ধর্ষণ মামলায় হার্ভকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০২০ সালে দেওয়া রায় বাতিল
জামাল খাশোগি হত্যায় দায়ী সৌদি প্রিন্স
প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণ বলছে, সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানসহ দেশটির শীর্ষ কমকর্তারা দায়ী। গতকাল বুধবার জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন। গতকাল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।
একশ পৃষ্ঠার ওই তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি সৌদি আরব। তবে এ ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে তারা সব সময়ই বলে আসছে-খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ক্রাউন প্রিন্সের কোনো যোগসাজশ নেই।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত এজেন্স কলমার্ড বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন ক্রাউন প্রিন্স ও তার সম্পদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এমনকি যতদিন পর্যন্ত যুবরাজ নির্দোষ প্রমাণিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা যেন বলবত থাকে। ছয় মাস তদন্তের পর কলমার্ড তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, জামাল খাশোগি ইচ্ছাকৃত, পরিকল্পিত ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে যার জন্য সৌদি আরব দায়ী।
প্রসঙ্গত কলমার্ড চলতি বছরের শুরুতে তুরস্কে যান। তার সঙ্গে ফরেনসিক ও আইন বিশেষজ্ঞের একটি দলও ছিল। দলটি তুর্কি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে। এর ভিত্তিতে কলমার্ড বলেন, এর মধ্যে শক্তিশালী প্রমাণ রয়েছে, যাতে দেখা যায় ওই ঘটনার সঙ্গে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সসহ সে দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা রয়েছেন।
এদিকে গত বছর মর্মান্তিক ও লোমহর্ষক ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরব ১১ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে রুদ্ধদ্বার বিচারকার্য পরিচালনা করে, যার মধ্যে ৫ জনের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। তবে সৌদি আরবের বিচারপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত এবং সেই প্রক্রিয়াকে বর্জনের আহ্বান জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত বছর ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি দূতাবাসে ব্যক্তিগত কাজের জন্য যান জামাল খাশোগি। বাইরে তার বাগদত্তা অপেক্ষারত ছিলেন।
শেয়ার করুন