আপডেট :

        সিলেটের মাটি হচ্ছে এসিড মাটি : কৃষি সচিব

        শামীম ওসমানকে শোকজ

        চীনে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিল আফগানিস্তান

        আমাদের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে হবে:মেয়র

        সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি অস্ট্রেলিয়ার এমপির

        কানাডার ‘সিজোফ্রেনিক পররাষ্ট্র নীতি’

        বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে সিলেট

        গণতান্ত্রিকভাবে কিছু বলার নেই কেউ বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিলে:ওবায়দুল কাদের

        মোদি-মেলোনির সেলফি

        শফিক চৌধুরী চাইলেন সাংবাদিকদের সহযোগিতা

        শেখ হাসিনা-ইসলামিক দলের নেতাদের বৈঠক

        সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দেশের জন্য কাজ করার নির্দেশনা

        ওসি-ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ইসির ব্যাখ্যা

        মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতবিনিময়

        মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী

        সাদা পোষাকে টাইগারদের ইতিহাসগড়া জয়

        প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ইসির নির্দেশ

        ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘ ব্যর্থ : ইরান

        মান্নানের বিরুদ্ধে লড়ছেন না মনোনয়ন বঞ্চিতরা

        ‘ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড’

যুক্তরাজ্যে ইইউ বহির্ভূত অভিবাসীদের তালিকায় শীর্ষ দশে বাংলাদেশিরা

যুক্তরাজ্যে ইইউ বহির্ভূত অভিবাসীদের তালিকায় শীর্ষ দশে বাংলাদেশিরা

যুক্তরাজ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বহির্ভূত অভিবাসীদের সর্বোচ্চ সংখ্যার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে অবস্থান করছে। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত হিসেবে তালিকায় বাংলাদেশের এই অবস্থান। এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে ৬৯ হাজার মানুষ যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় (ওএনএস) এই তথ্য জানিয়েছে।

ওএনএস-এর তথ্য অনুসারে, ইইউ বহির্ভূত অভিবাসীদের তালিকায় শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা (৭৫ হাজার) সপ্তম ও অস্ট্রেলিয়া (৭১ হাজার) ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। এই সময়ে যুক্তরাজ্যে সর্বোচ্চ অভিবাসী আসা পাঁচটি দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত (৩ লাখ ৫ হাজার), পাকিস্তান (১ লাখ ৭১ হাজার), চীন (১ লাখ ৯ হাজার), নাইজেরিয়া (৯০ হাজার) ও যুক্তরাষ্ট্র (৮৪ হাজার)।

সামগ্রিকভাবে ২০১৬ সালের জুনে ব্রেক্সিটের পক্ষে গণভোটের এই প্রথম অভিবাসীদের সংখ্যা কমেছে। এর আগের বছরের তুলনায় এই সময়ে অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ৬ হাজার।

ওএনএস-এর অভিবাসন পরিসংখ্যানের প্রধান নিকোলা হোয়াইট জানান, সংখ্যা কমে এসেছে কারণ এর আগের বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিবাসী এসেছিল। এখনই বলা যাচ্ছে না বিষয়টি দীর্ঘ মেয়াদি প্রবণতা হবে। এই পরিবর্তনের ফলে মনে হচ্ছে মানুষের স্থানান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে ব্রেক্সিটের প্রভাব থাকতে পারে। তবে অভিবাসন অনেক জটিল ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকে।

গত বছরে ইইউ বহির্ভূত অভিবাসীদের যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার সংখ্যা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ইইউ নাগরিকদের দেশটি ছেড়ে যাওয়া উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমের একাংশ এই প্রবণতাকে ‘ব্রেক্সোডাস’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে।

পরিসংখ্যান অনুসারে, ইইউ নাগরিকদের যুক্তরাজ্য থেকে চলে যাওয়ার পরিমাণ ২৯ শতাংশ (১ লাখ ২৩ হাজার)। ৪৩ জানিয়েছেন তারা নিজ দেশে ফিরে যাবেন। ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা।

গত ১২ মাসে যুক্তরাজ্যে এসেছেন ৫ লাখ ৭২ হাজার মানুষ। আর অভিবাসিত হয়েছেন ৩ লাখ ৪২ হাজার। এই সময়ে অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে ৮০ হাজার।

যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির সরকার বার্ষিক অভিবাসীদের সংখ্যা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সর্বশেষ এই পরিসংখ্যানকে স্বাগত জানিয়েছেন মন্ত্রীরা। বিরোধী দল লেবার পার্টি জানিয়েছে, সরকারের অভিবাসীদের সংখ্যা ১ লাখের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্থহীন।

এলএবাংলাটাইমস/এ/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত