ট্রাম্পের বাণিজ্য চাপের মুখে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কড়া বার্তা
প্যারিস চুক্তি বিশ্ববাসীর সঙ্গে বেইমানি
প্যারিস জলবায়ু চুক্তির মাধ্যমে জলবায়ু
পরিবর্তনের কারণে বিপন্ন হওয়া বিশ্বের
সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে বলে
মন্তব্য করেছে বেশ কয়েকটি নাগরিক
সংগঠন। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স
ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ
মন্তব্য করা হয়।
নাগরিক সংগঠন সিএসআরএল, বাংলাদেশ
সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ (বিসিএএস),
ইক্যুইটি বিডি, সিসিডিএফ, ক্লিন, বিপনেট ও
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এ
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে সিএসআরএল এর সদস্যসচিব শরমিন্দ
নিলোর্মী বলেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ প্রাক
শিল্পায়ন যুগের চেয়ে দুই ডিগ্রি
সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা বাড়তে না
দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু দেশগুলো
কার্বন নিঃসরণ কমানোর ‘অনুমিত জাতীয়
অবদান’ বা আইএনডিসি পরিকল্পনায় যে
রূপরেখা দিয়েছে তাতে বিশ্বের তাপমাত্রা
তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়বে।
প্যারিস চুক্তি মানবসমাজের জন্য ক্ষতিকর
গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের লক্ষ্যও পূরণ
করবে না।
সিএসআরএল এর কর্মকর্তা জিয়াউল হক মুক্তা
বলেন, প্যারিস চুক্তি জলবায়ু পরিবর্তন
বিষয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলোকে তাদের
ঐতিহাসিক দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
এ চুক্তিতে ধনী শিল্পোন্নত দেশগুলোর
ঐতিহাসিক দায়কে ধনী-গরিব নির্বিশেষে
সকল দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিসিএএস এর গোলাম রব্বানী বলেন, প্যারিস
চুক্তি যদিও কার্বন নির্গমন হ্রাসের মাধ্যমে
মানব সভ্যতাকে রক্ষা করবে না; তবুও যেটুকু
নির্গমন হ্রাসের কথা বলা হয়েছে তাও যদি
কোনো দেশ না করে সে ক্ষেত্রে ওই দেশকে
কোনো জবাবদিহিতা বা শাস্তির মুখোমুখি
হতে হবে না।
বাপা’র সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন বলেন,
চুক্তির প্রথম দিককার খসড়াতে বাস্তুচ্যুত
জনগণের অভিবাসন, পুনর্বাসন ও পরিকল্পিত
স্থানান্তর বিষয়ে একটি ‘কোঅর্ডিনেশন
ফ্যাসিলিটি’র বিধান থাকলেও চূড়ান্ত
চুক্তিতে তা রাখা হয়নি। এভাবে
বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত ও
দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর কোটি কোটি মানুষের
ভাগ্যকে উপেক্ষা করা হয়েছে। -বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার করুন