আপডেট :

        পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে

        গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর যুক্তরাষ্ট্রের !

        রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করার নির্দেশ

        জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অবদান কখনোই ভুলবার নয়

        ৮৮ আসনে দুপুর পর্যন্ত কত ভোট পড়লো

        ২৬ জেলার ওপর তাপপ্রবাহ

        চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা

        চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা

        কেন্দ্রীয় কি ঋণখেলাপি ও অর্থপাচারের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে, প্রশ্ন টিআইবির

        ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

        বিমান হামলায় নিহত এক নারীর গর্ভ থেকে প্রসব হওয়া সন্তানটি মারা গেছে

        ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাং গ্রেফতার

        তাপ্প্রবাহে ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড

        তিন দিনের সফরে বর্তমানে চীনে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

        ভারতীয় দলে হার্দিক পাণ্ডিয়া ও বিরাট কোহলি নেই

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৭৩ জনকে সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার

        ভারতে ভোটারদের আগ্রহ বাড়াতে বিনামূল্যে খাবার

        থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আশা প্রধানমন্ত্রীর

        বাজারে বেড়েই চলছে অস্থিরতা

        ইংরেজ গায়ক, গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ জন লেননের গিটার

অথৈ জলরাশির বুকে মনকাড়া মনপুরা দ্বীপ

অথৈ জলরাশির বুকে মনকাড়া মনপুরা দ্বীপ

প্রকৃতির বৈচিএময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মনপুরার হরিনের পালের ছোটাছুটি

চারদিকে সাগরের অথৈ জলরাশি। মাঝখানে গ্রাম আর সবুজের মেলায় দূর থেকে এক টুকরো দ্বীপ। সময়ের চাকা ঘুরতে ঘুরতে এর বয়স এখন দাড়িয়েছে ৮শ বছর।কিন্তু হতাশ হবার কারণ নেই। একটুও বয়স বাড়েনি।

এই দ্বীপের নাম মনপুরা। প্রকৃতির অপরুপ রুপে এখানে বিচ্ছুরিত হয়। একটু যতœ পেলে এটি হতে পাতো ভ্রমন পিপাসুদের প্রিয় স্থান। কিন্তু সংশ্লিষ্ট র্কতৃপক্ষের উদাসীনতায় মনপুরা তার অপার সৌন্দর্যছ নিয়ে নীরবে সময় কাটাচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পূবকাশে সূরযাদয় আর নীল আকাশের পশ্চিম প্রাপ্তে সাগরের বুকে সূরযর হারিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখার জন্য মনপুরায় ঘুরতে আসে না লোকজন। কারণ গড়ে উঠেনি পর্যেটনের মত কোনো ব্যবস্থা।

এছাড়াও শিল্পের অপার সম্ভবনা জীবন পাচ্ছে না অবহেলায়। প্রাণী ও উদ্ভিদ সম্পদের বৈচিএে ভরপুর মনপুরায় একটি বারের জন্য পা না রাখলে বোঝাই যাবেনা এখানে প্রকৃতিক কি রুপ লুকিয়ে রয়েছে।

ভোলা জেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ছোট্ট এক দ্বীপের নাম মনপুরা। জেলা সদর থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে মেঘনার বুকে জেগে উঠে মনপুরা।

মনপুরায় সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য।


দেখতে দেখতে এক দুই করে বছরের চাকা ঘুরে এখন আট শতাব্দি পার করে দিয়েছে। কিন্তু জন্মের সময় যেমনটি ছিল, এখনও অনেকটাই আছে সে রকম। পরির্বতন বলতে যা কিছু তা হচ্ছে বসতি আর গুটি কয়েক রাস্তা। এছাড়া দ্বীপটিতে লাগেনি সমান্যতম পরির্বতনের ছোয়া।

বংশ পরস্পরায় মনপুরার ইতিহাস স্থানীয়রা জানে। তাদের কথায়,আটশ বছরের আগে র্পতুগিজ জলদস্যুদের আস্তানা ছিল মনপুরা। এর নির্দশন হিসেবে এখনো দ্বীপটিতে ঘুরে বেড়ায় কেশওয়ালা লোমশ কুকুর। মনপুরার প্রধান আর্কষণ হাজার হাজার একরের ম্যাগ্রোভ বন।

যেখানে জীবিত গাছের সংখ্যা ইতোমধ্যে এক কোটির সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে যতদূর দৃষ্টি যায় দ্বীপকে মনে হয় এ যেন এক সবুজের বিশাল ক্যানভাস। বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল চর তাজম্মুল, চর জামশেদ, চর পাতিলা, চর পিয়াল,চর নিজাম, লালচর, বালুয়ার চর, চর গোয়ালিয়া, সাকুচিয়াসহ ছোট-বড় মিলে কমপক্ষে ডজন চরে বন বিভাগের প্রচষ্টোয় চলছে নীরব সবুজ বিপ্লব।

আট শতাব্দীর মনপুরায় শুধু প্রাকৃতিক দৃশ্যই দেখা যাবে তা কিন্তু ঠিক নয়। গতানুগতিক সব খাবার ছাড়াও তিনটি বিশেষ খাবার রয়েছে এ দ্বীপে। এগুলো হচ্ছে খাসি মাংশ, পাঙ্গাস মাছ, মহিষের দুধের কাচা দই ও শীতের হাস। এর বাইরে মূল আর্কষণ টাটকা রুপলী ইলিশের স্বাদও নিতে কে না চায়। যারা দ্বীপে বসবাস করেন এটি তাদের কাছে নিত্যকার বিষয়।
এতোসরের পর মনপুরার দু:খ একটাই। সেটি হচ্ছে জেলা সদরসহ সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা। যোগাযোগে ব্যবস্থা বলতে দ্বীপের অভ্যন্তরের রাস্তাঘাট।

কিন্তু দ্বীপের বাণিজ্যিক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। ইচ্ছে করলেই যে কেউ মনপুরায় যাতায়াত করতে পারে না। ঢাকা থেকে সরাসরি লঞ্চে মনপুরায় যাওয়া যায়। তবে এ ব্যবস্থা একেবারেই অপ্রতুল।
অপরদিকে বিভাগীয় শহর বরিশাল থেকে ভোলা হয়ে তজুমদ্দিন ঘাটে সি-ট্রাকে মনপুরায় চলাচল করে। এটি তজুমদ্দিন থেকে ছেড়ে প্রতিদিন বিকাল ৩টায় আর মনপুরা থেকে সকাল ১০টায়। চরফ্যাশনের বেতুয়াঘাট থেকে মনপুরার জনতা বাজার রুটে দিনে দুটি লঞ্চ চলাচল করে। বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর আট মাস নদী পথটি ডেঞ্জার পয়েন্ট হিবেবে চিহিুত হওয়ায় বন্ধ থাকে লঞ্চে চলাচল।

এব্যাপারে মনপুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার চৌধুরী বলেন, দ্বীপটিকে পর্যবটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রথমই যাতায়েত ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তারাও যদি গুরুত্বের সাথে অবহেলিত এ সম্ভাবনার উপর দৃষ্টি রাখতো, তাহলে এখানে আর্ন্তজাতিক মানের পয্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। যদি সেটি করা যায় তার সুফল ভোগ করবে পুরো দেশ। তিনি আরো বলেন, জেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও চোখ জোড়ানো প্রকৃতির বৈচিএময় নানা আয়োজন ছড়িয়ে রয়েছে দ্বীপে। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পারলে মনপুরা হবে দেশের অন্যতম পয্যটন কেন্দ্র।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর