বিশ্বে ১ কোটি ৪০ লাখ শিশু অপুষ্টির মুখে, মৃত্যুঝুঁকি আছে: ইউনিসেফ
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরাতন ভবনে এসেছেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর
অনেকবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরাতন ভবনে এসেছেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। এই ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন। তবে এবার জিয়া এলেন শেষবারের মতো কফিনে শুয়ে। আর কোনো দিন নিজের প্রিয় জায়গায় আসবেন না তিনি।
শনিবার (৬ জুলাই) দেশের অন্যতম সেরা এই ক্রীড়াবিদকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই। মাত্র ৫০ বছর বয়সে অকালপ্রয়াত এই দাবাড়ুর কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ), দাবা ফেডারেশন, তায়কোয়ান্দো ফেডারেশন। আনুষ্ঠানিকতা শেষে জিয়ার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মোহাম্মদপুরে তাজমহল রোডে। বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন জিয়া।
জিয়ার চলে যাওয়ায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম। তিনি বলেন, ‘অনেকেই টুর্নামেন্টের পুরস্কার ও নানা সুযোগ-সুবিধা কম হলে খেলতে চাইতেন না। জিয়া কখনোই এ রকম ছিলেন না। সব টুর্নামেন্টেই তিনি অংশগ্রহণ করতেন। যেন অন্যরা তার মাধ্যমে শিখতে পারে।’
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘জিয়ার অকালমৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত। তার যে পবিত্র স্থান, যে স্থানকে সে ভালোবাসত, সেখান থেকেই সে চলে গেল। দাবা খেলা অবস্থাতেই মারা গেল। ভালো একজন খেলোয়াড়কে হারিয়েছি আমরা।’
এছাড়াও জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশন ফিদে। তাদের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক শোক বার্তায় জিয়ার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে সংস্থাটি। জিয়াকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল দাবাড়ু উল্লেখ করে ফিদে জানিয়েছে, 'জিয়াউর রহমানের আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার পরিবার, বন্ধু ও ভালোবাসার মানুষদের প্রতি জানাচ্ছি সমবেদনা।'
শুক্রবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে চলছিল জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২তম রাউন্ডের খেলা। এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে খেলছিলেন জিয়া। দুপুর ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে খেলাকালীন হঠাৎ করেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা দ্রুতই তার চিকিৎসা শুরু করেন। প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্তও জিয়ার পালস খুঁজে পাননি ডাক্তাররা। অবশেষে তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন