আপডেট :

        এখনও পিআর পদ্ধতি বুঝতে পারছেন না গয়েশ্বর

        লুকানো অর্কিডের সন্ধান

        ক্যালসিয়াম কম? দুধ ছাড়া পূরণ করুন এই খাবারে

        আয়ের বড় অংশ খাদ্য কেনায় যায়: ১০% পরিবার

        তৃতীয় সিজনে অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড কেমন হলো?

        জামায়াত আমিরের উষ্ণ শুভেচ্ছা বার্তা

        পুলিশের কাছে অসংগতিপূর্ণ বক্তব্য মামুনুর রশীদের

        ফেনী-১ আসন থেকে ভোটে অংশ নিতে পারেন খালেদা জিয়া

        চোরের বদলে চোর নিয়ে সরকার করল? — ফয়জুল করীমের তোপ

        ১৭ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি

        রিকশার সমস্যার সমাধান কোথায়?

        পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের প্রস্তাব এশিয়া কাপে ভারতের জন্য

        মোদিকে কড়া জবাব ওয়াইসির

        সরকারি বালিকা স্কুলে চ্যাম্পিয়নসত্তা অর্জন

        সিলেটের গরম: ৩৭ ডিগ্রি পার, শনিবারের আবহাওয়া

        বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মদদের অভিযোগ

        হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্বেগ

        বাংলায় ভাষণ দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

        টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে গাজায় নতুন প্রশাসন ভাবনা

        নেতানিয়াহুর বক্তব্যে সদস্য রাষ্ট্রের ওয়াক আউট

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে ‘হার্ডলাইনে’ সিসিক

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে ‘হার্ডলাইনে’ সিসিক

সিলেটে বেড়েই চলছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। একের পর এক স্থানে মিলছে এডিশ মশার লার্ভা। আক্রান্তরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও গণসচেতনতার অভাবে ডেঙ্গুর ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের’ আশঙ্কা করছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। নগরীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় সে জন্য ‘হার্ডলাইনে’ যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।

আজ মঙ্গলবার থেকে একযোগে চারটি ভ্রাম্যমান আদালত নামছে অভিযানে। কারো বাসা-বাড়ি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে মোটা অংকের জরিমানা করা হবে। এছাড়া গণসচেতনতা তৈরিতে নগরীতে ব্যাপক প্রচারণা শুরু হচ্ছে। পাশাপাশি নগরীতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরে সিলেট নগরীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২১ জন রোগী সনাক্ত হয়েছেন। তাদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন। তবে যারাই আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ‘ট্রাভেল হিস্ট্রি’ রয়েছে। ঢাকা থেকে তারা আক্রান্ত হয়ে সিলেটে এসেছেন। এছাড়া সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকেও বেশ কয়েকজন আক্রান্ত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

ডা. জাহিদ জানান, সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নগরীর ৭, ১০ ও ২৬ নং ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সুরমার বাস টার্মিনাল ও কদমতলী এলাকায় বেশি পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, গত জুন মাসে ১০টি স্থান থেকে ‘নমুনা’ সংগ্রহ করা হলে ২-৩টি স্থানে এডিস মশার লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এখন ১০টি স্থানের নমুনা পরীক্ষা করলে ৫-৬ জায়গায় এডিসের লার্ভা সনাক্ত হচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে এডিস মশার বিস্তৃতি ঘটছে। তাই মানুষকে সচেতন করা না গেলে ডেঙ্গুর ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের’ শঙ্কা রয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও জানিয়েছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আর নমনীয় আচরণ করবে না সিটি করপোরেশন। আজ মঙ্গলবার থেকে চারজন নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে নগরীতে চারটি ভ্রাম্যমান আদালত শুরু হবে। দুইজন নির্বাহী হাকিমের জন্য জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এই চারটি টিম সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু হবে। প্রতিদিন এই টিমগুলো অভিযান করবে।

আরিফ বলেন, মানুষকে অনেকভাবে সচেতন করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ তা আমলে নিচ্ছেন না। তাই এবার কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কারো বাসা-বাড়ি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রতীকী নয় মোটা অংকেরই জরিমানা করা হবে সংশ্লিষ্টকে। আরিফুল হক চৌধুরী জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। ওয়ার্ড সচিবদের দায়িত্ব দিয়ে কাউন্সিলররা নিশ্চিন্তে বসে থাকলে চলবে না। তাদেরকে মাঠ পর্যায়ে তদারকি করতে হবে। এজন্য আগামী ২৬ জুলাই নগরভবনে কাউন্সিলরদের নিয়ে সভা আহ্বান করা হয়েছে।

একদিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, অন্যদিকে মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা শাখা কাজ শুরু করবে। একই সাথে নগরজুড়ে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হবে। বিতরণ করা হবে লিফলেটও, জানান মেয়র আরিফ।

 


এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত