আপডেট :

        “ফরিদপুরে এ.কে. আজাদ বাড়িতে বিএনপি মিছিল নিয়ে চড়াও, গণসংহতি আন্দোলনের তীব্র প্রতিবাদ

        ক্লাব বিশ্বকাপে খেলায় Musiala ইনজুরিতে পরাজিত বায়ার্ন — PSG সেমিতে জয়ী

        করোনা ও ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ছে: একদিনে ২৯৪ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত, একজনের মৃত্যু

        “সাইফুল হক: রাজনৈতিক মতপার্থক্যের মধ্যেও জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে”

        পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিং-ঝড় তোলায় দম বন্ধ করা পরিবেশ

        কার ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন শ্রীলেখা

        “পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অভিযানে আফগান সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ৩০ সদস্য নিহত”

        টেকনাফে ভারী বর্ষণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ ১৫০০ ঘরবাড়ি ডুবে গেছে

        ঢাকাতে উল্টো পথে রথ টেনে সম্পন্ন রথ উৎসব—ভক্তদের আনন্দ ও ধর্মীয় আবেগের মেলবন্ধন

        সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ

        “দীর্ঘ মন্দা ভেঙে ঢেউ উঠছে: ১১ মাস পর শেয়ারদরের পুনর্গতি”

        “পবিত্র আশুরা উদযাপন শুরু—কারবালার শোক ও উপবাসের দিন আজ”

        “পবিত্র আশুরা উদযাপন শুরু—কারবালার শোক ও উপবাসের দিন আজ”

        “মঈন খান: ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গুম-হত্যা ছিল রুটিন কাজ”

        মালয়েশিয়া ‘জঙ্গি’ সন্দেহে ৩৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার; ঢাকা দিচ্ছে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি

        মালয়েশিয়া পুলিশের সতর্কতা: ভাঙলেও বাংলাদেশের জঙ্গি হুমকি মুছে যায়নি

        এশিয়ান কাপ বাছাই শেষ করল বাংলাদেশ নারী দল

        স্কুলে মোবাইল নিষেধাজ্ঞা কার্যকর: নেদারল্যান্ডে ফোকাস ও ফলাফলে বৃদ্ধি

        মঈন খান আ’লীগকে ‘পলায়নকারী শক্তি’ বললেন

        কাদের গনি চৌধুরী: ভারতের পুশ-ইন কৌশল বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি

দেশের ১৪ শতাংশ মানুষের ঘরে খাবার নেই: ব্রাকের জরিপ

দেশের ১৪ শতাংশ মানুষের ঘরে খাবার নেই: ব্রাকের জরিপ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও ঘরে থাকার নির্দেশনা মানতে গিয়ে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ভয়াবহ এ পরিস্থিতিতে চরম দারিদ্র্যের হার আগের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেড়ে গেছে। করোনায় সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশের ১৪ শতাংশ মানুষেরই ঘরে কোনো খাবারই নেই।

বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক পরিচালিত জরিপে এ চিত্র উঠে এসেছে। গত ৩১ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিলের মধ্যে ওই জরিপটি করা হয়। ৬৪ জেলায় ২ হাজার ৬৭৫ জন নিম্নআয়ের মানুষকে এ জরিপে অংশগ্রহণ করানো হয়।

ব্র্যাকের হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স রাফে সাদনান আদেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্যগত দিকগুলো সম্পর্কে নিম্ন আয়ের মানুষের উপলব্ধি এবং এর অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে ধারণা পেতে জরিপটি পরিচালিত হয়।

ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ প্রোগ্রাম পরিচালিত জরিপটিতে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করেন ব্র্যাকের মাইক্রোফাইন্যান্স, আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম এবং পার্টনারশিপ স্ট্রেংদেনিং ইউনিটের কর্মীরা।

জরিপে দেখা যায়, সরকারি ছুটি বা সামাজিক দূরত্বের কারণে ৭২ শতাংশ মানুষ কাজ হারিয়েছেন অথবা তাদের কাজ কমে গেছে। ৮ শতাংশ মানুষের কাজ থাকলেও এখনো বেতন পাননি। কৃষিকাজে সম্পৃক্তদের (৬৫ শতাংশ) তুলনায় অ-কৃষিখাতের দিনমজুর বেশি (৭৭ শতাংশ) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৫১ শতাংশ রিকশাচালক, ৫৮ শতাংশ কারখানা শ্রমিক, ৬২ শতাংশ দিনমজুর, ৬৬ শতাংশ হোটেল বা রেস্তোরাঁকর্মী জানান, চলতি মাসে তাদের আয় নেমে এসেছে শূন্যের কোঠায়। ১৪ শতাংশ মানুষের ঘরে কোনো খাবারই নেই। ২৯ শতাংশের ঘরে আছে ১ থেকে ৩ দিনের খাবার।

জরিপে দেখা যায়, কী কী ব্যবস্থা অবলম্বনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব, সে বিষয়ে ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতার স্পষ্ট ধারণা নেই। এমনকি করোনা সংক্রমণের লক্ষণ (জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট) দেখা দিলে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরাসরি চলে না আসার যে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে সে বিষয়েও ধারণা নেই অধিকাংশের।

৫৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, প্রতিবেশী এসব লক্ষণ দেখা দিলে তাকে শহরের হাসপাতাল বা সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন। মাত্র ২৯ শতাংশ হেল্পলাইনে ফোন করার কথা বলেছেন।

জরিপে উঠে আসা চিত্রের পরিপ্রেক্ষিতে ব্র্যাকের প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

♦♦ টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে এর ব্যবস্থাপনার জন্য করণীয় সম্পর্কে পৃথক, বৃহৎ মাত্রার প্রচারাভিযান চালাতে হবে।

♦♦ সামাজিক দূরত্বের পদক্ষেপ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী খাদ্য সংকটে পড়া মানুষের কাছে অতি শিগগির খাদ্য পৌঁছাতে হবে, নয়তো তাদের ঘরে রাখা সম্ভব হবে না। জীবিকা অর্জনে তারা বাইরে বের হতে বাধ্য হবেন।

♦♦ শহর থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ গ্রামে ফিরে গেছেন যারা গ্রামকেন্দ্রিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্ত নন। তাদের কাছে জরুরি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

♦♦ এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি বোরো ধান কাটা শুরু হবে যা চলবে মে মাসের শেষ পর্যন্ত। এ সময় কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন এবং সঠিক দাম পান সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে আগাম ধান ক্রয় অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে।

♦♦ গ্রাম থেকে শহরে সবজি, দুধ-ডিম-মাছসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য পরিবহন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে গ্রামে এসবের দাম কমে গেছে। খাদ্যসরবরাহ চেইন যাতে স্বাভাবিক থাকে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। এছাড়া সংকটপরবর্তী সময়ে গ্রামাঞ্চলের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ক্ষতি পুষিয়ে পুনরায় ব্যবসা চালু করার জন্য অর্থায়নসহ অন্যান্য সহযোগিতা পৌঁছানোর পদ্ধতি-প্রক্রিয়া নিয়েও আগাম পরিকল্পনা করা উচিত।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/সিসি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত