ধর্ষণ মামলায় হার্ভকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০২০ সালে দেওয়া রায় বাতিল
ভারতে করোনা সন্দেহে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা
করোনা রোগী সন্দেহে মাধবপুরের এক যুবককে ভারতে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের লোকজন। এই ঘটনায় উভয় দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু নিহতের লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিএসএফ না দেয়ায় লাশ গ্রহণ করেনি বিজিবি। বিজিবি সূত্র জানায় , নিহতের নাম লোকমান মিয়া। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মালঞ্চপুর গ্রামের আবদুল হাশিমের ছেলে।
গত ২৪ মে মাধবপুরের সীমান্তবর্তী ভারতের মোহনপুর সীমান্ত দিয়ে গোপালপুরে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যান লোকমান মিয়া। তখন ভারতের স্থানীয় নাগরিকরা লোকমানকে করোনা রোগী ও চোর সন্দেহে করে পিটিয়ে সীমান্তে ফেলে দেয়। নোভেল করোনাভাইরাস সন্দেহে গনপুটুনীতে তার মৃত্যুর খবর ত্রিপুরার গণমাধ্যমে সম্প্রচার করে। মৃত ভেবে ভারতীয়রা লোকমান কে বাংলাদেশ সীমান্তের অদুরে একটি জঙ্গলে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা রাজ্যের সিধাই থানা পুলিশ মূমূর্ষ অবস্হায় উদ্বার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে লোকমানের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে ২৭ মে বুধবার বিকালে বি জিবি বিএস এফ এর পতাকা বৈঠক হয় ১৯৯৪/৪ এস পিলারে নিকট। এতে, ভারতের পক্ষে ১২০ ব্যাটালিয়নের মোহনপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার ইন্সপেক্টর শশি কান্ত ও বাংলাদেশের পক্ষে নেত্বত্ব দেন ৫৫ বিজিবির ধর্মঘর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার দেলোয়ার হোসেন।
ভারতের পশ্চিম ত্রিপুরা রাজ্যের মোহনপুর সীমান্ত দিয়ে লাশ হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তুু ভারতীয় পুলিশ ময়না তদন্ত, সুরতহাল রিপোর্ট আনুসাঙ্গিক কাগজ পত্র ছাড়া লাশ হস্তাস্তর করতে চায়। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা লাশ গ্রহনে অস্বীকৃতি জানায়।
নিহতের ছোট ভাই হুমায়ুন বলেন, আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। ভারতীয় গনমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। অথচ কাগজ পত্র ছাড়া লাশ ফেরত দিতে চায়। আমরা পরিবার বাংলাদেশের বিজিবি/ পুলিশের মাধ্যমে কাগজ পত্রসহ লাশ চাই।
তবে বিজিবি বলেছে, আমরা লাশ ফেরত আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এন
শেয়ার করুন