আপডেট :

        মালয়েশিয়া ‘জঙ্গি’ সন্দেহে ৩৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার; ঢাকা দিচ্ছে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি

        মালয়েশিয়া পুলিশের সতর্কতা: ভাঙলেও বাংলাদেশের জঙ্গি হুমকি মুছে যায়নি

        এশিয়ান কাপ বাছাই শেষ করল বাংলাদেশ নারী দল

        স্কুলে মোবাইল নিষেধাজ্ঞা কার্যকর: নেদারল্যান্ডে ফোকাস ও ফলাফলে বৃদ্ধি

        মঈন খান আ’লীগকে ‘পলায়নকারী শক্তি’ বললেন

        কাদের গনি চৌধুরী: ভারতের পুশ-ইন কৌশল বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি

        নাহিদ ইসলাম বলছেন—বিচার ও সংস্কার শেষ, তারপরই নির্বাচন সম্ভব

        মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে

        টেলিগ্রাফ উদ্ধৃত করে: ইরানের হামলায় পাঁচটি সামরিক স্থাপনে ক্ষতি, ইসরায়েল কিছুই বলেনি

        সালাহউদ্দিন: যারা জামানত হারাবে, তাদেরই দরকার সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন

        বাঁধন ভালো কিছু প্রত্যাশা করেছিলেন

        ১০ জনের দলে যৌন হয়রানি: রুমিন ফারহানা

        রাগ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়? _ ১১ উপায়

        ওড়না কেড়ে নিয়ে হাত বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতো

        ৮ জুলাই ঢাকায় আসছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পপ্রধান হালুক গরগুন

        জাদুঘরে জুলাই আন্দোলনের স্থিরচিত্র

        আবু সাঈদের রক্তই খুলল আমার কারাগার কেল্লা: রংপুরে এটিএম আজহার

        ‘মব’ সৃষ্টির অভিযোগ

        মোব কালচারে’ নির্বাচনের চেতনা নষ্ট: জামায়াত আমির শফিকুর রহমান

        রেডিয়াল সিদ্ধান্ত: নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগে আইএইএ কর্মকর্তাদের তেহরান ত্যাগ

১ হাজার কোটি টাকা খরচে আসামে নির্মাণ হচ্ছে বন্দি শিবির

১ হাজার কোটি টাকা খরচে আসামে নির্মাণ হচ্ছে বন্দি শিবির

চূড়ান্তভাবে যারা ভারতীয় নাগরিক বলে গণ্য হবেন না তাদের জন্য আসামের গোয়ালপাড়ায় প্রথম ‘এক্সক্লুসিভ ডিটেনশন সেন্টার’ নির্মাণ শুরু হয়েছে। এটি নির্মাণে খরচ পড়বে ৪৫ কোটি রুপি। ধারণ ক্ষমতা হবে ৩০০০ বন্দির। আসামে এমন ১১টি বন্দিশিবির বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

বাকিগুলো নির্মাণ করা হবে বারপেটা, দিমা, হাসাও, কামরূপ, করিমগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর , নগাঁও, নালবাড়ি, শিবসাগর ও সোনিতপুরে। সূত্রমতে, একেকটি বন্দিশিবিরের ধারণ ক্ষমতা হবে কমপক্ষে ১০০০। এসব বন্দিশিবির নির্মাণে মোট খরচ ধরা হয়েছে ১০০০ কোটি রুপি। ভারতের অনলাইন নিউজ ১৮ এ খবর দিয়েছে। এতে আরো বলা হয়, আসামে বর্তমানে ৩১টি জেলখানা আছে।

এর ধারণক্ষমতা মোটামুটি ৯০০০। এসব জেলে অতিরিক্ত বন্দি রাখার জন্য সরকার জেলখানাকে সম্প্রসারণ করতে পারে।

৩১শে আগস্ট চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি থেকে যারা বাদ পড়েছেন তারা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন। এসব আবেদন যাচাই বাছাই করার জন্য রাজ্য সরকার অতিরিক্ত ২০০ ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করছে। আরো ২০০ এমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হবে আগামী তিন মাসের মধ্যে। এনআরসি থেকে যারা বাদ পড়েছেন তাদের ‘বিদেশি’ও বলা যাবে না, আবার তাদের গ্রেপ্তারও করা যাবে না- যতক্ষণ পর্যন্ত এ বিষয়ে আদালতে ফয়সালা না হয়।

নিউজ ১৮ লিখেছে, রাজ্যের ৬টি বন্দিশিবিরে ‘বিদেশি’ ঘোষিত অনেক বন্দি অবস্থান করছেন। তিন বছরের জেল সম্পন্ন করার পর সুপ্রিম কোর্ট শর্তসাপেক্ষে তাদের মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তা সত্ত্বেও ওইসব বন্দি জেলেই রয়েছেন। মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় যে, আসামে যেসব অবৈধ ‘বিদেশি’ শাস্তি হিসেবে তিন বছরের জেল খেটেছেন তাদেরকে এক লাখ রুপি বন্ডের বিনিময়ে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে তার জিম্মাদার হতে হবে দু’জন ভারতীয়কে এবং তার থাকতে হবে একটি বৈধ ঠিকানা। আদালত আরো নির্দেশ দেয় যে, সব বন্দির বায়োমেট্রিক বিস্তারিত এবং ফটো ধারণ করতে হবে। তা জমা রাখতে হবে ডাটাবেজে। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের প্রতি সপ্তাহে অবশ্যই পুলিশে রিপোর্ট করতে হবে।

এখন পর্যন্ত ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল কমপক্ষে এক লাখ মানুষকে ‘বিদেশি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের হিসাবে, কমপক্ষে ৯০০ ব্যক্তি এখন জেলে আছে। অন্যদের বেশির ভাগই রয়েছে পলাতক।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত