ট্রাম্পের বাণিজ্য চাপের মুখে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কড়া বার্তা
ভারতীয়রা নেপালের ভূমি দখল করে চাষাবাদ করছে
ভারতীয় নাগরিকরা নেপাল সীমান্তে সে
দেশের জমি অবৈধভাবে দখল করে দিব্যি চাষাবাদ
করে যাচ্ছে।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে জানা যায়, ভারতীয়
নাগরিকরা অনেকদিন ধরে দোধারা-চান্দানি পৌর এলাকার
কাঞ্চনভোজে ১৭ নং সীমান্ত পিলারের কাছে
মুনশীতলে নেপালী ভূখণ্ডের ৩ বিঘা জমিতে
অবৈধভাবে চাষাবাদ করছে।
কাঞ্চনভোজে স্থানীয় নেপালীরা বলছেন
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্যান্য দ্রব্য
কিনতে প্রায়ই তাদের ভারতের মেলাঘাট মার্কেটে
যেতে হয় সে জন্য তারা ভারতীয়দের এই জমি
দখলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানাতে
পারছেন না। তাদের আশঙ্কা এর প্রতিবাদ করতে
গেলে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী ও কাস্টম
কর্মকর্তারা বিরূপ হবেন এবং সীমান্ত পারাপারে তারা
অবশ্যই বাধা দেবেন।
দোধারা-চান্দানি গ্রাম কমিটির সিপিএন-ইউএমএল দলীয়
চেয়ারম্যান কিশোর কুমার লিম্বু জানিয়েছেন, মাঠ
পরিদর্শনে দেখা গেছে ভারতীয়রা উক্ত স্থানে
নো-ম্যানস ল্যান্ডসহ নেপালের ৩ বিঘা জমি দখল
করে নিয়েছে। তারা ঐ জমিতে ধান ও আখ চাষ
করছে।
চীন থেকে ২৬টি পেট্রোলবাহী ট্যাংকার
এসেছে আরো আসছে : এদিকে গত বুধবার
চীন থেকে ২৬টি পেট্রোলবাহী ট্যাংকার
নেপালে পৌঁছেছে। এসব ট্যাংকার ২ লাখ ৭০
হাজার ৬৬ লিটার অনুদানের পেট্রোল নিয়ে
এসেছে। চীন থেকে আরো ৩ লাখ ৭৪ হাজার
৩শ’ লিটার অনুদানের পেট্রোল নেপালে আসার
অপেক্ষায় রয়েছে।
ভারতের অঘোষিত অবরোধের ফলে নেপালে
জ্বালানির তীব্র ঘাটতি দেখা দেয়ায় চীন সরকার
নেপালকে সাবসিডি হিসেবে ১ হাজার টন জ্বালানি
তেল সরবরাহ করার কথা ঘোষণা করেছে।
এই নিয়ে মোট ৯৭টি ট্যাংকার রাউয়াসাধি-কেরুং সীমান্ত
দিয়ে জ্বালানি নিয়ে নেপালে এসেছে।
ভারতের অবারোধে
বান কি মুনের উদ্বেগ
এদিকে নেপালের কংগ্রেস দলের সভাপতি ও
সেদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সুশীল
কেরালা নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সংস্থার
মহাসচিব বান কি মুনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সাক্ষাৎকালে বান কি মুন বলেছেন, নেপাল
সীমান্তে ভারতের এ অঘোষিত অবরোধের
ফলে অবাধ ট্রানজিটের ক্ষেত্রে নেপালের
অধিকার ক্ষুণœ করা হয়েছে। তিনি আরো
বলেছেন, এ অবরোধের ফলে নেপালে
মানবিক সংকটের ব্যাপারে তিনি উদ্বিগ্ন। বান কি মুন
বলেন, স্থলবন্দী দেশ হিসেবে ট্রানজিট
নেপালের আইনগত অধিকার।
কৈরালার পররাষ্ট্র বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা দীনেশ
ভট্টরাই জানিয়েছেন বান কি মুন নেপালের ওপর
ভারতের এ অবরোধে বিশেষ করে যে সময়
সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্প থেকে নেপাল উঠে
দাঁড়াবার চেষ্টা করছে। যে সময় এ পদক্ষেপে
গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ভট্টরাই জাতিসংঘ
মহাসচিবের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ‘আমি সত্যিই দুঃখিত যে
নেপালে ভূমিকম্পের পর সাড়া দেয়া যেখানে
ভারতের প্রথম কর্তব্য ছিল সেখানে তারা
অবরোধ আরোপ করেছে’। উল্লেখ্য, বান কি
মুনের সাথে কৈরালার বৈঠককালে ভট্টরাই সেখানে
উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন