“ফরিদপুরে এ.কে. আজাদ বাড়িতে বিএনপি মিছিল নিয়ে চড়াও, গণসংহতি আন্দোলনের তীব্র প্রতিবাদ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার প্রায় ৩০টি স্থানে লক্ষ্মী প্রতিমার হাট
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার প্রায় ৩০টি স্থানে লক্ষ্মী প্রতিমার হাট জমে উঠেছে। এসব হাট থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজার জন্য লক্ষ্মী প্রতিমা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত লক্ষ্মীদেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
দুর্গাপূজার বিজয় দশমীর পর থেকে কোটালীপাড়া উপজেলার কালিগঞ্জ, পীড়ারবাড়ী, কান্দি, ধারাবাশাইল, শুয়াগ্রাম, চৌধূরীরহাট, ঘাঘর, কলাবাড়ি, রামশীল, জহরেরকান্দি, ওয়াপদারহাট, নৈয়ারবাড়ি, রাধাগঞ্জ, ভাঙ্গারহাট, মনোহর মার্কেট, পশ্চিমপাড়, রাজাপুর, কুশলা, লাখিরপাড়, হিরণসহ প্রায় ৩০টি স্থানে বসেছে লক্ষ্মী প্রতিমার হাট।
হিরণ গ্রামের মৃৎ শিল্পী মিলন পাল বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলার প্রায় ৩০টি স্থানে শত বছর ধরে লক্ষ্মী প্রতিমার হাট বসে আসছে। আমাদের পূর্ব পুরুষরা এসব হাটে প্রতিমা বিক্রি করেছেন। আমরাও প্রতিমা তৈরি করে এসব হাটে বিক্রি করি। এখানে প্রতিটি হাটে আমাদের নির্মিত প্রতিমা বেশ বিক্রি হয়। এ অঞ্চলের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ কারণেই প্রতিটি হাটেই প্রতিমার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
প্রতিমা ক্রেতা সমীর বিশ্বাস ও আনন্দ দাস বলেন, আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ঘরে ঘরে লক্ষ্মী দেবীর পূজা করি। লক্ষ্মী দেবী তুষ্ট হলে ধন, সম্পদ ও ফসলে পৃথিবী পূরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। সংসারের অভাব-অনটন দূর হয়। সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে পারি। তাই প্রতিমার হাটে প্রচুর প্রতিমা বিক্রি হয়। আমরা বংশ পরম্পরায় এসব হাট থেকেই প্রতিমা কিনে আসছি।
শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যজ্ঞেশ্বর বৈদ্য অনুপ বলেন, কোটালীপাড়ার ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজার উৎসব হয়। এ পূজাকে কেন্দ্র করে ৪-৫ দিন আগে থেকে কোটালীপাড়ার প্রায় ৩০টি স্থানে লক্ষ্মী প্রতিমার হাট বসে। এসব হাটে উৎসবমুখর পরিবেশে ক্রেতা-বিক্রেতারা প্রতিমা কেনাকাটা করে। কোটালীপাড়ায় ঐতিহ্যবাহী প্রতিমার হাটগুলো আরও শত শত বছর টিকে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন