ট্রাম্পের বাণিজ্য চাপের মুখে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কড়া বার্তা
করোনাভাইরাস ঠেকাতে ৫৪ হাজার কারাবন্দিকে মুক্তি দিলো ইরান
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ইরান ৫৪,০০০ কারাবন্দীকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে। বন্দীতে ঠাসা কারাগারগুলোতে নতুন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেই এই উদ্যোগ নেয় দেশটি।
বিচার বিভাগীয় মুখপাত্র গোলামাহোসেইন এসমাইলি বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত নয়, এটা নিশ্চিত হওয়ার পরই এদের মুক্তি দেয়া হয়। তবে পাঁচ বছরের বেশি দণ্ড প্রাপ্তদের এই সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।
যুক্তরাজ্যে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে এমপি টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, 'আজ অথবা কালকের মধ্যে ইরানে কারাবন্দী ব্রিটিশ-ইরানিয়ান দাতব্য কর্মী নাজানিন জাঘারি-র্যাটক্লিফ সম্ভবত শীঘ্রই মুক্তি পেতে যাচ্ছেন।
মিজ জাঘারি-র্যাটক্লিফের স্বামী বলেন, তেহরানের এভিন কারাগারে বন্দী থাকা তার স্ত্রীর কোভিড-১৯ হয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ২০১৬ সালে মিজ জাঘারি-র্যাটক্লিফকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইরানের আদালত। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন জাঘারি। যুক্তরাজ্যও বলে আসছে তিনি নির্দোষ।
মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিশ্চিত করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২,৩৩৬ জনে। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরানের উচ্চ পদস্থ অনেক কর্মকর্তাও ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি দেশটির জরুরী চিকিৎসা সেবা বিভাগের প্রধান পিরহোসেইন কোলিভান্দ আক্রান্ত হয়েছেন। পার্লামেন্টের ২৯০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে ২৩ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা কাউন্সিলের এক সদস্য কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে জানানো হয়। রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, মোহাম্মদ মীরমোহাম্মদী নামে ৭১ বছর বয়সী ওই সদস্যের আয়াতোল্লাহ খামেনির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে একটি বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচীতে সর্বোচ্চ নেতা খামেনি দেশটির জনগণকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া সব পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। সাথে সরকারের অন্য সব বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে তারা যাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করে।
আয়াতোল্লাহ খামেনি জোর দিয়ে বলেন যে, ইরানের কর্তৃপক্ষ প্রাদুর্ভাবের মাত্রা সম্পর্কিত কোন তথ্য গোপন করেনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তারা প্রথম দিন থেকেই নিষ্ঠা আর স্বচ্ছতার সাথে সব তথ্য প্রকাশ করছে। যাই হোক, যেসব দেশে এই প্রাদুর্ভাব আরো বেশি জটিল আকার ধারণ করেছে তারা তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেছে।’
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাইদ নামাকি জানিয়েছেন, যাদের কোভিড-১৯ হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে এবং যারা স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ পাচ্ছেন না তাদের কাছে চিকিৎসা সেবাদানকারী দল পৌঁছে যাবে।
শেয়ার করুন