আপডেট :

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল

        মানবাধিকারের উল্লেখযোগ্য উন্নতি

        প্রচণ্ড এই গরম থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন জায়গায় নামাজ পড়ে দোয়া

        যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার

        এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো

        মার্কিন বিমান আটকে দিলো ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির!

        চিতাবাঘের আক্রমণে আহত জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার হুইটাল

        যুক্তরাষ্ট্রে গরুর দুধেও বার্ড ফ্লু শনাক্ত

        পবিত্র হজ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

        গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

        পার্লামেন্টে জুতা চুরি, খালি পায়ে ঘরে ফিরলেন পাকিস্তানের এমপিরা

        অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

        কুড়িগ্রামে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু

        চীন সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

        দেশে একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কিছুটা কমানো হয়েছে

        ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে

        ইউক্রেনে গোপনে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

        আবহাওয়া বিবেচনায় খোলা হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

        ‘ব্ল্যাক’ ফিরে যাচ্ছে পুরনো লাইনআপে!

        অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি কামনায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসতিসকার নামাজ

উপার্জন কখন হালাল, কখন হারাম

উপার্জন কখন হালাল, কখন হারাম

উপার্জন করা কখনো ফরজ হয়ে যায়। তা হলোÑ নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, ঋণ পরিশোধের জন্য এবং যার খরচ দেয়া ব্যক্তির ওপর আবশ্যক তার খরচের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ উপার্জন করা। রাসূল যা বলেছেন, ‘ব্যক্তির পাপের জন্য এটাই যথেষ্ট, যাদের খোরপোশ প্রদান তার কর্তব্য তাদের খোরপোশ যে বন্ধ রাখবে।’
এ পরিমাণ উপার্জনের পর যদি উপার্জন করা ছেড়ে দেয়, তাহলে তার সেটা করার অধিকার আছে। আর যদি নিজের ও পরিবারের জন্য মজুদ করার মতো কিছু উপার্জন করে তাহলে সেটারও সুযোগ আছে।
কখনো উপার্জন করা মুস্তাহাব। তা হলো ন্যূনতম প্রয়োজনের অধিক উপার্জন করা, যেন তা দ্বারা দরিদ্রকে সহযোগিতা বা নিকটাত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করা যায়।
দ্বীন, ইজ্জত, ব্যক্তিত্ব ও দায়মুক্তিকে নিরাপদ রাখার সাথে সম্পদ ও সম্মান বাড়ানোর জন্য, সচ্ছলতা অর্জন এবং উন্নত জীবনযাপনের জন্য এবং পরিবারকে প্রাচুর্যময় রাখার জন্য হালাল সম্পদ উপার্জন বৈধ। কেননা এ শর্তগুলো থাকলে উপার্জনে কোনো ক্ষতি নেই।
গর্ব-অহঙ্কার ও বড়াই করার জন্য উপার্জন করা, যদি হালাল সম্পদের উপার্জন করা হয় তবুও হানাফিদের মতে তা মাকরূহ। হাম্বলিরা স্পষ্ট ভাষায় এটাকে হারাম বলেছেন, যেহেতু তাতে রয়েছে বড়াই ও গর্ব, যা ব্যক্তিকে পার্থিব ও পরকালীন বিচারে ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
আবুল লাইচ সমরকান্দী র: বলেন, যে চায় উপার্জন হালাল হোক তার পাঁচটি বিষয় অনুসরণ করা আবশ্যক : ১. উপার্জনের প্রয়োজনে আল্লাহর কোনো ফরজ বিধান পালনে বিলম্ব না করা এবং তাতে ত্রুটি না করা; ২. উপার্জনের প্রয়োজনে আল্লাহর কোনো সৃষ্টিকে কষ্ট না দেয়া; ৩. উপার্জন দিয়ে নিজের ও পরিবারের চাহিদা পূরণ এবং দ্বীন ও সম্মান বাঁচানোই কাম্য হওয়া। সম্পদ জমা করা ও বাড়ানোর লক্ষ্যে উপার্জন না করা; ৪. উপার্জনে নিজেকে অতিকান্ত না করে ফেলা; ৫. উপার্জনেই রিজিক অর্জিত হয়, এ কথা মনে না করা। বরং এ কথা মনে রাখতে হবে, রিজিক আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রদত্ত হয়, উপার্জন হচ্ছে তার একটি মাধ্যম।
প্রত্যেক উপার্জনক্ষম মুসলমানের ওপর উপার্জন সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করা আবশ্যক। এ জ্ঞান অর্জন করতে হবে চুক্তির সে বিধানগুলো জানার জন্য, যেগুলো থেকে উপার্জনপন্থা কখনো মুক্ত হয় না। সেগুলো হলো : ক্রয়-বিক্রয়, সুদ, সালাম বা দাদন চুক্তি, ইজারা প্রদান, সারিকা এবং মুদারাবা। এসব চুক্তির বিধানবলির জ্ঞান যত অর্জিত হবে উপার্জনকারী লেনদেনের ক্ষতিকর বিষয়াদি সম্পর্কে তত জানতে পারবে। ফলে সেগুলো থেকেও বেঁচে থাকতে সক্ষম হবে।

এলএবাংলাটাইমস/আইএল/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর