ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি
আরবের নেতৃত্বে সামরিক হামলা চলছে। ২০০৩সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আক্রমণের পরমধ্যপ্রাচ্যে এটাই বড় হামলা। এই আগ্রাসনেসৌদির পাশে দাঁড়িয়েছে মরক্কো থেকে বাহরাইন।প্রশ্ন হচ্ছে, কোন স্বার্থে তারা এই সমবেতহামলায় একমত হয়েছে?সুদান*৩ যুদ্ধবিমানের প্রতিশ্রুতি, সৈন্য প্রেরণেরবিবেচনাআরব লীগ সদস্য আফ্রিকান রাষ্ট্র সুদান একসময়ইরান ও সৌদি আরব উভয় দেশেরই বন্ধু ছিল। তখনইরানের কাছ থেকে ব্যাপক সামরিক সহায়তাপেয়েছে। গত বছর তেহরানকে পাশ কাটিয়েরিয়াদের দিকে ঝুঁকেছে। দেশটির এখন দরকারউপসাগরীয় রাজকোষের সাহায্য। ২০১১ সালেদক্ষিণ সুদান ভেঙে যাওয়ার সৌদি আরব ও কাতারব্যাপক আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। ইরানের অতটাক্যাশ নেই, তাই সৌদির দালালিই ভরসা।মিসর*বিমান ও নৌ সহায়তা, এডেন সাগরে ৪যুদ্ধজাহাজ২০১৩ সালে মিসরের ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্টমোহাম্মদ মুরসির উৎখাতের পুরস্কারস্বরূপ আবদেলফাত্তাহ আল-সিসিকে বিলিয়ন বিলিয়নঅর্থসহায়তা দিয়েছে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো।সৌদি আরবের ব্যাপক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকসমর্থনের কৃতজ্ঞতা জানাতে রিয়াদের পক্ষেকায়রো। তবে মিসরীয় জনগণের এ ব্যাপারে উদ্বেগথাকায় এক ভারসাম্য রক্ষার চিন্তা করছেন সিসি।আরব আমিরাত*৩০ যুদ্ধবিমানের প্রতিশ্রুতিসৌদি আরবের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র সংযুক্ত আরবআমিরাত। মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধেসিসির পক্ষে টাকা ঢেলেছে অকাতরে। তবেইরানের পক্ষে প্রকাশ্যে কিছু নমনীয়তা দেখায় এইদেশটি। এর কারণ দুবাইয়ে ইরানি কমিউনিটি আছেআর তাদের ব্যাপক বাণিজ্য রয়েছে।বাহরাইন*১৫ যুদ্ধবিমানের প্রতিশ্রুতিউপসাগরীয় রাজতন্ত্রের সরু রাষ্ট্র বাহরাইনসৌদি আরবের প্রধান সামরিক ও অর্থনৈতিকসুবিধাভোগী। ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময়মানামা রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমনেসেনা পাঠিয়েছিল সৌদি আরব ও পার্শ্ববর্তী আরবআমিরাত। তাই বাহরাইনের সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়ায় জনমতের চেয়ে সৌদির প্রভাব বেশি।সেকারণেই রিয়াদের ডাকে এগিয়ে এসেছে।কাতার*১০ যুদ্ধবিমানের প্রতিশ্রুতিগত বছর কাতার-সৌদি সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টিহলেও কয়েক মাস পর আবার স্বাভাবিক হয়েছে।আঞ্চলিক কৌশলগত স্বার্থে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্টমানসুর হাদিকে রক্ষায় অন্য উপসাগরীয়রাষ্ট্রগুলোর সিদ্ধান্তের সমর্থনের পথে হেঁটেছেদোহা।কুয়েত*১৫ যুদ্ধবিমানের প্রতিশ্রুতিকুয়েত সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের মিত্র। কুয়েতেশিয়া জনগোষ্ঠী বেশি হলেও ঐতিহাসিকভাবেতারা সুন্নিদের সঙ্গে মিলেমিশে আছে। আর কোনোউপসাগরীয় রাষ্ট্রে এমন সহাবস্থান দেখা যায়না।জর্ডান*৬ যুদ্ধবিমানের প্রতিশ্রুতিইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী জোটে জর্ডানবেশি ক্রিয়াশীল। পশ্চিমা ও সৌদির ঘনিষ্ঠ হয়েকাজ করে। দেশটি আঞ্চলিকভাবে মডারেট সুন্নিদেরপ্রভাব চায়।মরক্কো*৬ যুদ্ধবিমানের প্রতিশ্রুতিউত্তর আফ্রিকার আঞ্চলিক প্রভাবশালী শক্তিহিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে চায় মরক্কো।২০১১ সালে জিসিসির সঙ্গে যুক্ত হয় দেশটি। একবিবৃতিতে মরক্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়জানিয়েছে, উপসাগরীয় ও আরব অঞ্চলের নিরাপত্তারক্ষায় তারা সবসময় সহায়তা করবে।সম্ভাব্য সহযোগীপাকিস্তানআরব সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র না হয়েও পাকিস্তানদীর্ঘদিন ধরে সৌদি সাহায্যভোগী। দেশীয়সংকটের কারনে প্রকাশ্যে যুদ্ধে না জড়ালেও পাশেথাকছে।তুরস্কমিসরে মুরসিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের রিসেপতাইয়েপ এরদোগানের সমর্থন ও সৌদি আরবেরসিসির সমর্থন নিয়ে একটু দ্বন্দ্ব ছিল। এরদোগানঘোষণা দিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায়আঙ্কারা অস্ত্র সহায়তা বিবেচনা করতে পারে।