আপডেট :

        মেক্সিকোতে সুপারমার্কেটে বিস্ফোরণে নিহত ২৩

        নিউহলে হ্যালোইন পার্টিতে গুলিবর্ষণ, নিহত ১

        যুক্তরাষ্ট্রে আরও এক রোগীর শরীরে মাংকিপক্স শনাক্ত, নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছিলেন আক্রান্ত ব্যক্তি

        নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টান হত্যার অভিযোগে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি ট্রাম্পের

        লস এঞ্জেলেসে ডজার্সের বিজয় উৎসব: সোমবার অনুষ্ঠিত হবে ওয়ার্ল্ড সিরিজ প্যারেড

        লস এঞ্জেলেসে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ১, আহত ১

        মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যবিমা খরচে তীব্র উল্লম্ফনের আশঙ্কা

        মার্কিন বিমানবন্দরে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা: কর্মী সংকটে ব্যাহত বিমান চলাচল

        মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আইরিশ নাগরিকদের নির্বাসন ৫০% এর বেশি বেড়েছে

        বলিউড বাদশাহর আজ ৬০ বছর, শুভ জন্মদিন শাহরুখ খান

        বলিউড বাদশাহর আজ ৬০ বছর, শুভ জন্মদিন শাহরুখ খান

        খ্রিস্টানদের হত্যার অভিযোগে নাইজেরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি ট্রাম্পের

        বিরতির পর লিটনের ট্রাস্ট: বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি স্কয়াডে নতুন জীবন!

        অর্ধেকেরও বেশি ব্যাংক সাইবার হামলা প্রতিরোধে অক্ষম

        ক্যারিয়ারে সাফল্যের শক্তি

        ‘নূর ভাই বেঁচে আছেন, সে বেঁচে থাকা মৃত‍্যুর চেয়ে একটু ভালো’

        ইউক্রেনে ‘টমাহক’ ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে পেন্টাগন

        সালমান শাহ হত্যা মামলা: আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ভক্তদের মানববন্ধন

        ফুটবলাররা জানেন না কোচ নেই

        ‘আমার লোক, তোমার লোক’ কালচার থেকে বিএনপি-জামায়াতকে বের হয়ে আসতে হবে: আসিফ নজরুল

কী কারণে কিডনিতে পাথর হয়?

কী কারণে কিডনিতে পাথর হয়?

বয়স্কদের মতো শিশুদেরও হতে পারে কিডনি রোগ। দেশে ৪০ থেকে ৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগে ভুগছে। বয়স্কদের মতোই শিশুদের কিডনি রোগেরও উপসর্গ প্রায় একই রকম। করোনার সময়ে শিশু কিডনি রোগের ঝুঁকি রয়েছে আরো বেশি। শিশুদের কিডনি রোগের লক্ষণসহ নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু কিডনি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোলাম মঈন উদ্দিন।

শিশুদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ কি?

এ ব্যাপারে অধ্যাপক ডা. গোলাম মঈন উদ্দিন বলেন, সাধারণত জন্মগত বা বংশগত কারণে শিশুদের কিডনি রোগ হয়ে থাকে। বংশগত কারণে কিডনি রোগগুলো শিশু গর্ভে থাকা অবস্থাতেই ধরা পড়ে। তারপর শিশু জন্মের পর বেশকিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন: প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, শিশুর বেড়ে না ওঠা, হাত পা বাঁকা হয়ে যাওয়া, বমি, ইলেকট্রোলাইটিক ইমব্যালেন্স হওয়া, প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া, ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব করা ইত্যাদি।

শিশুদের কিডনি বিকল হয় কেন?

শিশুদের কিডনি বিকল দুই রকমের। একটি আকস্মিক বা দ্রুত গতিতে কিডনি বিকল। যেটাকে বলা হয়, একিউট কিডনি ইনজুরি। আরেকটি হলো ধীরগতিতে কিডনি বিকল।

অধ্যাপক ডা. গোলাম মঈন উদ্দিন বলেন, আকস্মিক বা দ্রুত কিডনি বিকল হওয়ার কারণ হলো ডায়রিয়া বা বমির ফলে শিশু যখন ডিহাইড্রেশনে ভোগে, তখন কিডনিতে রক্তপ্রবাহ কম হয়। ডিহাইড্রেশনের কারণে শিশুকে ওরস্যালাইন খাওয়ানো না হলে তার কিডনি দ্রুতগতিতে বিকল হয়। এর ফলে প্রস্রাব কমে যায়।

তিনি বলেন, ডায়রিয়া বা বমির কারণে শরীরের যে ফ্লুইড লস হয়, তার ফলে শরীরে কিডনি বিকল হয়ে যায় আকস্মিকভাবে। যেকোনো ইনফেকশনের কারণে কিডনি বিকল হয়। প্রদাহের ফলে কিডনি বিকল হতে পারে। এটাও আকস্মিক কিডনি বিকল। এছাড়াও বর্ষাকালে মৌমাছি অথবা সাপের কামড়ের ফলে এই বিষ শরীরে গিয়ে কিডনি বিকল হতে পারে। কিছু কিছু ওষুধের কারণে কিডনি বিকল হয়ে থাকে। প্রস্রাবের রাস্তায় জন্মগত ত্রুটি থাকলে কিডনি বিকল হতে পারে।

কী কারণে কিডনিতে পাথর হয়?

এ ব্যাপারে অধ্যাপক ডা. গোলাম মঈন উদ্দিন বলেন, জন্মগত কারণে এ ধরনের রোগ হয়ে থাকে। বিশেষ করে আত্মীয়দের মধ্যে বিয়ে হলে এ ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  মূত্রনালীতে ব্লক থাকলে, স্টেসিস থাকলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শিশুরা কিডনি রোগে আক্রান্ত কিনা বুঝবেন কীভাবে?

এক্ষেত্রে লক্ষণীয় উপসর্গগুলো হলো শিশু ঘুম থেকে ওঠার পর চোখ মুখ ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের চাপ কমে আসা, হাতে-পায়ে পানি চলে আসা, পেটে পানি চলে আসা, প্রস্রাব কমে যাওয়া। প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া, প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, জ্বর, বমি বমি ভাব।

অধ্যাপক ডা. গোলাম মঈন উদ্দিন বলেন, ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গেলে মাথাব্যথা, খিচুনি এসব উপসর্গ দেখা দেয়। এছাড়াও শিশুদের রক্তশূন্যতা, ক্ষুধামন্দা, দুর্বলতা, ওজন কম হওয়া ইত্যাদি উপসর্গও দেখা দিতে পারে। তাহলে অভিভাবকরা শিশুদের নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাবেন।

দেশে শিশু কিডনি রোগীর সংখ্যা কত?

দেশে ৪০ থেকে ৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন ধরনের কিডনির নানা রোগে ভুগছে। শিশুরা জন্মগত এবং বংশগত কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়। জন্মগত কিডনি রোগগুলো অনেকটাই আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ধরা পড়ে। জন্মের পরে কিডনি রোগ প্রস্রাবে ইনফেকশন, নেফ্রোটিক সিনড্রোম, ড্রাগ এর ফলে কিছু ইনফেকশন হয়। এছাড়া ডিহাইড্রেশন, কিডনি ছোট হওয়া, ডান অথবা বাম যেকোনো এক পাশে দু’টো কিডনি চলে যাওয়াসহ কিডনির সব ধরণের রোগ নিয়েই শিশুরা শিশু কিডনি বিশেষজ্ঞদের কাছে যায়।

 

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এইচ

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত