ড. আর এ গণি'র মৃত্যুতে ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র শোক প্রকাশ
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ক্যালিফোর্ণিয়া শাখা।
গণমাধ্যমে পাঠানো ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র শোকবার্তায় বলা হয়, "বর্তমান দুঃসময়ে ড. আর এ গণির পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়া দেশ ও দলের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বর্তমানে সুস্থ পরিবেশে গণতন্ত্র চর্চার চরম সংকটকালে তার মতো একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের পরামর্শ ও উপস্থিতি ছিল খুবই জরুরী। স্বহৃদয় এই মানুষটি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই নিরলসভাবে দেশ ও দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে গেছেন। তিনি শহীদ জিয়ার প্রবর্তিত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণ ও বহুদলীয় গণতন্ত্রকে দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ করতেন। যে কারনে তিনি মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আপোষহীনভাবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করেছেন। কখনই তিনি নীতি ও আদর্শ থেকে কিঞ্চিত পরিমানও বিচ্যুত হননি।"
শোকবার্তাতে আরও বলা হয়েছে, "শহীদ জিয়া ও বেগম জিয়ার অকৃত্রিম সহকর্মী হিসেবে ড. গণি কোনরকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই একাগ্রচিত্তে কাজ করে গেছেন। তার সুচিন্তিত পরামর্শ ছিল অতীব মূল্যবান। সুসময় ও দুঃসময় উভয়কালেই তিনি নিজেকে দলের সাথে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। দলের সকল সংকটকালে তিনি পিছিয়ে থাকেননি, বরং দু:সাহসের ওপর ভর করে সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে এসেছিলেন। স্বাতন্ত্রধর্মী এই মানুষটি দেশের গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে একজন ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ধৈর্য, বাক সংযম, স্পষ্টবাদিতা ছিল তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আমরা মরহুম ড. আর গণির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।"
উল্লেখ্য যে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ড. আর এ গণি।
ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র পক্ষ থেকে শোক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনঃ সভাপতি মো. আ. বাছিত, সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী কাঞ্চন, ডাব্লিউ আমিন, নিয়াজ মোহাইমেন, মুর্শেদুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান শাহীন, সামসুজ্জোহা বাবলু, আহসান হাফিজ রুমী, সালাম দাড়িয়া, মাহতাব আহমেদ, এম. ওয়াহিদ রহমান, বদরুল আমল চৌধুরী শিপলু, জুনেল আহমেদ, ইলিয়াস শিকদার, ফারুক হাওলাদার, লায়েক আহমেদ, সৈয়দ নাসিরউদ্দিন জেবুল, মারুফ খান, মোয়াজ্জেম রাসেল, বদরুল আলম মাসুদ, শাহীন হক, মিকায়েল খান রাসেল, শাহাদাত শাহীন, লোকমান হোসেন, জাভেদ বখত, সেলিমা ইয়াসমিন, রওশন আরা, আবদুল হাকিম, খন্দকার তসলিম, আমজাদ হোসেন, মন্টু চৌধুরি, মুনিম আহমেদ, ওমর ফারুক, বাবুল হোসেন, পারভেজ, হাসানুজ্জামান মিজান, শান্ত, মামুন খান, সাইদ নিপু, ফেরদৌস সুজন, মিশর নুন, মাহমুদ, আলি হায়দার মিল্টন, তারিক বাবু, আলমগীর, আউয়াল অপু, হালিম, এনাম, জহির, হামিদ খোকন সহ অনেকেই।
বিএনপি'র এই প্রবীণ নেতা, সাবেক মন্ত্রী ড. আর এ গণি কয়েকদিন আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে নেয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেয়ার কথা ছিল আর এ গণিকে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বিদেশে নেয়া সম্ভব হয়নি। পরে তাকে ওই হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৩ জানুয়ারি বুধবার রাত ১০টায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছিল।
শুক্রবার ১২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি এক ছেলে, তিন মেয়ে ও আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মী, বন্ধুবান্ধবসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শেয়ার করুন