আপডেট :

        ট্রাফিক পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে রক্ষা পেল রিকশাচালকের প্রাণ

        আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা বন্ধ রাখার নির্দেশ

        তাপদাহের দোহায় দিয়ে এসির দাম রাখা হচ্ছে বেশি

        বঙ্গবন্ধু কন্যার শেখ হাসিনার কমিউনিটি ভিশন সেন্টার

        নাইরোবির উত্তরে একটি শহরে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছে

        নাইরোবির উত্তরে একটি শহরে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছে

        রাজধানীতে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে চলে বেচাকেনা

        রাজধানীতে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে চলে বেচাকেনা

        হিট‌স্ট্রো‌কে আক্রান্ত হ‌য়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার মিরা অসুস্থ‌

        জেনে নেওয়া যাক ঢাকাসহ দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে

        দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও কিছুটা কমানো হয়েছে

        ইরাকে নতুন আইন, সমকামিতার সাজা সর্বোচ্চ ১৫ বছরের জেল

        বিমানবন্দরে বিশ্বের সবচেয়ে ‘বড় টার্মিনাল’ বানাচ্ছে দুবাই!

        কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে বসে ছিল পুলিশ, পরে মৃত্যু

        ক্ষমা চাইলেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারী

        যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে ৫ জনের মৃত্যু

        গরমে আরামের তিন রেসিপি

        ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপে সহজেই হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব

        একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন

        অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন আব্দুস সালাম

ইসরাইলি চরমপন্থীদের আগুনে 'পুড়ে অঙ্গার' ফিলিস্তিনি শিশু

ইসরাইলি চরমপন্থীদের আগুনে 'পুড়ে অঙ্গার' ফিলিস্তিনি শিশু

ইসরাইলি চরমপন্থীদের আগুনে 'পুড়ে অঙ্গার' ফিলিস্তিনি শিশুযাযাদি ডেস্ক শিশুটির স্বজনদের আহাজারিফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের একটি বাড়িতে শুক্রবার সকালে ইসরাইলি চরমপন্থীদের দেয়া আগুনে ১৮ মাস বয়সী এক ফিলিস্তিনি শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। ওই আগুনে শিশুটির বড় ভাই ও বাবা-মাও আহত হয়েছেন। এদিকে এ ঘটনা কেন্দ্র করে ক্ষোভে-উত্তেজনায় ফুঁসে উঠেছেন ফিলিস্তিনিরা। এছাড়া 'নারকীয়' এ ঘটনায় ইসরাইল সরাসরি দায়ী বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। সংবাদসূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা
অধিকৃত পশ্চিম তীরের কাফার দৌমা গ্রামের একটি বসতবাড়িতে আগুন দেয় চরমপন্থী ইসরাইলিরা। ওই আগুনে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা এক শিশু নিহত ও তার পরিবারের অন্য তিন সদস্য আহত হন। হামলাকারীরা বাড়িটির কাছাকাছি স্থানের একটি দেয়ালে আগুন দেয়ার এই ঘটনাকে 'হিব্রুর ঘটনার প্রতিশোধ' হিসেবে লিখে রেখে যায়।
ইসরাইলি পুলিশের নারী মুখপাত্র লুবা সামরি বলেন, 'এ হামলার পেছনে জাতীয়তাবাদী মতবাদ কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।' হামলার ঘটনার পরপরই এক বিবৃতিতে এটাকে 'বর্বরোচিত' ও 'সন্ত্রাসী হামলা' হিসেবে উল্লেখ করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তারা এ ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের ধরে বিচারের সম্মুখীন করতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর আহত বাবা তার স্ত্রী এবং চার বছর বয়সী ছেলেকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও ছোট ছেলেকে জীবিত উদ্ধার করতে পারেননি। এ অগি্নকা- পার্শ্ববর্তী আরেকটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে বলেও জানান তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, অন্তত চারজন দুর্বৃত্ত এ ঘটনা ঘটায়। দুমা গ্রামের কাছে ইসরাইলের অন্তত তিনটি অবৈধ বসতি রয়েছে। দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাবলুসের রাফিদিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের শরীরের প্রায় ৭৫ শতাংশই পুড়ে গেছে। এদিকে, এ ঘটনায় ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের দিকেই আঙুল তুলেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু আরদেইনেহ বলেন, 'ইসরাইল সরকারই এ ঘটনার জন্য দায়ী। কারণ তারা ফিলিস্তিনে ঔপনিবেশিকতার মনোভাব নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনার চেষ্টা করে ও যারা এ ধরনের কাজ করে তাদের পক্ষ নেয়।' এ সময় ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের এ 'অন্যায়' মেনে নিয়ে নীরবতা পালনের মাধ্যমে প্রশ্রয়' দেয়ার অভিযোগ তুলে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও দোষারোপ করেন। এর আগে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) এ ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানান।
অপরদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক টুইট বার্তায় এই ঘটনাতে 'ঘৃণ্য এবং ভয়াবহ' বলে উল্লেখ করেন। এ ঘটনাকে তিনি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হিসেবেও তুলে ধরেন। ইসরাইল সবসময়ই এ ধরনের কার্যকলাপের বিরোধিতা করে আসছে বলেও দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, পশ্চিম তীরের অধিকৃত অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রায়ই হামলা চালিয়ে থাকে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিরা। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ওই অঞ্চলে ২০১৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর অন্তত ১২০টি হামলার ঘটনা ঘটে। অগি্নকা-ের মাধ্যমে শিশু হত্যার ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত