আপডেট :

        শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

        বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন

        ইউএসএআইডি’র সহায়তা স্থগিত, আদালতের নিষেধাজ্ঞা

        হুমকি’র জন্য স্থগিত ঢাকা মহানগর নাট্যোৎসব

        নৌকা ডুবে গেছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

        ধনকুবের ইলন মাস্কের ১৩তম সন্তানের মা দাবি

        অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংস

        অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংস

        পরিষ্কারভাবে বলেছি জাতীয় নির্বাচন আগে হতে হবে

        ম্যামথ মাউন্টেনে তুষারধসে দুই স্কি প্যাট্রোল সদস্য আহত

        জুলাইতে শিশু আন্দোলনকারীকে ছোঁড়া হয় ২০০ গুলি, রক্তক্ষরণে মৃত্যু

        আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে নতুন যে তথ্য দিল জাতিসংঘ

        নতুন বিনিয়োগে শঙ্কায় রয়েছেন উদ্যোক্তাদের

        বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দন্দ

        মালিবুতে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প, লস এঞ্জেলেস ও ভেনচুরা কাউন্টিতে কম্পন অনুভূত

        ইউরোপের গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে তুলাধোনা করলেন ভ্যান্স

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় স্ত্রীকে মারধর, সন্তানদের হত্যার হুমকি, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

        ট্রাম্পের কথায় নিশ্চিত হল হাসিনা আর ফিরবে না

        দুর্লভ টর্নেডোর আঘাতে মোবাইল হোম কমিউনিটির ব্যাপক ক্ষতি

        ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে অনলাইন ‘রোমান্স স্ক্যাম’: সতর্ক থাকতে করণীয়

ট্রেজারি বিল ও বন্ডে ব্যাংকের বিনিয়োগ বৃদ্ধি

ট্রেজারি বিল ও বন্ডে ব্যাংকের বিনিয়োগ বৃদ্ধি

ব্যাংকগুলো ক্রমবর্ধমান সুদের হার থেকে বেশি মুনাফা পেতে ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই ও ২৯ মে সময়ে সরকার বিল ও বন্ড ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে ৭৮ হাজার ১১৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের ১৭ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকার চেয়ে ৩৩৭ শতাংশ বেশি।


মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারকে ঋণ দেওয়া কমালে বিল ও বন্ডের মাধ্যমে সরকারের ঋণ নেওয়া বাড়তে থাকে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

এদিকে ক্রমবর্ধমান সুদহারের কারণে ব্যাংকগুলো বেসরকারি খাতে ঋণ দেওয়ার চেয়ে বিল ও বন্ডে বিনিয়োগে বেশি আগ্রহী। কারণ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ নিরাপদ, কিন্তু ঋণ মন্দ হওয়ার আশংকা থাকে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকগুলো ট্রেজারি বিল ও বন্ডের ব্যাপারে আগ্রহী। তারা তাদের উদ্বৃত্ত তারল্যের একটি বড় অংশ এসব উপকরণে বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিলের সুদের হার বর্তমানে ১১.৬০ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে আছে। অথচ গত বছরের জুনে তা ছিল ৬.৭৫ শতাংশ থেকে ৭.৭৫ শতাংশ। এছাড়া সম্প্রতি বন্ডের সুদের হার ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২.৭৫ শতাংশে পৌঁছেছে। টেজারি বিলগুলোর স্বল্পমেয়াদী ম্যাচিউরিটি ও বন্ডগুলোর দীর্ঘমেয়াদি ম্যাচিউরিটি সময়কাল রয়েছে। এদিকে সরকারি সিকিউরিটিজে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বেশি হওয়ায় ব্যাংকিং ব্যবস্থায় উদ্বৃত্ত তারল্য বেড়েছে, যার মধ্যে ট্রেজারি বিল ও বন্ডসহ নগদ ও নগদ অর্থের সমতুল্য সম্পদ রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল শেষে উদ্বৃত্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ২০৫ কোটি টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।

ব্যাংকাররা জানান, বিল ও বন্ডকে লিকুইড অ্যাসেট হিসেবে বিবেচনা করা হলেও সেকেন্ডারি মার্কেট এখনো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠেনি। তাই তাত্ক্ষণিকভাবে এগুলো নগদে পরিণত করা যাবে না। সুতরাং, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখানো উদ্বৃত্ত তারল্যের পরিমাণ প্রকৃত তারল্য পরিস্থিতি নয়। তার প্রমাণ বর্তমানে বেশ কয়েকটি ব্যাংক তারল্যসংকটে ভুগছে। অন্যদিকে গত ছয় মাসে ব্যাংকগুলো রেপো ও তারল্য সহায়তার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রতি কর্মদিবসে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে।

ব্যাংককাররা জানান, ব্যাংকিং খাতে তারল্যসংকট রয়েছে। কোনো কোনো ইসলামি ব্যাংক এক বছরের বেশি সময় ধরে তারল্যসংকটে ভুগছে। এর প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতে। এছাড়া ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো বর্তমানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত