“ফরিদপুরে এ.কে. আজাদ বাড়িতে বিএনপি মিছিল নিয়ে চড়াও, গণসংহতি আন্দোলনের তীব্র প্রতিবাদ
কলকাতায় ফ্লাইওভার ধস : নিহত ২৬
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে রাতভর চলা উদ্ধার অভিযান এখন শেষ পর্যায়ে। আর ফ্লাইওভারটি নির্মাণের দায়িত্বে থাকা হায়দরাবাদের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইভিআরসিএল কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার সর্বশেষ খবরে ফ্লাইওভার ধসে নিহতের সংখ্যা ২৬ জন বলে জানিয়েছে।
অবশ্য অপর সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই সংখ্যা ২৪ বলেছে। উদ্ধার অভিযান শেষ পর্যায়ে, তাই নিহতের সংখ্যা বাড়বে না বলেই আশা করছেন কর্মকর্তারা।
কলকাতায় আজও (শুক্রবার) ধসে পড়া ফ্লাইওভারের ধ্বংসস্তুপে উদ্ধার অভিযান চলে।
এনডিটিভি জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মধ্য কলকাতায় ব্যস্ততম এলাকায় ১০০ মিটার দীর্ঘ নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারটি ভেঙে পড়ে। এর পর থেকে আজ পর্যন্ত ৯০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ক্রেনসহ বিভিন্ন ধরনের হালকা ও ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে রাতভর ধ্বংসস্তুপের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চলে। একই সঙ্গে আটকেপড়া মানুষের অবস্থান শনাক্তে তাপভিত্তিক ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। অগ্নিনির্বাপণকর্মী, পুলিশ ও সেনাসদস্যরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। আজ সকালে এক কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধারকাজ প্রায় শেষ। আর কেউ ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে নেই।
এদিকে, সিসিটিভি ফুটেজে ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ার মুহূর্তের ভিডিও পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে খাবারের সময় রাস্তায় থাকা গাড়ি, পথচারীর ওপর নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের ভারী ধাতব কাঠামো ও ঢালাই করা অংশ হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে।
হায়দরাবাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইভিআরসিএল প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে এরই মধ্যে হায়দরাবাদ রওনা দিয়েছে কলকাতা পুলিশের একটি দল।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে ২ কিলোমিটার ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শুরু হয়।হস্তান্তরের সময় শেষ হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই, তবে এখনো ফ্লাইওভারের কাজ শেষ করতে পারেনি আইভিআরসিএল। ২০০৯ সালে কাজ শুরুর সময় প্রতিষ্ঠানটিকে ১৬৫ কোটি টাকার প্রকল্পের জন্য ১৮ মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু সাত বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানটি ৬০ শতাংশ কাজ শেষ করতে পেরেছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরই মধ্যে ফ্লাইওভার ধসের ঘটনার জন্য বামফ্রন্টকে দায়ী করেছেন। কারণ, বামফ্রন্ট সরকারের সময়ই আইভিআরসিএলকে ফ্লাইওভার নির্মাণের ঠিকাদারি দেওয়া হয়।
শেয়ার করুন