাস্কা
থেকে এ তিমিগুলো প্রশান্ত
মহাসাগরের মাঝামাঝিতে চলে
আসে। এগুলোর চলার গতি থাকে
ঘণ্টায় প্রায় সাত মাইল।
কিছু গবেষক অনুমান করছেন,
তিমিগুলো এল নিনো কিংবা দ্রুত
বংশবৃদ্ধির প্রভাবে হতে পারে।
প্রশান্ত মহাসাগরেই এসব প্রভাব
দেখা গিয়েছে।
মেরিন বায়োলজিস্ট এড লাইম্যান
বলেন, ‘আমি এখন যে পরিস্থিতি
দেখছি, তা এক মাস হলে ঠিক ছিল।’
লাইম্যান জানান, অল্প কয়েকটা তিমি
তিনি দেখতে পেয়েছেন। তবে এ
সংখ্যা খুবই কম। এর কারণ হিসেবে
একটি তত্ত্ব হলো তিমির জনসংখ্যা
বৃদ্ধি। এ কারণে তিমির খাবারের
সংকট তৈরি হয়েছে। আর এতে খাবার
খুঁজতেই তিমিদের বাড়তি সময় ব্যয়
হচ্ছে। ফলে তারা সময়মতো অভিবাসন
করতে পারছে না।
হাম্পব্যাক তিমি ৪৫ ফুট লম্বা হয়।
এদের ওজন হতে পারে ৫০ টন পর্যন্ত।
নয়টি আফ্রিকান হাতির সমান ওজনের
হতে পারে এ তিমি।
শেয়ার করুন