আপডেট :

        ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে ডব্লিউএইচও ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্র: জাতিসংঘ

        লস এঞ্জেলেসে ট্রাম্প, দাবানল নিয়ন্ত্রণে নিউসমের সঙ্গে কাজ করায় আগ্রহ

        যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে নথিপত্রহীন পাঁচ শতাধিক অভিবাসী গ্রেপ্তার

        সরকারি দপ্তরের ১৭ মহাপরিদর্শককে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

        বাংলাদেশে আসছে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট

        ছাত্র উপদেষ্টারা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তিনি আর সরকারে থাকতে পারবেন না

        তাত্ত্বিক ও গবেষণায় গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের তৈরি করবো’

        মূলধন বাড়লো ৩৬৪৭ কোটি টাকা

        আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে: শরিফুলের বাবা

        লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে মিষ্টি আলু চাষে আগ্রহ

        ‘শেখ মুজিব ইজ ডেড’ কীভাবে ঘটেছিল জানা গেলো

        ইউক্রেনীয় শিশুদের চেয়ে গাজার শিশুদের কম অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে

        আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট দল ঘোষণা

        শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে গু লি ও কু পি য়ে হ ত্যা

        জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ছোট পরিসরে না কি দীর্ঘ মেয়াদে সংস্কার চায়

        জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ছোট পরিসরে না কি দীর্ঘ মেয়াদে সংস্কার চায়

        ড. ইউনূসকে নিয়ে ‘ইন্ডিয়াডটকম’র প্রতিবেদন

        ভাষাসৈনিক আশরাফ হোসেন বড়দার মৃত্যু

        টিসিবির কার্ড বাতিল করলো বরিশাল সিটি করপোরেশন

        যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিক থেকে ছাড়া পাচ্ছেন খালেদা জিয়া

বৈশ্বিক গড় উষ্ণতার চেয়ে দ্রুত উত্তপ্ত হচ্ছে এশিয়া অঞ্চল

বৈশ্বিক গড় উষ্ণতার চেয়ে দ্রুত উত্তপ্ত হচ্ছে এশিয়া অঞ্চল

আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানিজনিত ঝুঁকির কারণে ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল হয়ে উঠেছে এশিয়া। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) নতুন এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ার প্রেক্ষাপটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।


প্রতিবেদনে ডব্লিউএমও জানিয়েছে, ২০২৩ সালে এশিয়ায় প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রধান কারণ ছিল বন্যা ও ঝড়। অন্যদিকে তাপপ্রবাহের প্রভাব আরও তীব্র হয়েছে।

 বৈশ্বিক গড় উষ্ণতার চেয়ে দ্রুত উত্তপ্ত হচ্ছে এশিয়া। ১৯৬০-১৯৯০ সময়কালের পর থেকে উষ্ণায়নের প্রবণতা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বন্যা, ঝড় ও আরও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হতাহত এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

ডব্লিউএমও বলছে, গত বছর এশিয়ায় ৭৯টি দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ছিল বন্যা ও ঝড়। এর ফলে ২ হাজারের বেশি লোক মারা যায় এবং ৯০ লাখ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।


প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি এশিয়ার দেশ হংকংয়ে এক ঘণ্টায় ১৫৮.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা ১৮৮৪ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ। এশিয়ার উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের বেশিরভাগ হিমবাহ রেকর্ড পরিমাণ ভাঙা পড়েছে এবং উচ্চ তাপমাত্রা ও শুষ্ক অবস্থার কারণে উল্লেখযোগ্য ভর হারিয়েছে।

২০২৩ সালে হিমালয়, বিশেষ করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালায় বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল। অন্যদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম চীন খরার শিকার হয়েছিল। বৃষ্টিপাতের মাত্রা বছরের প্রায় প্রতিটি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল।

ডব্লিউএমও প্রতিবেদনে বলছে, ২০২৩ সালে উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ছিল রেকর্ডের সর্বোচ্চ। এমনকি আর্কটিক মহাসাগরও সামুদ্রিক তাপপ্রবাহের শিকার হয়েছিল, যেখানে বরফের চাঁদরে ঢাকা থাকে চারপাশ। আরব সাগর, দক্ষিণ চীন সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব লাপ্তেভ সাগরসহ অনেক অঞ্চলে সমুদ্রের পৃষ্ঠ বিশ্বের তুলনায় তিনগুণ দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। প্রতিবেদনে ব্যারেন্টস সাগরকে 'জলবায়ু পরিবর্তনের হটস্পট' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ডব্লিউএমও প্রধান সেলেস্তে সাওলো এক বিবৃতিতে বলেছেন, এশিয়া অঞ্চলের অনেক দেশ ২০২৩ সালে তাদের রেকর্ডে থাকা সর্বোচ্চ উষ্ণতম বছর পার করেছে। পাশাপাশি খরা ও তাপপ্রবাহ থেকে শুরু করে বন্যা ও ঝড়ের মতো চরম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘটনাগুলো বেড়েই চলছে।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত