“ফরিদপুরে এ.কে. আজাদ বাড়িতে বিএনপি মিছিল নিয়ে চড়াও, গণসংহতি আন্দোলনের তীব্র প্রতিবাদ
মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে দুই বাংলার মিলনমেলা
ভাষা সংস্কৃতির ধারক, কৃষ্টির ধারক। কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ভাষার চেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম নেই। আর মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যারা এগিয়ে তাদের টানে ছুটে এসেছেন ওপার বাংলার মানুষ। প্রতি বছরের মতো এবারও দুই বাংলা যৌভভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে।
রোববার বেনাপোল ও পেট্রাপোলে দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ‘দুই বাংলার মিলনমেলা মঞ্চ’ নাম দিয়ে বেনাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে এবং ওপারে পেট্রাপোল চেকপোস্ট এলাকার নোম্যান্সল্যান্ডের রফতানি মাঠে নির্মিত হয় মঞ্চ।
উভয় দেশের অতিথিরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে এই মঞ্চে অহংকারের ভাষা নিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। আর এসব আয়োজনে অংশ নিতে উপস্থিত হন হাজারো বাংলা ভাষার মানুষ। যা বাংলা ভাষাভাষীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
রোববার সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল একুশের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেনাপোলে আসেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, বনগাঁ লোকসভার সাংসদ মমতা ঠাঁকুর প্রমুখ।
সেখানে তাদের বরণ করে নেন বেনাপোল পৌরসভার মেয়র কেন্দ্রীয় যুবলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন। সকাল ১০ টার দিকে বাংলাদেশ অংশের শহীদ মিনারে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফের সঙ্গে ভারতের অতিথিরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা।
এতে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ, আসিফ-উদ-দ্দৌল্লা সরদার অলোক প্রমুখ। এছাড়াও বক্তব্য দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী, কবি-সাহিত্যিকেরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ফকির আলমগীর, সৈয়দ আবদুল হাদী ও নাট্য ব্যক্তিত্ব পিযুষ বন্দোপাধ্যায়।
বেনাপোলের অনুষ্ঠান শেষে একুশ উৎসব উপলক্ষে দুপুর ১২টায় ভারতীয় অতিথিরা বাংলাদেশি অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে নিজেদের দেশে ফিরে যান। সেখানে নির্মিত শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। পরে আলোচনা সভায় অংশ নেন।
এদিকে, দুই বাংলার মিলনমেলা উপলক্ষে দুই দেশের রাজনৈতিক নেতাদের ছবিসহ ব্যানার আর বাহারি সাজে সাজানো হয়েছিল বেনাপোল ও পেট্রাপোল এলাকা।
শেয়ার করুন