আপডেট :

        ডিজাব’র নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক

        দেশের শাসন কাঠামোর সব জায়গায় শ্রমিকদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার দাবি

        সাঁথিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের কারাদণ্ড

        সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন

        ঘুমের যত্নে প্রাকৃতিক উপায়

        গাড়িতে অযাচিত স্টিকার ব্যবহার

        অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

        উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার সম্ভাবনা

        বর্তমান সরকার শ্রমিকদের জন্য যা করেছে, অন্য কেউ করেনি

        ২ ভাইকে পিটিয়ে হত্যা: জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি

        ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারও নাই, আমারও নাই

        মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তারের কারন জানা গেলো

        সেচের অভাবে মরছে ২৪২ বিঘা ধান

        তীব্র গরমে ছাতা, ক্যাপ, বিশুদ্ধ পানি এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ

        তীব্র গরম উপেক্ষা করে বিএনপির সমাবেশ

        যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী এবং ইসরায়েলি প্রতিরোধকারীদের সংঘর্ষ

        কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের একটি একাডেমিক ভবনে আটকে থাকা ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার

        মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ

        হাসপাতালে খালেদা জিয়া

        শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের

টেন ইয়ার্স চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি মুহিত!

টেন ইয়ার্স চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি মুহিত!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘#টেনইয়ার্সচ্যালেঞ্জ’ নিয়ে মাতামাতির অন্ত নেই। বিগত কয়েক দিন ধরে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের টাইমলাইন ১০ বছর ব্যবধানের ছবিতে সয়লাব।

সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচিত এই চ্যালেঞ্জে শুক্রবার বাস্তবে মুখোমুখি হলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত, যার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সদ্যবিদায়ী অর্থমন্ত্রী!

১০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম তিনি একা একা সিলেট ফিরলেন।

মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে এখন মুহিত সাবেক। আর এতেই খসে পড়েছে অনেকের মুখোশ। একটা সময় মুহিতের পাশে যেসব ‘সুবিধাভোগী’ আটার মতো লেপটে থাকতেন, তাদের সবাই লাপাত্তা! টিকিটি ধরাও জো নেই।

শুক্রবার দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান আবুল মাল আবদুল মুহিত। মন্ত্রিত্ব নেই। কিন্তু, এখনও দলের পদপদবিতে বহাল তিনি। এরপরও তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ছিলেন না কোনো নেতাকর্মী। এমন কি বিমানবন্দরে তার হুইল চেয়ার ধরার মতোও কেউ ছিলেন না।

অথচ দিন কয়েক আগেও নবম ও দশম জাতীয় সংসদের প্রভাবশালী মন্ত্রী তকমা ছিল মুহিতের শরীরে। টানা দুই মেয়াদে সফলতার সঙ্গে আগলে ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়। তখন তার পাশে আনাগোনা ছিল অনেকের। আর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে না পড়তেই তারাও ভুলে গেছেন সজ্জন মুহিতকে।

বেলা ১টা ৫০ মিনিটের সময় নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে সিলেট আসেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিমান থেকে নেমে হুইল চেয়ারে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভিআইপি লাউঞ্জে। ভিআইপি লাউঞ্জ তখন জনশূন্য। অথচ কয়েক দিন আগেও এখানে তাকে ঘিরে নেতাকর্মীদের জটলা লেগে থাকতো।

নেতাকর্মীদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হতো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। ভিআইপি লাউঞ্জে পড়ে যেত হুড়োহুড়ি-ধাক্কাধাক্কি। গলা ফাটানো স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে উঠতো। এরপর মোটর শোভাযাত্রা সহকারে তাকে নিয়ে আসা হতো ধোপাদিঘিরপারস্থ হাফিজ কমপ্লেক্সে।

মুহিত যতদিন হাফিজ কমপ্লেক্সে থাকতেন, ততদিন বাড়িটিও থাকত নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মুখর। কিন্তু, এবারের চিত্র ঠিক তার উল্টো। সাবেক অর্থমন্ত্রীর হুইল চেয়ার ধরার মতো যেমন কেউ নেই, নেই বাড়িটিতেও শোরগোল।

সাবেক এপিএস জনিকে নিয়ে একা একাই সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর ত্যাগ করতে হয় মুহিতকে।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে প্রবীণ নেতাদের অনেকেই বলেছেন, এটা কাম্য নয়। তার মতো প্রবীণ রাজনীতিকের সম্মান পাওয়া আবশ্যক, এটা তার অধিকার।

তবে তারাও স্বীকার করেন, এটাই হয়তো এখনকার রাজনৈতিক সংস্কৃতি। ক্ষমতা নেইতো, হালুয়া-রুটি ভোগীদেরও দেখা মিলবে না!

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত