ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও হামে আক্রান্ত রিভারসাইডের শিশু
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
রিভারসাইডের এক দুই বছর বয়সী শিশু, এভারলি মার্কাডো, হাম রোগে আক্রান্ত হয়েছে, যদিও সে সময়মতো সব প্রয়োজনীয় টিকা নিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তার মা।
শিশুটির মা, সান্দ্রা মার্কাডো, বলেন, “আমার মেয়ে সব সময়মতো টিকা পেয়েছে। আমি নিজেও ভ্যাকসিন নিয়েছি, আমাদের পরিবারের সবাই ভ্যাকসিন নিয়েছে। তাহলে এটা কীভাবে হলো?”
গত শনিবার এভারলি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে। তিন দিন আগে সে প্রায় ২০টি শিশুর সঙ্গে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। প্রথমে ঠান্ডা ভেবে অবহেলা করলেও, মঙ্গলবার রাতে লোমা লিন্ডার একটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলে ডাক্তাররা নিশ্চিত করেন যে এটি হাম।
ডাক্তাররা জানান, এভারলির প্রথম এমএমআর (MMR) টিকা ৯১% সুরক্ষা দেয়, কিন্তু পুরো ৯৭% রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পেতে হলে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়, যা সাধারণত চার থেকে ছয় বছর বয়সে দেওয়া হয়।
হামের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
প্রথম দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে মুখের ভেতরে ছোট সাদা দাগ দেখা দেয়।
তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে লালচে র্যাশ ছড়িয়ে পড়ে, যা মুখ থেকে শরীরের নিচের দিকে নেমে আসে।
সংক্রমণের দুই সপ্তাহ পর্যন্ত জ্বর, কাশি, সর্দি ও চোখ লাল হয়ে যেতে পারে।
ডা. আফিফ এল-হাসান জানিয়েছেন, “হাম ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। একজন আক্রান্ত ব্যক্তি কাশলে বা হাঁচি দিলে ভাইরাসবাহী ড্রপলেট বাতাসে এক ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে, যা অন্যরা শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করে সংক্রমিত হতে পারে।”
ভ্যাকসিন শতভাগ সুরক্ষা দিতে না পারলেও, যারা ভ্যাকসিন নেননি তারা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকেন এবং সমাজে সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে তোলেন বলে জানান তিনি।
এভারলি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে, তবে তার মা মনে করেন, এটি পুরোপুরি এড়ানো যেত যদি সবাই তাদের সন্তানকে ভ্যাকসিন দিত।
“আমি আমার সন্তানকে সুরক্ষিত রাখতে সব কিছু করেছি। কিন্তু অন্য কেউ তার সন্তানকে ভ্যাকসিন না দেওয়ায় এখন আমার মেয়েকে এই কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে,” বলেন মার্কাডো।
রিভারসাইড ইউনিভার্সিটি হেলথ সিস্টেম জানিয়েছে, তারা এখনো রিভারসাইড কাউন্টিতে হাম আক্রান্তের কোনো নিশ্চিত তথ্য পায়নি। তবে একবার নিশ্চিত হলে, আক্রান্ত শিশুর সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে কাজ শুরু করা হবে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন