মোটরসাইকেল দুর্ঘটনারোধে যা করবেন
স্বল্প সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাইকের বিকল্প খুব কম। অবশ্য দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় মোটরসাইকেল ভ্রমণ জীবনের অভিশাপ হয়ে উঠতে পারে। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ অনিরাপদ থাকা। বিভিন্ন পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখলে এই বিষয়টিকে বেশ ভালোভাবেই বোঝা যাবে। তাই ব্যক্তিগতভাবে বাইক চালানোর ক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিক কিছু সতর্কতামূলক প্রস্তুতি রাখতে হবে।
হেলমেট পরতেই হবে
বাইক দূর্ঘটনা অসাবধানতাবশতও হতে পারে। আর এমন ক্ষেত্রে প্রাণহানি হয় হেলমেট না থাকলে। মাথায় আঘাত পেলে তা ভয়ংকর সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে। অনেকে ভাবেন, এলাকাতেই তো চালাচ্ছি, এত ভাবার কি আছে? তবে এই অসাবধানতা মৃত্যু দেকে আনতে পারে। তাই মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার ও নিয়মিত হেলমেট পরার অভ্যাস করুন।
সুরক্ষাসামগ্রী
হেলমেট বাদেও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহার করুন। হাত, পা ও বুকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়েও মনোযোগী হওয়া জরুরি।
গতিসীমার বিষয়টি মাথায় রাখুন
রাস্তায় গতিসীমা বিষয়ে জেনেশুনে নিন। এক্ষেত্রে যাত্রাপথের রুটে যানবাহন কেমন, ভিড় কেমন এবং এলাকাটি কেমন সে সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে যাতায়াত করুন। পরিচিত এলাকায় বিপদ এড়িয়েই গতিসীমা বজায় রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। আশপাশে খেয়াল রাখা। বাইক চালানোর সময় সামনেই চোখ রাখলে হবে না। আশপাশের দিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ক্লান্ত অবস্থায় বাইক চালানো উচিত নয়। আপনার মনোযোগ সম্পূর্ণ সজাগ থাকা অবস্থায় বাইক চালান।
বাইক চালানোর অভ্যাস চর্চা
রাস্তায় বাঁক নেওয়া, আরও দক্ষভাবে নিজের বাইক পরিচালনার চর্চাগুলোয় মনোযোগী হন। স্টান্ট বা এমন কিছু না। বরং চালানোর কারিগরি দিকগুলো অনলাইনে ভিডিও দেখুন। আপনার বাইকে ব্রেক, এক্সেলেরেশন এবং অন্যান্য কারিগরি বিষয় দেখুন এবং জানুন। চালানোর সময় অন্যদিকে চোখ নয়। বাইক চালানোর সময় অন্তত মন আর চোখ অন্য কিছুতে দেয়াই যাবে না। দিতেই যদি হয়, তাহলে বাইকটি রাস্তার নিরাপদ এক কোণে রাখুন। তারপর বাকিটুকু দেখা যাবে।
বাইকের রক্ষণাবেক্ষণ করুন
বাইকের নিয়মিত যত্ন নিতে হবে। গাড়ির ক্ষেত্রে যত্নের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। অনেকে এ বিষয়ে গাফিলতি করেন যা মোটেও ভালো কিছু নয়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন