“ফরিদপুরে এ.কে. আজাদ বাড়িতে বিএনপি মিছিল নিয়ে চড়াও, গণসংহতি আন্দোলনের তীব্র প্রতিবাদ
করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু, প্রথম নিলেন বিজ্ঞানী
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি মহামারি করোনাভাইরাসের টিকা পরীক্ষামূলকভাবে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে দুজনকে দেওয়া হয় এই টিকা। আর পরীক্ষামূলকভাবে টিকা গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি হলেন এলিসা গ্রানাটো।
তিনি একজন বিজ্ঞানী। আগ্রহী হয়েই সবার আগে করোনার টিকা নিয়েছেন। গ্রানাটো বলেছেন, ‘আমি একজন বিজ্ঞানী। সুতরাং আমি চেয়েছি যেভাবে পারি টিকার সায়েন্টিফিক প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে।’
করোনাভাইরাসের টিকা পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে প্রয়োগের জন্য ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪০০ জনকে দেওয়া হবে করোনার টিকা। আর বাকি ৪০০ জনকে দেওয়া হবে মিনিনজাইটিস (মস্তিস্কের ঝিল্লি প্রদাহ) টিকা। অবশ্য স্বেচ্ছাসেবকরা কেউ-ই জানছেন যে কাকে কোন টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে ডাক্তাররা জানবেন কাকে কোন টিকা দেওয়া হচ্ছে। যা পরবর্তীতে ডাটা সংগ্রহে ব্যবহৃত হবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ টিকাবিদ সারাহ ক্যাথেরিন গিলবার্টের তত্ত্বাবধানে একদল বিজ্ঞানী মাত্র ৯০ দিনে তৈরি করেছেন করোনার এই টিকা। তারা এই টিকা করোনার বিরুদ্ধে কাজ করবে বলে ৮০ শতাংশ আশাবাদী।
অক্সফোর্ডের ‘জেনার ইনস্টিটিউটের’ টিকাবিদ গিলবার্ট এ বিষয়ে বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে এই টিকার সফলতার ব্যাপারে আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী। অবশ্যই আমাদের এটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। মানবদেহে প্রয়োগের ডাটা সংগ্রহ করতে হবে। বড় মাত্রায় এই টিকার প্রয়োগ শুরুর আগে আমাদেরকে দেখতে হবে এটা প্রকৃতপক্ষে মানবদেহে কাজ করে কিনা। এটা মানুষকে করোনা আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে কিনা।’
শুরুতে তিনি এই টিকার সফলতার বিষয়ে ৮০ শতাংশ আশাবাদী ছিলেন। মানবদেহে প্রয়োগ শুরুর পর তিনি অবশ্য সেটা জোর দিয়ে বলেননি। তবে সফলতার বিষয়ে তিনি যে খুবই আশাবাদী সেটা বলেছেন। শেষ পর্যন্ত এই টিকা সফল হলে বিশ্বের ৮০০ কোটি মানুষের আশার আলো হয়ে দেখা দিবে। তেমন কিছুরই প্রত্যাশায় প্রণাঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে গৃহবন্দি হয়ে থাকা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/সিসি
শেয়ার করুন