রোহিঙ্গা সঙ্কটঃ ১৩ লাখ রোহিঙ্গার নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন
করোনা: ক্যালিফোর্নিয়ায় নতুন কী বিধিনিষেধ আসছে?
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
সংক্রমণ কমাতে সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আসন্ন 'থ্যাংকস গিভিং' হলিডে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসিন্দারা যদি করোনার নীতিমালা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলে, তবে সংক্রমণ ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে৷
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ক্যালিফোর্নিয়াকে বেশ ভালোভাবেই আঘাত করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে করোনার সংক্রমণ প্রায় দুই গুণ বেড়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার কাউন্টিগুলোতে।
করোনার সংক্রমণ কমাতে তাই আবারো নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন কাউন্টিতে নতুন করে করোনার নীতিমালা আরোপ করার চিন্তা করছে কর্তৃপক্ষ।
তবে সংক্রমণ কমাতে সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আসন্ন 'থ্যাংকস গিভিং' হলিডে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসিন্দারা যদি করোনার নীতিমালা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলে, তবে সংক্রমণ ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ তাই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ কিংবা শিথিল করার চিন্তাভাবনা করছে কর্তৃপক্ষ।
সংক্রমণ ঠেকাতে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য কর্তৃপক্ষ, চলুন দেখে নিই-
ট্রাভেল কোয়ারেন্টাইন: সংক্রমণ এড়াতে ট্রাভেল কোয়ারেন্টাইন বা ভ্রমণ কোয়ারেন্টাইন জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের বাইরে থেকে কেউ ভ্রমণ করে এলে তাকে স্বেচ্ছায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। তবে এটি বাধ্যতামূলক না হলেও বাদিন্দাদের সুরক্ষার জন্যই এটি জরুরি বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
ক্যালিফোর্নিয়ার হেলথ এন্ড হিউম্যান সার্ভিস সেক্রেটারি ড. মার্ক ঘ্যালি বলেন, আমরা বাসিন্দাদের অন্য রাজ্যে ভ্রমণে না যেতে ও ঘরে থাকতে উৎসাহিত করছি।
গভর্নর গভিন নিউসামের অফিস সূত্র জানিয়েছে, জরুরি ভ্রমণ অর্থাৎ কাজ কিংবা শিক্ষা, জরুরি স্বাস্থ্য সেবা, সাপ্লাই চেইনে কাজ করলে ভ্রমণ করা যাবে৷
কারফিউ জারি: করোনার সংক্রমণ এড়াতে বেশকিছু কাউন্টিতে কারফিউ জারির চিন্তাভাবনা করেছে কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান, বার ও রেস্টুরেন্টে রাত দশটার পর থেকে কার্যক্রম স্থগিত করা হবে এক্ষেত্রে।
কাউন্টি হেলথ ডিরেক্টর বারবারা ফেরেরা বলেন, সংক্রমণ এড়াতে দুইটি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। কারফিউ জারি করা হতে পারে অথবা ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সময়সূচি সীমিত করা হতে পারে। এছাড়াও বাসিন্দাদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে উৎসাহিত করতেও কারফিউ জারি করার সম্ভাবনা রয়েছে৷
আসন সীমিতকরণ: সংক্রমণ এড়াতে রেস্টুরেন্ট বা ইনডোর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা সীমিত করার চিন্তা করছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও যাদের ঘরে বসেই কাজ করার সুযোগ আছে, তাদের ঘরে কাজ করতেই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তবে নতুন বিধিনিষেধ আনলেও অর্থনৈতিক বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পুরোপুরি লকডাউন দেওয়ার বিপক্ষে কর্তৃপক্ষ। বরং বিভিন্ন কাউন্টিতে নতুনভাবে বিধিনিষেধ আরোপের চিন্তা করছে বিশেষজ্ঞরা৷
এলএবাংলাটাইমস /ওএম
শেয়ার করুন