আপডেট :

        জলদস্যুতা নির্মূলে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: মোদি

        সাব-রেজিস্ট্রার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

        সাকিব ইস্যুতে ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্য

        ২০০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

        আসন্ন ঈদে বিআরটিসির ৫৫০টি বাস

        সাদিপুর ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ১০ লক্ষ টাকা অনুদান

        হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে ৯ জনের যাবজ্জীবন

        রিশাদের ব্যাটে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

        কণ্ঠশিল্পী খালিদ মারা গেছেন

        বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

        গুণী প্রধান শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান

        বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃ‌তিতে আইরিশ মন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

        ইসলামবিদ্বেষ ঠেকাতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

        বাংলাদেশ-বৃটেন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫১ বছর: বৃটিশ হাইকমিশনার

        ঢাকায় সুইডিশ রাজকন্যা

        ইরাকের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা করবে আইএইএ

        বিস্ফোরক মামলায় যুবদল-ছাত্রদলের ৪ নেতা কারাগারে

        জিএসপি সুবিধার মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাড়াতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

        ট্রাম্প মানসিকভাবে অসুস্থ: জো বাইডেন

        জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬

এমপির মেয়ে তাই ১০ বছর বিদেশে থেকেও চাকরিতে বহাল

এমপির মেয়ে তাই ১০ বছর বিদেশে থেকেও চাকরিতে বহাল

২০০৯ সাল থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। মাঝখানে আড়াই মাসের ছুটির দরখাস্ত দিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। তবু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বহাল রয়েছেন জামালপুরের এক সংসদ সদস্যের (এমপি) মেয়ে।

সরকার-দলীয় এমপির প্রভাবের কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। উল্টো বিষয়টি গোপন করে তাকে এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে বদলি দেখানো হয়েছে।

ওই সহকারী শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুরের নবাগত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক। তবে কী কারণে আগের শিক্ষা কর্মকর্তারা বিষয়টি গোপন রেখেছেন তা তার জানা নেই। তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই অনুপস্থিত শিক্ষিকার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলালের মেয়ে ফারজানা হক ২০০৫ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। একই উপজেলার শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন তিনি। সেখান থেকে ২০০৯ সালের ৫ ডিসেম্বর উপজেলা সদরের জেজেকেএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন।

২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে ২০১১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অসুস্থতা দেখিয়ে ছুটি নেন এই শিক্ষিকা। এর পর থেকে প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফারজানা হক সোমা ২০০৯ সালে জেজেকেএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় অস্ট্রেলিয়াতে পাড়ি জমান। পরে তিনি ২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ২০১১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আড়াই মাসের চিকিৎসাজনিত ছুটির আবেদন করেন। এখন পর্যন্ত তিনি অস্ট্রেলিয়াতেই অবস্থান করছেন।

এমপির মেয়ের দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে চাকরি বহাল থাকা নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হলেও টনক নেড়েনি উপজেলা ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের। বিষয়টি সংবাদ কর্মীদের নজরে আসায় নড়েচড়ে বসেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা শিক্ষা অফিসের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, এমপির প্রভাবের কারণে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি। এ জন্য অনুপস্থিতির বিষয়টি গোপন রেখে এমপিকে সন্তুষ্ট রাখতে হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস জানান, সহকারী শিক্ষিকা ফারজানা হক ২০০৯ সালে অসুস্থতাজনিত কারণে এক মাসের ছুটি নেন। এরপর থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

মো. ফেরদৌস বলেন, ‘আমি কয়েক দিন আগে এখানে যোগদান করেছি। কী কারণে ওই শিক্ষিকার বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করা হয়নি তা তার বোধগম্য নয়।’ তবে এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

জেজেকেএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফারজানা হকের অনুপস্থিতির বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন পেয়েছি। তবে তিনি ২০০৯ সাল থেকে অনুপস্থিত থাকলেও ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে বেতন উত্তোলন করেননি। বিনা ছুটিতে দীর্ঘ ১১ বছর কর্মস্থলে না থাকায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ময়মনসিংহ উপ-পরিচালকের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।’

দীর্ঘ ১০ বছর অনুপস্থিত থাকার পরও ওই শিক্ষিার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি তার বোধগম্য নয়।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এন

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর