নরওয়াকে পালশালার বাইরে গুলি বর্ষণের ঘটনায় দুইজন আহত, বন্দুকধারীকে খুঁজছে পুলিশ
যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তে আইন করবে সরকার
যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আইন করবে সরকার। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মোট ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এরমধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশ জামায়তে ইসলামী ও একজন বিএনপির নেতা। বিভিন্ন মহল থেকে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি রয়েছে।
সচিবালয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, বিচার করার পর তাদের সম্পত্তির ব্যাপারে আজকে জনগণের একটা দাবি উঠেছে। জনগণের দাবি যুদ্ধাপরীদের সম্পত্তির একটা ব্যবস্থা নেওয়া। আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের চিন্তা-ভাবনা করছি। খুব তাড়াতাড়ি এ সমস্যার সমাধান হবে এমন কথাও বলতে পারব না, আবার অনেক দেরি হবে তাও আমি বলতে পারব না। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘এটা যতদূর সম্ভব আমরা চেষ্টা করব তাড়াতাড়ি করার। কারণ আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, জনগণ আমাদের কাছে জবাব চায়। এটা আমি পরিস্কার করে দিতে চাই যে কোন প্রক্রিয়া হোক। সেটা কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর বাইরে নয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যাদের ফাঁসি দেওয়া হল, তাদের সম্পত্তি...তারা তো মৃত, যেহেতু তারা মুসলিম ল’র আওতাধীন। মুসলিম আইন অনুযায়ী সম্পত্তি তাদের ওয়ারিশগণের কাছে চলে গেছে। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় না আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন-১৯৭৩ সংশোধন করলেই তাদের সম্পত্তি আমরা আনতে পারব। এটা আমার ধারণা। সেক্ষেত্রে নতুন আইন করতেই হবে।’
সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে কিনা- একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বাজেয়াপ্ত কথাটা ব্যবহার করিনি। তার কারণ হচ্ছে বাজেয়াপ্ত করার অর্ডারটা কিন্তু কোর্টের দিতে হয়। এখন পর্যন্ত যে পানিশমেন্টগুলো হয়েছে, সেখানে কোর্ট এ রকম কোন অর্ডার দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। সেক্ষেত্রে আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে, হয় এই আইনের (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন) মধ্যে এমন কোন প্রভিশন করে দিতে হবে যেটা কোর্ট অর্ডার দিয়ে এটা রাষ্ট্রের কাছে দিয়ে দিতে পারে। অথবা চিন্তা করতে হবে নতুন করে কোন আইন করে তাদের সম্পত্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।’
যে যুদ্ধাপরাদীদের রায় কার্যকর হয়ে গেছে তাদের সম্পত্তির ব্যাপারে এখনও আর কোর্ট কোন অর্ডার দিতে পারবে না জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য আইন করাটাই শ্রেয়।’
আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে যে কমিটমেন্ট করেছিলেন, সকলের সহযোগীতায় সেটার একটা ফেইজ (অধ্যায়) পার হয়েছে। আমার মনে হয় না এ রকম স্বচ্ছভাবে কোন যুদ্ধাপরাধী বা মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে।’
শেয়ার করুন