আপডেট :

        আওয়ামী লীগের সমাবেশ স্থগিত করা হলো

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        আমিরাতের বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ

        আমিরাতের বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ

        মালয়েশিয়ায় মহড়া চলাকালীন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

        ইরানে ব্যাপক হামলা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল

        ঢাকার ফুটপাত দখল ও বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপের অগ্রগতির নির্দেশ

        দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে

        শাহি লাচ্ছি ও শসা-লেবুর শরবতের রেসিপি

        টঙ্গীতে ঝুটের গোডাউনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে

        অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি ১২৭ জনের

        তিন সপ্তাহে ফোনের বিল ১ লাখ ৪৩ হাজার ডলার

        টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ক্লান্ত মোস্তাফিজকে চায় না বিসিবি

        জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

        ম্যানহাটনের আদালতের বাইরে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া ব্যক্তির মৃত্যু

        যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে বন্দুকধারীর হামলা, মৃত ২

        সুদহার কমানো নিয়ে ফেডের নতুন ভাবনায় আরও শক্তিশালী মার্কিন ডলার

গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করতে বললেন জাতিসঙ্ঘের বিশেষজ্ঞরা

গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করতে বললেন জাতিসঙ্ঘের বিশেষজ্ঞরা

গুয়ানতানামো বে, কিউবায় অবস্থিত হলেও এটি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ঘাঁটি ও কুখ্যাত সামরিক কারাগার হিসেবে পরিচিত। এখানকার বন্দীদের ওপর চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা রোমহর্ষক কাহিনি বিশ্বজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত। কারাগারটি চালুর দুই দশক পূর্তিতে জাতিসংঘের একদল বিশেষজ্ঞ এই কারাগার চূড়ান্তভাবে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

২০০১ সালের সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে বিমান হামলার পর বিশ্বে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এই যুদ্ধে আটক সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গুয়ানতানামো বে কারাগারে আটকে রাখা হতো। পরের বছরের ১০ জানুয়ারি এই কারাগারের যাত্রা শুরু হয়।

এরপর থেকে কারাগারটি শুধু কুখ্যাতি কুড়িয়েছে। বন্দীদের ওপর মার্কিন বাহিনীর চরম অত্যাচার, নির্যাতন আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন রোমহর্ষক ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর নানা মহলে কারাগারটি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি ওঠে। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও কুখ্যাত এই কারাগারের কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়ার পক্ষে।

স্থানীয় সময় গত সোমবার এক বিবৃতিতে জাতিসঙ্ঘের বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিচারের আওতায় না এনে টানা দুই দশক ধরে বন্দীদের গুয়ানতানামো বে কারাগারে আটকে রেখে শাস্তি দেয়া, অত্যাচার-নির্যাতন করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষত যেই দেশের সরকার বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার রক্ষার জন্য সোচ্চার, সেই দেশ এমন কাজ করতে পারে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই কালো অধ্যায় বন্ধ করতে হবে।

জাতিসঙ্ঘের দুটো ওয়ার্কিং গ্রুপ ও পাঁচজন স্বাধীন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এই কারাগার পুরোপুরি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মতে, কারাগারটি বন্ধ করে দিয়ে বন্দীদের নিজ দেশে কিংবা তৃতীয় কোনো নিরাপদ দেশে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে এখানকার বন্দীরা তাদের ওপর বছরের পর বছর ধরে চলা অত্যাচার-নির্যাতনের ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

দুই দশকে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ধরে এনে প্রায় ৮০০ জনকে এ কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে আটকে রাখে যুক্তরাষ্ট্র। এখনো এখানে ৩৯ জন আটক আছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন একদম শুরুর সময় থেকে বন্দী আছেন। এই ৩৯ জন বন্দীর মধ্যে ১৩ জন মুক্তির অপেক্ষায়। তাঁদের প্রত্যাবাসনের নিরাপদ জায়গা খোঁজা হচ্ছে। তবে প্রক্রিয়াটি বেশ ধীরে এগোচ্ছে। ১৪ জনের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে। ১০ জনের বিচার চলছে কিংবা বিচার শুরুর অপেক্ষায় আছেন। আর দুজন বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

২০০২ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গুয়ানতানামো কারাগারে ৯ বন্দীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জন আত্মহত্যা করেছেন। তাদের কারোরই অপরাধমূলক কাজের দায়ে বিচার সম্পন্ন হয়নি। প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে বিবৃতিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, গুয়ানতানামোর বন্দীদের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থা মানবাধিকার রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে। এখানে বড় ধরনের আইনি ফাঁক তৈরি হয়েছে। হাজারো বন্দীর বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত কাঠামোগত অত্যাচার ও অমানবিক নির্যাতনের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এই কারাগার।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/আই

[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত