চার গুণীজনকে একান্নবর্তী-রণজিৎ বিশ্বাস স্মৃতি সম্মাননা প্রদান
জনপ্রিয় হচ্ছে ৯৯৯, এক বছরে ১৩ লাখ কল
পুলিশি সহায়তা, অগ্নিনির্বাপণ ও অ্যাম্বুলেন্স— এই তিনটি সেবা কার্যক্রম সহজে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতেই এক বছর আগে চালু করা হয়েছিল জরুরি সেবা ‘৯৯৯’।
এই এক বছরে জনপ্রিয় হয়েছে এই হেল্পলাইন, বেড়েছে এর ব্যাপ্তিও। আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়ার পর থেকে বিগত এক বছরে এই হেল্পলাইনে ১৩ লাখেরও বেশি কল এসেছে।
এরই মধ্যে এই হেল্পলাইনকে সাংগঠনিক কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) দেয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে পরবর্তী কার্যক্রম শেষে শিগগিরই ‘৯৯৯’ আলাদা ইউনিট হিসেবে কাজ শুরু করতে পারবে।
ভয়েস কলের পাশাপাশি ফেসবুক, টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপেও ‘৯৯৯’ সেবা চালু করেছে পুলিশ। কিছুদিন আগে থেকে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের এসব মাধ্যমে এই সেবা দেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া যাত্রী নিরাপত্তা বাড়ানো এবং যৌন হয়রানি ঠেকাতে গণপরিবহনেও জরুরি সেবার জাতীয় হেল্পডেস্ক নম্বর ৯৯৯ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
জনগণের সেবার পরিধি বাড়ার কারণে জরুরি এই সেবাটি পরিচালনা করতে পুলিশের পক্ষ থেকে আরও অনেক বিশেষ পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। একসঙ্গে ৫০০ কল রিসিভ করার মতো সক্ষমতার একটি কল সেন্টার গড়ে তুলতে প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় ডেমরা এলাকায় ১০তলা একটি ভবন করা হবে।
পুলিশের তথ্য অনুসারে, গত এক বছরে ৯৯৯- এ ১৩ লাখের বেশি কল এসেছে। তবে এসব কলের মধ্যে ১০ লাখের বেশি কলই ছিল অপ্রয়োজনীয়। মোট প্রয়োজনীয় কলের ৭৫ শতাংশই ছিল পুলিশি কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট। এর বাইরে ২০ শতাংশ ফায়ার সার্ভিস সেবার জন্য এবং বাকিটা অ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য।
জরুরি সেবা ৯৯৯-তে কাজ করেন এমন কর্মকর্তারা জানান, প্রাণনাশের আশঙ্কা, ধর্ষণ–সংক্রান্ত ঘটনা, গৃহকর্মী নির্যাতন, কাউকে আটকে রাখা, লিফটে আটকে পড়া, অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকা, দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, অ্যাম্বুলেন্স, পারিবারিক সমস্যা সমাধান, নিখোঁজ শিশু উদ্ধার, গাছ কাটা বন্ধ করা, শব্দদূষণ ছিনতাইসহ নানা ধরনের সমস্যায় সাধারণ ও বিপদগ্রস্ত মানুষকে তারা এ পর্যন্ত সহযোগিতা করেছেন।
পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ পরীক্ষামূলক কাঠামোর মাধ্যমে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দিতে ২০১৬ সালের ১১ অক্টোবর পাইলট কর্মসূচির আওতায় ৯৯৯ সেবা চালু করে। জাতীয় হেল্পডেস্ক নামে এর যাত্রা শুরু হলেও পরে নাম হয় ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস’।
প্রায় এক বছর পর ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সার্ভিসের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় পুলিশ সদরদপ্তরকে। পরে পুলিশের একজন অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে একটি দল এই সেবা কার্যক্রম চালুর প্রক্রিয়া শুরু করেন। একই বছরের ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর আবদুল গণি রোডের সেন্ট্রাল পুলিশ কন্ট্রোল রুম ভবনে এ সেবা সার্ভিসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
এরপর থেকে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে ৯৯৯ সেবা। ভবিষ্যত রেফারেন্স ও মামলার এভিডেন্সসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ‘৯৯৯’ নম্বরে আসা প্রত্যেকটি কল একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ধারণ করা (রেকর্ডেড) হচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন