আপডেট :

        ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ দাবানল, ৫ জনের মৃত্যু

        গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হয়েছে হামাস

        ইসরায়েলে মার্কিন গোলাবারুদের একটি চালান থামাল বাইডেন প্রশাসন

        জো বাইডেন ‘গেস্টাপো প্রশাসন’ চালাচ্ছেন, অভিযোগ ট্রাম্পের

        বাংলাদেশি তরুণ উইন নিহতের ভিডিও প্রকাশ

        টাইটানিক সিনেমার অভিনেতা বার্নার্ড হিল মারা গেছেন

        অধ্যাপকের পাঁজরের ৯টি হাড় ও হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ

        ব্রাজিলে বন্যায় ৭০ হাজার মানুষব্রাজিলে বন্যায় ৭০ হাজার মানুষ বাড়ি ছাড়া

        দুবাইয়ে সারা বছর লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়

        উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের (জিআই) তালিকা প্রস্তুত

        সৌদি আরবে তেলের দাম বৃদ্ধি

        রাশিয়ায় বিমান হামলা, নিহত ৭

        শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে বয়সসীমা বাড়ানোর একটি পত্র পেয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

        ৫ মে বৈশ্বিক এই আসরের সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি

        বিলাসবহুল রেল স্টেশন পরিণত হয়েছে বিনোদনকেন্দ্রে, চলে গেছে টিকটকাদের দখলে

        ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড’ স্লোগানে ছাত্রলীগ

        ধান কাটার সময় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

        নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

        অফিস শেষে নিমন্ত্রণ রক্ষায় করনীয়

        আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই

"মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে" সভায় "২রা মার্চ কে রাষ্ট্রীয়ভাবে পতাকা দিবস করার দাবী"

জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের সভায় বক্তাগণ ,"২রা মার্চ কে রাষ্ট্রীয়ভাবে পতাকা দিবস করার দাবী"

হাকিকুল ইসলাম খোকন, বাপস নিউজ: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি যুক্তরাষ্ট্র শাখা  কর্তৃক আয়োজিত এক সভায় ২রা মার্চকে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় পতাকা দিবস করার দাবী জানানো হয়। গত ২ মার্চ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় নিউইয়র্কের বাঙালি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের টক অব দি টাঊন-এ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি যুক্তরাষ্ট্র শাখার উদ্যোগে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস ২০১৫ এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। খবর বাপসনিউজ। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি যুক্তরাষ্ট্র-এর সভাপতি হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন-এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন আহমেদ শামীম-এর সুন্দর উপস্থাপনা ও পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন   বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক সংসদ সহস্য, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক-রিপাবলিক পার্টির আহবায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা আনিসুজ্জামান খোকন। অনুষ্ঠানে  বিশেষ অতিথি  ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল কেন্দ্রিয় কমিটির প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক ও মূলধারার রাজনীতিক এ্যাভোকেট  মজিবুর রহমান, আই অন বাংলাদেশ টিভি পরিচালক রিমন ইসলাম, আমেরিকান প্রেসক্লাব অব বাংলাদেশ অরিজিন সভাপতি সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন,বাংলাদেশ ছাএলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি জেএসডিনেতা জাকির হাসন  স্বপন, মওলানা ভাসানী পরিষদ নিউইয়র্ক-এর সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা আলী ইমাম , ফোবানা কো-কনভেনর কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, মুক্তিযোদ্ধা  আলমগীর ভুইয়া ও মুক্তিযোদ্ধা এম সারোয়ার, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আফসার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল -জেএসডি কেন্দ্রিয় কমিটির নেতা সারোয়ার হোসেন,  যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হায়দার,যুক্তরাষ্ট্র শাখার উপদেষ্টা হাজী আহসান মাসুদ, হাসান চৌধুরী দাদু ভাই,আনোয়ার হোসেন বাবুল,সিনিয়র সহ সভাপতি সুভাষ মজুমদার, সাবেক ছাএনেত নজরুল ইসলাম,ঢাকা  বিশ্ববিদ্যাল এ্যালামনাই এ্যাসাসিয়শন সভাপতি তাজুল ইসলাম, কোষাধ্যাখ গাজী সামসুঊদিদন,মনির হোসেন,অধ্যাপক সামসছুল ইসলাম,গাংচীল-এর পরিচালক খান শওকত।২ মাচ ‘‘স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলক‘‘ বিষয়ক কবিতা ও প্রবন্ধ পাঠ করে শোনান এবং অনুষ্ঠানের ঊদভধন করেন কবি,সাংবাদিক ও লেখক সালেম সুেলরী। উপস্থিত দর্শকশ্রোতাগণ কবিত ও প্রবন্ধটির  প্রশংসা করেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল -জেএসডি যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী তসলিম উদ্দিন খান, বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল -জেএসডি যুক্তরাষ্ট্র শাখার সহ সভাপতি হেলাল ঊদিদন,সহ সাধারন সম্পাদক রফিকঊলল্যাহ ও শরীফ ঊদিদন,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মালেক,জেএসডি নেতা নূরে আলম সেলিম, হারুন অর রশীদ বাবুল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল -জেএসডি নিউজার্সি শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, শরফুদ্দিন ওমর ফারুক, নূর মোঃ লিটন, মাসুদ রানা, সুমন ইসলাম,  মাসুদ, মোঃ ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি সাবেক সংসদ সদস্য আনিসুজ্জামান খোকন বলেন, প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা প্রদান করে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কিন্তুু ১০ম সংসদ নির্বাচনে জনগণের সম্মতি আদায়ে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েও শাসনতান্ত্রিক দোহাই দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। সরকার দেশকে এক দলীয় শাসনের নিয়ন্ত্রাধীন  করে ফেলেছে, যা ভয়ংকর এবং ভয়াবহ। আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারীর অনুষ্ঠিত নির্বাচন ও সরকার এখন মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, কিন্তু সরকার অন্তসার শূন্য প্রচার প্রচারণা দিয়ে আত্মতুষ্টি লাভ করার বাহানা  করছে। জনগণের অভিপ্রায়কে উপেক্ষা করে কুট-কৌশলের আশ্রয়ে গণতান্ত্রিক নির্বাসির করে ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার অভিলাষ রাষ্ট্রকে বড় ধরণের বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে। এই ধরণের রাজনৈতিক সংকট দ্রুত নিরসন করা জরুরীতিনি আরো বলেন, বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নের কথা বলতে গেলে চলে আসে ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলনের সুচনার কথা, যে পথ বেয়ে আসে বাংলাদেশ নামক এই নতুন জাতি রাষ্ট্রের জন্মের ইতিহাস লিখিত হয়ে যায়, ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসে ডিসেম্বর সেই ইতিহাসের বাস্তবরূপ বিজয়ের পতাকা উড্ডয়নের মধ্যে দিয়ে বাস্তবায়ন লাভ করে। ‘৫২ এর একুশে ফেব্রুয়ারি যেমন বাঙালির স্বাধিকার  আন্দোলনের স্বপ্নের বুনন রচিত হয়ে যায়, তেমনি ‘৫৮ এর মার্শাল ‘ল‘ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেই স্বপ্নের বীজের মূলে নয়া উদ্দীপনা হয়ে দেখা দেয়। একই সাথে ৬২-৬৬-৬৯-৭০ এর সকল আন্দোল সংগ্রামের ধারাবাহিকতার পথ পরিক্রমায় এক নয়া বৈপ্লবিক সূচনা আর বাস্তবের নতুন এক স্বাধীন বাঙালি রাষ্ট্রের বুনন শুধু নয়, বাস্তাবের এক মাইলফলক ও বহিপ্রকাশ ঘটালেন তৎকালীন  স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, ডাকসুর ভিপি ও সাবেক মন্ত্রী জেএসডি সভাপতি আ-স-ম আবদুর রব।
বিশেষ অতিথি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল কেন্দ্রিয় কমিটির প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক ও মূলধারার রাজনীতিক এ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের আজকের এই ২রা মার্চ লাখো বাঙালি, ছাত্র, গণজমায়েতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের কলা ভবনের বটতলাতেই আ, স, ম আবদুর রব, বাইরে পাকিসহানী সাজোয়া ট্যাংক আর  বন্দুকের নল এক করার তর্জনী গর্জনী উপেক্ষা করে ছাত্র সমাজের প্রাণের দাবীর বহিঃ প্রকাশ হিসেবে জীবনের ঝূঁকি নিয়ে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন। এ পতাকা উত্তোলন নিছক বাহাদুরি কিংবা কেবলমাত্র পতাকা উত্তোলনের আনুষ্ঠানিকতা ছিলো না, এ ছিলো দীর্ঘ পরিকল্পনা, সুবিন্যস্ত সুদুর রাজনৈতিক সিদ্ধানত গ্রহণকারী স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের আগে থেকে নেয়া বাংলাদেশ স্বাধীন করার বৈপ্লবিক এক পরিকল্পনার অংশ বিশেষ। যে ঘটনার পর সমগ্র পাকিস্তানে জান্তা সরকার আ, স, ম আবদুর রবকে ‘বিদ্রোহী‘ এবং তার মাথার মূল্য লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।
বিশেষ অতিথি সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন বলেন, প্রবাসের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ২রা মার্চ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবসের দাবীকে সরকারিভাবে পালনের জন্য জোরালো আন্দোলন করতে হবে। অন্যান্য অতিথিগণ বলেন, নিউক্লিয়াসের রূপকার ছিলেন সিরাজুল আলম খান, সঙ্গে ছিলেন মরহুম শেখ ফজলুল হক মনি, কাজী আরেফ  আহমেদ, মার্শাল মনি, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, আর তরুণ ছাত্রনেতাদের মধ্যে যুদ্ধে ছিলেন আ স ম আবদুর রব, শাজাহান সিরাজ, হাসানুল হক ইনু, মরহুম নূর আলম জিকু সহ আরো অনেকে। তবে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চার ছাত্রনেতাদের মাঝে যাদের নেতৃত্বে সেদিন ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল ও পরিচালিত হলো সেই আ স ম আবদুর রব, নুরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, আবদুল কুদ্দুস মাখন এই চারজনের মধ্যে আ স ম আবদুর রব আর শাজাহান সিরাজ কেবল স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের সাথে জড়িত ছিলেন। সেজন্যে ২রা মার্চ পতাকা উত্তোলনের পরিকল্পনার কথা সেদিন এই নিউক্লিয়াসের সদস্যরা ছাড়া আগে থেকে আর কেউ অবহিত ছিলেন না। সিরাজুল আলম খান এবং আ স ম আবদুর রব ও মরহুম নূর আলম জিকু, কাজী আরেফ আহমেদ বিভিন্ন সময়ে এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনের খবর বিদ্যুৎ বেগে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং এক নব জাগরণের উন্মেষ সারা বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে দেয়া বাঙালি প্রাণের টানে নব উদ্দমে জেগে উঠে। আওয়ার উঠে ‘‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। ‘‘ সভায় বক্তাগণ আরো বলেন,   ৭মার্চ  “জয়বাংলা” বলেই বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণ শেষ করেছিলেন। অন্যকিছু বলার অবকাশই ছিলোনা। এছাড়া অন্য কোন বক্তব্য  ইতিহাস বিকৃতি ছাড়া আর কিছুই নয়। যারা নিউক্লিয়াস, ২রা মার্চ, ৩রা মার্চ ও বিএলএফ  নিয়ে বিভ্রান্তি  ছড়াচ্ছেন তারাও প্রকৃত ইতিহাসকে  আড়াল করার অপচেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র ইতিহাস অস্বীকার বা উপেক্ষা করার সংস্কৃতি দুঃখজনক।
 এক দল ক্ষমতায় থাকার জন্য, অন্যদল যে কোনভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশে বার বার সহিংস-সংঘাত সৃষ্টি করছে। এতে মুক্তিযুদ্ধের আকাংখা মোতাবেক জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, উৎপাদন-উন্নয়ন, মৌলিক অধিকারসহ গণতন্ত্র বিপন্ন হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-আদর্শ ভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ‘তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি’ গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই। এ তৃতীয় শক্তিই রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তন আনবে, সংবিধানের যুগপোযোগী  সংশোধন আনবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলবে। সংবিধান সংশোধন-পূন:লিখন প্রশ্নে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ‘সাংবিধানিক কমিশন’ গঠন করতে হবে। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালীর একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বিনির্মানের আকাংখার  চূড়ান্ত বহি:প্রকাশ ঘটেছিলো। কীভাবে বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা  হয়েছিলো-তা নতুন প্রজন্মকে অবশ্যই জানাতে হবে।বাংলাদেশ নির্মানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের সাথে সিরাজুল আলম খান এর স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস, ছাত্রলীগ ও স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অবদানকে উম্মোচিত করতে হবে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের দুটো দিক। একটি হলো প্রকাশ্য দিক আর অন্যটি অপ্রকাশ্য। নিউক্লিয়াস, জয় বাংলা বাহিনী, পতাকা উত্তোলন, ইশতেহার পাঠ, ৭ই মার্চের ভাষণ এই সবকিছুই অপ্রকাশ্য পরিকল্পনার অংশ। অপ্রকাশ্য দিকগুলো সবার জানা নেই। যার ফলে অনেকেই ভিন্ন ভিন্ন কথা বলেন। যেমন এ কে খন্দকার সাহেবের অপ্রকাশ্য দিকগুলো জানা নাই। তাই মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারেননি।  ৭মার্চ  “জয়বাংলা” বলেই বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণ শেষ করেছিলেন। অন্যকিছু বলার অবকাশই ছিলোনা। এছাড়া অন্য কোন বক্তব্য  ইতিহাস বিকৃতি ছাড়া আর কিছুই নয়। যারা নিউক্লিয়াস, ২রা মার্চ, ৩রা মার্চ ও বিএলএফ  নিয়ে বিভ্রান্তি  ছড়াচ্ছেন তারাও প্রকৃত ইতিহাসকে  আড়াল করার অপচেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র ইতিহাস অস্বীকার বা উপেক্ষা করার সংস্কৃতি দুঃখজনক।


সভায় বক্তাগণ জাতীয় পতাকার নকসাকারক  নারায়ন দাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তার যথাযথ মর্যাদার দাবী জানান। বক্তাগণ আরো বলেন, ১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে। সভায় নিউইয়ক ছাড়াও নিউজার্সি, ভার্জিনিয়া সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে থেকে উলেলখযোগ্য সংখ্যক অতিথি অংশ নেন। 
সভার প্রারম্ভে ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা সহ আজ পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিটকাল নীরবতা পালন করা হয়। পরিশেষে জেএসডি যুক্তরাষ্ট্র শাখার  তত্ত্বাবধানে সবাইকে প্রীতি নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয়।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত