আপডেট :

        ভারতে আজ চলছে ৭ দফা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল

        মানবাধিকারের উল্লেখযোগ্য উন্নতি

        প্রচণ্ড এই গরম থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন জায়গায় নামাজ পড়ে দোয়া

        যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার

        এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো

        মার্কিন বিমান আটকে দিলো ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির!

        চিতাবাঘের আক্রমণে আহত জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার হুইটাল

        যুক্তরাষ্ট্রে গরুর দুধেও বার্ড ফ্লু শনাক্ত

        পবিত্র হজ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

        গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

        পার্লামেন্টে জুতা চুরি, খালি পায়ে ঘরে ফিরলেন পাকিস্তানের এমপিরা

        অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

        কুড়িগ্রামে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু

        চীন সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

        দেশে একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কিছুটা কমানো হয়েছে

        ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে

        ইউক্রেনে গোপনে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

        আবহাওয়া বিবেচনায় খোলা হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

        ‘ব্ল্যাক’ ফিরে যাচ্ছে পুরনো লাইনআপে!

‘৭ দিন নরকে কাটিয়েছি’

‘৭ দিন নরকে কাটিয়েছি’

চীন সরকার একে বলে কারিগরি শিক্ষা কেন্দ্র। সেই কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল কাজাখ বংশোদ্ভূত চীনা মুসলিম আইবোতা সেরিকের বাবাসহ অনেককে। তাদের মতে সেটি শিক্ষা কেন্দ্র নয় বরং কারাগার।

চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের তারবাগাতে এলাকার একটি মসজিদের ইমাম আইবোতার বাবা। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে আটক করা হয়। এরপর থেকেই আর বাবার কোনো খোঁজ পাননি আইবোতা।

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কেন আমার বাবাকে বন্দী করা হয়েছে। তিনি চীনের কোনো আইন লঙ্ঘন করেননি, তাকে আদালতেও হাজির করা হয়নি।’

অরিনবেক কোকসেবেক নামে সংখ্যালঘু কাজাখ গোষ্ঠীর আরেক ব্যক্তি জানান, তিনি বেশ কয়েক মাস ওই বন্দিশিবিরে ছিলেন।

অরিনবেক বলেন,‘আমি সেখানে নরকের সাত দিন পার করেছি। আমার হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়, পা ছিল বাঁধা। তারা আমাকে একটি গর্তের মধ্যে ছুড়ে ফেলে। আমি আমার হাত দুটি উঁচু করলাম এবং উপরের দিকে তাকালাম। এসময় তারা পানি মারতে শুরু করলো। আমি চিৎকার করতে লাগলাম।’

নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এরপরে কি হয়েছিল আমার মনে নেই। ওই গর্তে কতক্ষন ছিলাম মনে করতে পারিনি, তবে সময়টা শীতকাল এবং প্রচণ্ড ঠান্ডা ছিল। তারা আমাকে বলেছিল, আমি বিশ্বাসঘাতক। কারণ আমার নাকি দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে, আমার দেনা আছে এবং আমি জমির মালিক।’ কিন্তু এগুলো সবই মিথ্যা ছিল বলে জানান অরিনবেক।

এক সপ্তাহ পরে অরিনবেককে আরেকটি ভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে চীনা ভাষা ও গান শেখানো হয়। তিন হাজার চীনা শব্দ মুখস্থ করলে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

অরিনবেক বলেন, ‘তারা কাজাখদের আটক করে কারণ তারা মুসলমান। কেন বন্দী করে? চীনের উদ্দেশ্য হচ্ছে কাজাখদের চীনা বানানো। তারা পুরো জাতিসত্ত্বাটিকে মুছে ফেলতে চায়।’


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত