আপডেট :

        ট্রাফিক পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে রক্ষা পেল রিকশাচালকের প্রাণ

        আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা বন্ধ রাখার নির্দেশ

        তাপদাহের দোহায় দিয়ে এসির দাম রাখা হচ্ছে বেশি

        বঙ্গবন্ধু কন্যার শেখ হাসিনার কমিউনিটি ভিশন সেন্টার

        নাইরোবির উত্তরে একটি শহরে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছে

        নাইরোবির উত্তরে একটি শহরে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছে

        রাজধানীতে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে চলে বেচাকেনা

        রাজধানীতে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে চলে বেচাকেনা

        হিট‌স্ট্রো‌কে আক্রান্ত হ‌য়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার মিরা অসুস্থ‌

        জেনে নেওয়া যাক ঢাকাসহ দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে

        দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও কিছুটা কমানো হয়েছে

        ইরাকে নতুন আইন, সমকামিতার সাজা সর্বোচ্চ ১৫ বছরের জেল

        বিমানবন্দরে বিশ্বের সবচেয়ে ‘বড় টার্মিনাল’ বানাচ্ছে দুবাই!

        কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে বসে ছিল পুলিশ, পরে মৃত্যু

        ক্ষমা চাইলেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারী

        যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে ৫ জনের মৃত্যু

        গরমে আরামের তিন রেসিপি

        ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপে সহজেই হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব

        একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন

        অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন আব্দুস সালাম

‘বিশ্বের বিশাল অংশ দখল করতে চায় আইএসের’

‘বিশ্বের বিশাল অংশ দখল করতে চায় আইএসের’

২০২০ সালের মধ্যে ভারতসহ বিশ্বের বিশাল অংশ দখলে  নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
 
পরিকল্পিত নিয়ন্ত্রণ ভূমির একটি মানচিত্রও প্রকাশ করেছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী, বিবিসির সাংবাদিক এন্ড্রু হোসকেনের ‘এম্পায়ার অব ফেয়ার: ইনসাইড দ্য ইসলামিক স্টেট’ শীর্ষক নতুন একটি বইয়ে এটি প্রকাশ করা হয়েছে।
 
মানচিত্রে দেখা গেছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আইএস ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ এলাকা দখলে নেওয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং ইউরোপের বেশ কিছু স্থানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছে।
 
আইএস এর শরিয়া আইনের এ নতুন রাষ্ট্র বা ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার আওতায় রয়েছে পশ্চিমে স্পেন থেকে পূর্বে চীন পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
 
এর মধ্যেই ভারতীয় উপমহাদেশ, মধ্য এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং ইউরোপের একাংশ রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের দৈনিক ‘মিরর’।
 
শুধু তাই নয়, মানচিত্রে ওই জায়গাগুলোর নতুন নামও আইএস ইতোমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছে। ভারতীয় উপমহাদেশের নামকরণ করা হয়েছে ‘খুরাসান’। স্পেন, পর্তুগাল ও ফ্রান্সের নাম আরবি ভাষায় একসঙ্গে দেয়া হয়েছে ‘আন্দালুস’।
 
বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে, আইএস এর রয়েছে ৫০ হাজার সদস্য। নগদ অর্থ এবং সম্পদ আছে প্রায় ২০০ কোটি পাউন্ডের। একই সঙ্গে ইরাক ও সিরিয়ার গ্যাস ও তেলক্ষেত্রগুলোও আছে তাদের দখলে।
 
আইএসের বর্বরতায় বিশ্ব এরই মধ্যে স্তম্ভিত, মর্মাহত হয়েছে। ইরাক, সিরিয়া এরই মধ্যে অস্থিতিশীল করে তুলেছে কট্টর এ গোষ্ঠীটি। এখন সৌদি আরব, লিবিয়া পরিস্থিতিকে তারা অস্থিতিশীল করে তুলছে। সমপ্রতি তিউনিসিয়ায় আইএসের তাণ্ডবে পর্যটন শিল্প প্রায় ধ্বংসের মুখে পৌঁছেছে।
 
বিবিসি সাংবাদিক হোসকেন বলেছেন, ‘আইএস গোটা বিশ্বকেই তাদের শাসনাধীনে আনতে চায়। প্রথমে তারা ইসলামী বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে। একবার তারা এখানে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করে নিলে পরে তারা বাকি বিশ্বকে কব্জা করার পথে এগুবে।’
 
সাত-দফা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আইএস সে পথে এগোনোর পরিকল্পনা করেছে। ২০ বছর আগেই এ পরিকল্পনার ঘোষণা করেছিলেন আইএসের প্রতিষ্ঠাতা মুসাব-আল-জারকাবি।
 
এতে বলা হয়েছিল,  ২০০০-৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র  মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে।  এরপর ২০১০-১৩ সালের মধ্যে আরব দেশগুলোতে গণঅভ্যুত্থান হবে এবং বিশ্বের বেশির ভাগ অংশ আইএসের দখলে আসবে।
 
প্রথম দুটি এরই মধ্যে মিলেছে। তৃতীয়টিও সত্য হয়ে যাবে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
 
হোসকেন বলছেন, ২০১০-১১ সালে এ জিহাদি জঙ্গিদের প্রায় নিঃশেষই করে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু একেবারে নির্মূল না হওয়ায় তারা আবার ক্যান্সারের মতো ফিরে এসেছে।
 
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ ৬০টি দেশ আইএসের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হওয়ায় তাদের লক্ষ্য পূরণ হওয়া অসম্ভব মনে হলেও হোসকেন এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
 
তিনি বলছেন, আইএসের ওপর দীর্ঘ বিমান হামলা চলতে থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে স্থল অভিযানে নামার জন্য যুক্তরাজ্য ও অন্য দেশগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে।
 
কিন্তু স্থল আগ্রাসন হলে তা আইএসের জন্য শাপে বর হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই মনে করছেন হোসকেন।
 
কারণ, এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা একাট্টা হয়ে আইএসের সঙ্গে যোগ দিতে পারে। আর আইএসও চায় তাদের চলমান লড়াইকে সবাই পশ্চিমা বিশ্বের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই হিসাবেই দেখুক।


শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত