‘সালাম’ ভালোবাসার নির্মল সেতুবন্ধন
মানুষের মাঝে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি সৃষ্টি এবং পারস্পরিক ঝগড়া বিবাদ নিরসনে সালামের গুরুত্ব অপরিসীম। ঝগড়া ফাসাদ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। জীবনের স্বাচ্ছন্দ্য গতিকে চরমভাবে ব্যাহত করে।
কিন্তু মুহাব্বত ও প্রীতি ভালোবাসা মানুষের জীবনকে করে সুখ ও আনন্দে ভরপুর। পৃথিবীর যত জ্ঞানী-গুণী, সবার সর্বসম্মত বক্তব্য, সেই সুখ-স্বাচ্ছন্দ লাভের একমাত্র উপায় হল পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসা। এই সৌহার্য্য ও সম্প্রীতি কীভাবে সৃষ্টি হবে?
এর সমাধান নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়ে গেছেন। তিনি সাহাবিদেরকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি আমল শিক্ষা দিব, যা করলে তোমরা একে অপরকে ভালোবাসতে শিখবে? তোমরা সালামের প্রসার ঘটাবে।’
নবীজীর এই কথার পরে পৃথিবীর মানুষ লাভ করল বিশ্ব শান্তির এক অনন্য সাধারণ অমোঘ ব্যবস্থা। কেননা সালাম মানুষকে পরস্পর বন্ধনে আবদ্ধ করে। সালাম মানুষের হৃদয় ও আত্মার গভীরে শান্তির শীতল স্পর্শ দান করে। সমাজবদ্ধ জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধির মূল শক্তিই তো হল এই বন্ধন, আত্মার সাথে আত্মার প্রগাঢ় সম্মিলন।
নবীজী ঘোষণা দিলেন, তোমরা সালামের প্রসার ঘটাও, আর তাতেই সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে শুরু হয়ে গেল প্রতিযোগিতা, কে কার আগে সালাম দিতে পারে। সালামের প্রসারে কে কার চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারে।
নবীজীর এই বাণী সাহাবায়ে কেরামের জীবনে আপন মহিমায় মূর্ত হয়ে উঠেছিল। তাই তাঁদের জীবনে ঘটেছিল সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বিস্ময়কর অনেক ঘটনা। তারা মানুষকে ভালোবাসতে পেরেছিলেন হৃদয় ও মনের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে। তাঁরা সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন ভাইয়ের জন্য ভাইয়ের স্বার্থত্যাগ ও আত্মত্যাগের বিরল ও বিস্ময়কর ইতিহাস।
এলএবাংলাটাইমস/আইএল/এলআরটি
শেয়ার করুন