আপডেট :

        আসন্ন ঈদে বিআরটিসির ৫৫০টি বাস

        সাদিপুর ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ১০ লক্ষ টাকা অনুদান

        হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে ৯ জনের যাবজ্জীবন

        রিশাদের ব্যাটে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

        কণ্ঠশিল্পী খালিদ মারা গেছেন

        বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

        গুণী প্রধান শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান

        বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃ‌তিতে আইরিশ মন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

        ইসলামবিদ্বেষ ঠেকাতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

        বাংলাদেশ-বৃটেন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫১ বছর: বৃটিশ হাইকমিশনার

        ঢাকায় সুইডিশ রাজকন্যা

        ইরাকের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা করবে আইএইএ

        বিস্ফোরক মামলায় যুবদল-ছাত্রদলের ৪ নেতা কারাগারে

        জিএসপি সুবিধার মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাড়াতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

        ট্রাম্প মানসিকভাবে অসুস্থ: জো বাইডেন

        জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬

        বিএনপি ইফতার পার্টিতে আল্লাহ-রাসুলের নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গীবত গায়: প্রধানমন্ত্রী

        মার্কিন গণতন্ত্রকে কটাক্ষ পুতিনের

        শাল্লায় বিল শুকিয়ে মৎস্য আহরণ

        দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পাপেট সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সব নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ: সজীব ওয়াজেদ জয়

যেসব খাবারের সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ক রয়েছে

যেসব খাবারের সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ক রয়েছে

আপনি সম্ভবত ইতোমধ্যে জানেন যে, কিছু খাবার ফিটনেস ও হার্টের জন্য ভালো নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা নিশ্চিত করেছে যে, জাঙ্ক ফুড ও অন্যান্য কিছু খাবার ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। এখানে আপনার যা জানা প্রয়োজন তা দেওয়া হলো।

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণ

আপনার খাদ্যতালিকা উন্নত করার জন্য অনেক কারণ রয়েছে, কিন্তু গবেষণা সম্প্রতি নিশ্চিত করেছে যে, কিছু ক্যানসার বিকাশের ঝুঁকি কমানো হতে পারে সর্বোত্তম কারণ। উচ্চ চিনি, চর্বি ও লবণ সমৃদ্ধ প্রক্রিয়াজাত খাবার আপনাকে স্থূলতা ও এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অবস্থা যেমন- ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের উচ্চ ঝুঁকিতে রাখে। সম্প্রতি পিএলওএস মেডিসিন নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় নিম্ন পুষ্টির খাবার এবং কিছু ক্যানসারের বর্ধিত ঝুঁকির মধ্যে সংযোগ পাওয়া গেছে।

সাম্প্রতিক গবেষণা নিয়ে কিছু কথা

গবেষকরা নিউট্রি-স্কোর লোগে নামে পরিচিত যুক্তরাজ্যের নিউট্রিশনাল লেবেলিং সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে গবেষণা করেন, যা ২০০৭ থেকে শুরু হয়েছে। এই গবেষণায় ৪৭০,০০০ এরও বেশি প্রাপ্তবয়স্কের খাবার মূল্যায়ন করা হয়। অন্যান্য ফ্যাক্টর (যেমন- এক্সারসাইজ না করা এবং ধূমপান করা) সংশোধন করার পরও গবেষকরা আবিষ্কার করেন যে, যেসব প্রাপ্তবয়স্ক সবচেয়ে কম স্কোরের খাবার খেয়েছিল তাদের পাকস্থলী, কোলরেক্টাল, শ্বাসনালী, ফুসফুস, যকৃত ও মেনোপজ-পরবর্তী স্তন ক্যানসারের উচ্চ ঝুঁকি ছিল।

খাবারকে ভয় পাবেন না

এই গবেষণা এটি ইঙ্গিত করছে না যে, মাঝেমাঝে এসব খাবার খাওয়া আপনার মৃত্যুর কারণ হবে। বরঞ্চ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিনিয়ত নিম্নমানের ডায়েটের ওপর থাকাই হচ্ছে সমস্যা: যদি আপনি নিয়মিত চর্বিহীন প্রোটিন, হোল গ্রেন, ফল ও শাকসবজি না খান এবং এর পরিবর্তে উচ্চ চর্বি, চিনি, লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খান- তাহলে আপনার খাদ্যতালিকা পুনরায় বিবেচনা করার সময় হয়েছে।

এখানে কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো যা এড়িয়ে চললে, বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে।

* বারবিকিউ
গ্রিল প্রেমিকেরা, সাবধান। অত্যধিক মাংস (বিশেষ করে, অত্যধিক রান্নাকৃত মাংস) ভোজনের সঙ্গে ক্যানসারের বর্ধিত ঝুঁকির সম্পর্ক রয়েছে, বলেন আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির এপিডেমিওলজি রিসার্চের সায়েন্টিফিক ডিরেক্টর মিয়া গডেট। সমস্যা হচ্ছে, গ্রিলের ওপর মাংস রান্না করলে পিএএইচ নামক কার্সিনোজেনিক কম্পাউন্ড উৎপন্ন হতে পারে, তিনি বলেন। ফ্লেইম-ব্রয়েলড (সরাসরি তাপ প্রয়োগে রান্না) বার্গার বা স্টিকের পোড়া দাগ হচ্ছে কেমিক্যালের লক্ষণ যা খেতে যতটা সুস্বাদু, স্বাস্থ্যের জন্য তার চেয়েও বেশি খারাপ। গবেষণায় যেসব ইঁদুরকে এসব কম্পাউন্ড সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়ানো হয়েছিল তাদের ক্যানসারযুক্ত টিউমার বিকশিত হয়েছিল। এমনকি পোড়া টোস্টেও অল্প পরিমাণে এসব কম্পাউন্ড থাকে, বলেন গডেন। তাই যদি আপনি নিয়মিত উচ্চ তাপমাত্রায় রান্নাকৃত মাংস খান, তাহলে বিকল্প পদ্ধতির খাবার গ্রহণের কথা বিবেচনা করুন।

* গাঁজানো খাবার
উপকারী ব্যাকটেরিয়া সরবরাহ ও পরিপাকতন্ত্রের উপকারিতার কারণে গাঁজানো খাবার জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু কিছু প্রাথমিক গবেষণায় বলা হয়েছে, এসব খাবারের উচ্চ লবণের সঙ্গে পাকস্থলীর ক্যানসারের সংযোগ থাকতে পারে। গবেষণায় এশিয়ার লোকদের মধ্যে ক্যানসারের উচ্চ হার পাওয়া গেছে যারা প্রচুর গাঁজানো খাবার (যেমন-স্মোকড ফিশ) খেত, বলেন মেডিক্যাল অফিসেস অব ম্যানহাটনের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট সেগাল।

* চারকুটেরি
সসেজ, ব্যাকন, হ্যাম ও স্যালামির মতো মাংস সংরক্ষণের প্রক্রিয়া নাইট্রাইটস গঠন করে। গবেষকরা পেয়েছেন যে, এই কম্পাউন্ড কোলন ও অন্যান্য ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে, বলেন গডেট। এ কারণে এসিএস (আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি) গাইডলাইন আপনার ডায়েটে প্রক্রিয়াজাত মাংস সীমিত করার জন্য সুপারিশ করছে। স্মোকিং, সল্টিং অথবা কিউরিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষিত মাংস কম খান।

* অ্যালকোহলিক পানীয়
অ্যালকোহলের ক্ষেত্রে কোয়ালিটির চেয়ে কোয়ান্টিটি বড় ফ্যাক্টর। পরিমিত থেকে উচ্চ মাত্রার অ্যালকোহল পানের সঙ্গে ক্যানসারের বর্ধিত ঝুঁকির শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে, বলেন গডেট। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা এক সার্ভিংয়ের বেশি অ্যালকোহল পান করতে নিষেধ করছেন।

* লাল মাংস

যেকোনো ধরনের লাল মাংস (যেমন- গরুর মাংস, শূকরের মাংস, ভেড়ার মাংস) আপনার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতি সপ্তাহে ১৮ আউন্সের বেশি লাল মাংস ভক্ষণ আপনার কোলরেক্টাল ক্যানসার বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতে পারে, আমেরিকান ইনস্টিটিউট ফর ক্যানসার রিসার্চ অনুসারে। এ কারণে অধিকাংশ স্বাস্থ্য নির্দেশিকায় আপনার ডায়েটের বেশিরভাগ প্রোটিন উদ্ভিজ্জ উৎস (যেমন- বিনস ও টফু) থেকে পেতে সুপারিশ করছে।

* কোমল পানীয়
গবেষকরা এখনো চিনি ও ক্যানসারের মধ্যে সংযোগ নিয়ে তদন্ত করলেও অত্যধিক চিনি ভোজন নিশ্চিতভাবে ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। একটি বিষয় খুব পরিষ্কার যে, অতিরিক্ত ওজন ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার শরীরে যত বেশি চর্বি থাকবে, আপনার ইস্ট্রোজেনের মাত্রা তত বেশি হবে এবং এটি স্তন ক্যানসার ও প্রজননাঙ্গে ক্যানসার বিকাশের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে, ডা. সেগাল সতর্ক করেন।

* মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন
প্রায়ক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েভ্যাবল পপকর্ন ব্যাগে লাইনার হিসেবে ননস্টিক কোটিং ব্যবহার করা হয়। ননস্টিক কোটিংয়ে পিএফওএ নামক কেমিক্যাল থাকে। প্রাণীর ওপর চালানো গবেষণায় পাওয়া যায়, এই কেমিক্যাল যকৃত, অণ্ডকোষ ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। ঘরে বানানো পপকর্ন খেতে পারেন। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে বিকল্প লাইনারের পপকর্ন খেতে পারেন।

* ক্যানড টমেটো ও সস
উৎপাদকরা কিছু প্লাস্টিকে বিসফেনল এ (বিপিএ) ব্যবহার করে। খাবারের ক্যানেও এটি ব্যবহার করা হয়। সমস্যা? বিপিএ শরীরে সেক্স হরমোনের প্রাকৃতিক উৎপাদনে হস্তক্ষেপ করতে পারে, যা স্তন ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি উচ্চ করে। টমেটোর উচ্চ অম্লতা ক্যান থেকে এই কেমিক্যাল টমেটো বা সসের সঙ্গে মেশাতে পারে। আপনি ক্যানড টমেটোর পরিবর্তে তাজা টমেটো ও অম্লতাযুক্ত সাইট্রাস ফল পছন্দ করতে পারেন।

* গরম পানীয়
কফি ও চা নিয়ে প্রচুর মতভেদ রয়েছে, কারণ উভয়ের অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্ভাব্য কার্সিনোজেনের তালিকা থেকে কফি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কিন্তু গবেষণা উল্লেখ করেছে, ১৪৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি তাপমাত্রায় পানীয় পরিবেশন খাদ্যনালীর ক্যানসারের ঝুঁকি উচ্চ করে। গবেষকরা ধারণা করছেন যে উচ্চ তাপমাত্রা টিস্যু ড্যামেজ করতে পারে, যার ফলে এটিতে ক্যানসারযুক্ত লেশন (লেশন হচ্ছে অস্বাভাবিক টিস্যুর অংশ, যা বিনাইন অথবা ক্যানসারযুক্ত হতে পারে) বিকাশের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অধিকাংশ বাণিজ্যিক পানীয় ১৪০-১৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইট রেঞ্জে পরিবেশন করা হয়। তাই গরম পানীয় পানের পূর্বে এটিকে পর্যাপ্ত ঠান্ডা হতে দিন।

এলএবাংলাটাইমস/এইচ/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত